১০:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানী পৌঁছাবে ২ বিলিয়ন ডলারে

বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানী বাণিজ্যের পরিমাণ চলতি বছরে ০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। গত ২১ ফেব্রুয়ারী, সোমবার, সিমলায় ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত ১০ম ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সাথে মতবিনিময়কালে এই কথা বলেন তিনি।

ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “সাম্প্রতিক অতীতে দ্বিমুখী বাণিজ্যে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে। প্রথমবারের মতো এ বছর বাণিজ্যের পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাণিজ্যের এই গতি আরও বাড়ানোর জন্য একটি ব্যাপক অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি অত্যাবশ্যক।”

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে শ্রিংলা বলেন, “বাংলাদেশ দৃঢ় আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি শুধু বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ নয়, বরং সমানভাবে এ অঞ্চল ও তার বাইরের স্বার্থ রক্ষা করছে।”

শ্রিংলা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন ও সমুন্নত রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন, বিশেষ করে যখন উগ্রপন্থী ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলো নিজেদের স্বার্থে এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালচ্ছে। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তিনি বলেন, “উভয় দেশের অর্থনৈতিক সংযোগ এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ।”

এ প্রসঙ্গে, অবৈধ কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে রাখা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পণ্য ও মানুষের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে সীমান্ত অবকাঠামো শক্তিশালী করার জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করার উপর জোর দেন তিনি। কানেক্টিভিটি ইস্যু প্রসঙ্গে শ্রিংলা বলেন, “উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ নিজেদের অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহারের মাধ্যমে সংযোগ বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে।”

তিনি আরো বলেন, “ভারত বিমসটেক ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে গতি সঞ্চার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই অঞ্চলে সার্বজনীন উন্নয়ন এবং সংযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সহযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হতে পারে। আমরা পরবর্তী বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের অপেক্ষায় রয়েছি।”

শ্রিংলা বলেন, “বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশ আমাদের নিকট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশের সঙ্গেই আমাদের সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন সহযোগিতা বিদ্যমান। বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে উপমহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও পরিবহন কেন্দ্র।”

এসময়, ভারত-বাংলাদেশের পানি বণ্টন চুক্তি নিয়েও কথা বলেন অভিজ্ঞ এই কূটনীতিক। তিনি বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন ৫৪টি নদ-নদী রয়েছে যা আমাদের সম্পদ এবং দায়িত্বের অংশ। গঙ্গার পানি বণ্টনের ঐতিহাসিক চুক্তি সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।” খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানী পৌঁছাবে ২ বিলিয়ন ডলারে

প্রকাশ: ০৭:৫৯:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানী বাণিজ্যের পরিমাণ চলতি বছরে ০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। গত ২১ ফেব্রুয়ারী, সোমবার, সিমলায় ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত ১০ম ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সাথে মতবিনিময়কালে এই কথা বলেন তিনি।

ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “সাম্প্রতিক অতীতে দ্বিমুখী বাণিজ্যে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে। প্রথমবারের মতো এ বছর বাণিজ্যের পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাণিজ্যের এই গতি আরও বাড়ানোর জন্য একটি ব্যাপক অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি অত্যাবশ্যক।”

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে শ্রিংলা বলেন, “বাংলাদেশ দৃঢ় আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি শুধু বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ নয়, বরং সমানভাবে এ অঞ্চল ও তার বাইরের স্বার্থ রক্ষা করছে।”

শ্রিংলা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন ও সমুন্নত রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন, বিশেষ করে যখন উগ্রপন্থী ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলো নিজেদের স্বার্থে এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালচ্ছে। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তিনি বলেন, “উভয় দেশের অর্থনৈতিক সংযোগ এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ।”

এ প্রসঙ্গে, অবৈধ কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে রাখা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পণ্য ও মানুষের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে সীমান্ত অবকাঠামো শক্তিশালী করার জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করার উপর জোর দেন তিনি। কানেক্টিভিটি ইস্যু প্রসঙ্গে শ্রিংলা বলেন, “উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ নিজেদের অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহারের মাধ্যমে সংযোগ বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে।”

তিনি আরো বলেন, “ভারত বিমসটেক ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে গতি সঞ্চার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই অঞ্চলে সার্বজনীন উন্নয়ন এবং সংযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সহযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হতে পারে। আমরা পরবর্তী বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের অপেক্ষায় রয়েছি।”

শ্রিংলা বলেন, “বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশ আমাদের নিকট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশের সঙ্গেই আমাদের সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন সহযোগিতা বিদ্যমান। বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে উপমহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও পরিবহন কেন্দ্র।”

এসময়, ভারত-বাংলাদেশের পানি বণ্টন চুক্তি নিয়েও কথা বলেন অভিজ্ঞ এই কূটনীতিক। তিনি বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন ৫৪টি নদ-নদী রয়েছে যা আমাদের সম্পদ এবং দায়িত্বের অংশ। গঙ্গার পানি বণ্টনের ঐতিহাসিক চুক্তি সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।” খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক