১১:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলেবর বাড়বে ভারত-মার্কিন যৌথ সামরিক মহড়ার

  • আপডেট: ১০:০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 15

ভারত-মার্কিন যৌথ সামরিক মহড়ার ২০তম সংস্করণ, যুদ্ধ অভ্যাস ২০২৪, রাজস্থানের মহাজন ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জের ফরেন ট্রেনিং নোডে শুরু হয়েছে। এই বার্ষিক মহড়াটি ৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত চলবে, যা দুই দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার একটি মূল স্তম্ভ হিসেবে কাজ করে এবং সামরিক সক্ষমতা ও সমন্বয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

যুদ্ধ অভ্যাস মহড়াটি ২০০৪ সাল থেকে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিকল্পভাবে আয়োজিত হয়। এই দীর্ঘকালীন সামরিক সম্পর্ক দুটি দেশের মধ্যে অন্যতম প্রধান যৌথ মহড়া হয়ে উঠেছে এবং বিশ্বের বৃহত্তম দুটি গণতান্ত্রিক দেশের সামরিক অংশীদারিত্বকে উল্লেখযোগ্যভাবে সমৃদ্ধ করেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থমাস বার্ক, ১১ এয়ারবোর্ন ডিভিশনের ডেপুটি কমান্ডার এবং কর্নেল ক্রিস্টোফার ব্রাউলি, ব্রিগেড কমান্ডার ১ম ব্রিগেড ১১ এয়ারবোর্ন ডিভিশন।

২০২৪ সংস্করণ: ব্যাপ্তি ও জটিলতার বিস্তার

এই বছরের মহড়াটি এর পরিসর ও জটিলতায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি চিহ্নিত করেছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সোমবার জানিয়েছে। এবার জড়িত সৈন্য সংখ্যা এবং আধুনিক সামরিক সরঞ্জামের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। রাজপুত রেজিমেন্টের ৬০০ জন ভারতীয় সৈন্যকে যুক্তরাষ্ট্রের ১১তম এয়ারবোর্ন ডিভিশনের আলাস্কাভিত্তিক ১-২৪ ব্যাটালিয়নের ৬০০ জন সৈন্যের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।

যুদ্ধ অভ্যাস ২০২৪-এর মূল লক্ষ্য হলো সেমি-ডেজার্ট পরিবেশে যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনার সক্ষমতা বাড়ানো। সন্ত্রাসবাদের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক হুমকির প্রেক্ষিতে, এই মহড়াটি যৌথ সামরিক প্রস্তুতি বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করেছে, যা এই ধরনের সংকটে প্রতিক্রিয়া জানাতে গুরুত্বপূর্ণ। মহড়াটি জাতিসংঘ সনদের সপ্তম অধ্যায়ের অধীনে ফ্রেম করা হয়েছে, যা শান্তি বিপন্নকারী বা আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় কর্ম সম্পর্কে নির্দেশ দেয়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, মহড়ায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতি যৌথ প্রতিক্রিয়া, যৌথ পরিকল্পনা, এবং বাস্তব বিশ্বের সন্ত্রাসবিরোধী পরিস্থিতির যৌথ কৌশল অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই মহড়াগুলি কার্যকর অপারেশনাল সমন্বয়কে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করবে, যাতে উভয় সেনাবাহিনী উচ্চ-চাপের পরিস্থিতিতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

এই মহড়ার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো ভারতীয় এবং মার্কিন সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় ক্ষমতা বাড়ানো। এর মধ্যে আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কৌশল, পদ্ধতি এবং প্রক্রিয়া ভাগাভাগি করা অন্তর্ভুক্ত। একসাথে অপারেশন অনুশীলনের মাধ্যমে, উভয় দেশের সেনারা একে অপরের অপারেশনাল কৌশল এবং স্ট্রাটেজি সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি লাভ করবে, যা তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং যৌথ অপারেশনে একটি সমন্বিত ইউনিট হিসেবে কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

এই বছর, রাজস্থানের মহাজন ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জ একটি সেমি-ডেজার্ট পরিবেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং অঞ্চল প্রদান করেছে। এই ভূগোলটি অপারেশনে জটিলতা বৃদ্ধি করেছে, যেখানে সেনাবাহিনীকে কঠোর আবহাওয়ার পরিস্থিতি, সীমিত পানীয় জল সরবরাহ, এবং সেই পরিবেশের চ্যালেঞ্জের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। সেমি-ডেজার্ট ল্যান্ডস্কেপটি ভবিষ্যতের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের জন্য বাস্তবসম্মত অনুশীলন হিসাবে কাজ করবে, যেখানে এমন শর্ত বিদ্যমান।

এই পরিবেশে কাজ করে উভয় সেনাবাহিনী তাদের সরঞ্জাম, লজিস্টিকস এবং কৌশলগত প্রতিক্রিয়াগুলিকে পরীক্ষা করতে সক্ষম হবে, যা বাস্তব জীবনের মিশনে প্রস্তুতি নিশ্চিত করবে। এই অভিজ্ঞতা মূল্যবান, কারণ এটি মরুভূমির যুদ্ধের জটিলতা সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে, যেখানে গতি এবং ধৈর্য্য মিশনের সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সৌহার্দ্যের বিকাশ

যুদ্ধ অভ্যাসের একটি প্রায়শই উপেক্ষিত সুবিধা হলো উভয় দেশের সৈন্যদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার বিকাশ। কৌশলগত অনুশীলনের বাইরে, সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রমগুলি সৈন্যদের একে অপরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানার সুযোগ দেয়। এই সাংস্কৃতিক বিনিময় ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করে, যা উভয় দেশের বাহিনীর মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতার উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।

এই ধরনের সংযোগ শুধুমাত্র সামরিক কার্যক্রমের জন্য নয়, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করতেও গুরুত্বপূর্ণ। মহড়ায় গড়ে ওঠা বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সম্মান যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরেও প্রসারিত হয়, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে।

যুদ্ধ অভ্যাসের বিকাশের সাথে সাথে এটি ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গভীরতর প্রতিরক্ষা সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হয়ে উঠেছে। উভয় দেশ আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই যৌথ মহড়াটি এই সম্পর্ককে শক্তিশালী করার অন্যতম পদক্ষেপ, যাতে দুই দেশের সামরিক বাহিনী প্রয়োজনে একসঙ্গে কাজ করতে সক্ষম হয়।

উপরন্তু, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে, যা প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি, অস্ত্র সংগ্রহ এবং গোয়েন্দা তথ্য শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে বৃদ্ধি পেয়েছে। যুদ্ধ অভ্যাস এই উন্নত সম্পর্কের একটি বাস্তব প্রদর্শনী হিসেবে কাজ করে, যা বৈশ্বিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উভয় দেশের যৌথ লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করে।

যুদ্ধ অভ্যাস মহড়ার বৃহত্তর প্রভাব ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বাইরেও প্রসারিত। যেহেতু উভয় দেশ তাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়িয়ে চলেছে, তারা বৈশ্বিক নিরাপত্তা প্রচেষ্টায় অবদান রাখছে, বিশেষ করে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এবং শান্তিরক্ষামূলক মিশনে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

কলেবর বাড়বে ভারত-মার্কিন যৌথ সামরিক মহড়ার

প্রকাশ: ১০:০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারত-মার্কিন যৌথ সামরিক মহড়ার ২০তম সংস্করণ, যুদ্ধ অভ্যাস ২০২৪, রাজস্থানের মহাজন ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জের ফরেন ট্রেনিং নোডে শুরু হয়েছে। এই বার্ষিক মহড়াটি ৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত চলবে, যা দুই দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার একটি মূল স্তম্ভ হিসেবে কাজ করে এবং সামরিক সক্ষমতা ও সমন্বয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

যুদ্ধ অভ্যাস মহড়াটি ২০০৪ সাল থেকে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিকল্পভাবে আয়োজিত হয়। এই দীর্ঘকালীন সামরিক সম্পর্ক দুটি দেশের মধ্যে অন্যতম প্রধান যৌথ মহড়া হয়ে উঠেছে এবং বিশ্বের বৃহত্তম দুটি গণতান্ত্রিক দেশের সামরিক অংশীদারিত্বকে উল্লেখযোগ্যভাবে সমৃদ্ধ করেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থমাস বার্ক, ১১ এয়ারবোর্ন ডিভিশনের ডেপুটি কমান্ডার এবং কর্নেল ক্রিস্টোফার ব্রাউলি, ব্রিগেড কমান্ডার ১ম ব্রিগেড ১১ এয়ারবোর্ন ডিভিশন।

২০২৪ সংস্করণ: ব্যাপ্তি ও জটিলতার বিস্তার

এই বছরের মহড়াটি এর পরিসর ও জটিলতায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি চিহ্নিত করেছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সোমবার জানিয়েছে। এবার জড়িত সৈন্য সংখ্যা এবং আধুনিক সামরিক সরঞ্জামের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। রাজপুত রেজিমেন্টের ৬০০ জন ভারতীয় সৈন্যকে যুক্তরাষ্ট্রের ১১তম এয়ারবোর্ন ডিভিশনের আলাস্কাভিত্তিক ১-২৪ ব্যাটালিয়নের ৬০০ জন সৈন্যের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।

যুদ্ধ অভ্যাস ২০২৪-এর মূল লক্ষ্য হলো সেমি-ডেজার্ট পরিবেশে যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনার সক্ষমতা বাড়ানো। সন্ত্রাসবাদের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক হুমকির প্রেক্ষিতে, এই মহড়াটি যৌথ সামরিক প্রস্তুতি বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করেছে, যা এই ধরনের সংকটে প্রতিক্রিয়া জানাতে গুরুত্বপূর্ণ। মহড়াটি জাতিসংঘ সনদের সপ্তম অধ্যায়ের অধীনে ফ্রেম করা হয়েছে, যা শান্তি বিপন্নকারী বা আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় কর্ম সম্পর্কে নির্দেশ দেয়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, মহড়ায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতি যৌথ প্রতিক্রিয়া, যৌথ পরিকল্পনা, এবং বাস্তব বিশ্বের সন্ত্রাসবিরোধী পরিস্থিতির যৌথ কৌশল অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই মহড়াগুলি কার্যকর অপারেশনাল সমন্বয়কে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করবে, যাতে উভয় সেনাবাহিনী উচ্চ-চাপের পরিস্থিতিতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

এই মহড়ার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো ভারতীয় এবং মার্কিন সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় ক্ষমতা বাড়ানো। এর মধ্যে আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কৌশল, পদ্ধতি এবং প্রক্রিয়া ভাগাভাগি করা অন্তর্ভুক্ত। একসাথে অপারেশন অনুশীলনের মাধ্যমে, উভয় দেশের সেনারা একে অপরের অপারেশনাল কৌশল এবং স্ট্রাটেজি সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি লাভ করবে, যা তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং যৌথ অপারেশনে একটি সমন্বিত ইউনিট হিসেবে কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

এই বছর, রাজস্থানের মহাজন ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জ একটি সেমি-ডেজার্ট পরিবেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং অঞ্চল প্রদান করেছে। এই ভূগোলটি অপারেশনে জটিলতা বৃদ্ধি করেছে, যেখানে সেনাবাহিনীকে কঠোর আবহাওয়ার পরিস্থিতি, সীমিত পানীয় জল সরবরাহ, এবং সেই পরিবেশের চ্যালেঞ্জের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। সেমি-ডেজার্ট ল্যান্ডস্কেপটি ভবিষ্যতের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের জন্য বাস্তবসম্মত অনুশীলন হিসাবে কাজ করবে, যেখানে এমন শর্ত বিদ্যমান।

এই পরিবেশে কাজ করে উভয় সেনাবাহিনী তাদের সরঞ্জাম, লজিস্টিকস এবং কৌশলগত প্রতিক্রিয়াগুলিকে পরীক্ষা করতে সক্ষম হবে, যা বাস্তব জীবনের মিশনে প্রস্তুতি নিশ্চিত করবে। এই অভিজ্ঞতা মূল্যবান, কারণ এটি মরুভূমির যুদ্ধের জটিলতা সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে, যেখানে গতি এবং ধৈর্য্য মিশনের সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সৌহার্দ্যের বিকাশ

যুদ্ধ অভ্যাসের একটি প্রায়শই উপেক্ষিত সুবিধা হলো উভয় দেশের সৈন্যদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার বিকাশ। কৌশলগত অনুশীলনের বাইরে, সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রমগুলি সৈন্যদের একে অপরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানার সুযোগ দেয়। এই সাংস্কৃতিক বিনিময় ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করে, যা উভয় দেশের বাহিনীর মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতার উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।

এই ধরনের সংযোগ শুধুমাত্র সামরিক কার্যক্রমের জন্য নয়, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করতেও গুরুত্বপূর্ণ। মহড়ায় গড়ে ওঠা বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সম্মান যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরেও প্রসারিত হয়, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে।

যুদ্ধ অভ্যাসের বিকাশের সাথে সাথে এটি ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গভীরতর প্রতিরক্ষা সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হয়ে উঠেছে। উভয় দেশ আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই যৌথ মহড়াটি এই সম্পর্ককে শক্তিশালী করার অন্যতম পদক্ষেপ, যাতে দুই দেশের সামরিক বাহিনী প্রয়োজনে একসঙ্গে কাজ করতে সক্ষম হয়।

উপরন্তু, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে, যা প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি, অস্ত্র সংগ্রহ এবং গোয়েন্দা তথ্য শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে বৃদ্ধি পেয়েছে। যুদ্ধ অভ্যাস এই উন্নত সম্পর্কের একটি বাস্তব প্রদর্শনী হিসেবে কাজ করে, যা বৈশ্বিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উভয় দেশের যৌথ লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করে।

যুদ্ধ অভ্যাস মহড়ার বৃহত্তর প্রভাব ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বাইরেও প্রসারিত। যেহেতু উভয় দেশ তাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়িয়ে চলেছে, তারা বৈশ্বিক নিরাপত্তা প্রচেষ্টায় অবদান রাখছে, বিশেষ করে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এবং শান্তিরক্ষামূলক মিশনে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক