০২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭৪তম সেনা দিবস: এক নজরে ভারতীয় সেনার গৌরবগাঁথা

মিহির ভোসলে: আগামী ১৫ জানুয়ারী, শনিবার, ৭৪তম সেনা দিবস উদযাপন করতে চলেছে ভারত। ১৯৪৯ সালের ঐতিহাসিক এই দিনটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন দেশটির প্রথম লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেএম কারিয়াপ্পা। প্রথম ভারতীয় অফিসার হিসেবে সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। এর আগে পর্যন্ত ভারতে সেনা কমান্ডার ছিলেন ব্রিটিশ অফিসারেরাই। এই স্মৃতি ধরে রাখতেই প্রতিবছর দিনটিকে সেনা দিবস হিসেবে পালন করে থাকে ভারত সরকার।

সরাসরি নিজেদের অধীনে পরিচালনার সুযোগ প্রাপ্তির পর থেকে একের পর এক ইতিহাস তৈরী করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আদর্শ ও মূল্যবোধকে সঙ্গী করে বহিঃশত্রুর সকল আক্রমণ প্রতিরোধ এবং যেকোনো দূর্যোগকালীন সময়ে জাতির ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার মাধ্যমে ভারত সরকার ও জনগণের আস্থার পাত্রে পরিণত হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্য।

সেনাদের মহান সব কীর্তি স্মরণ করতে ও রাঙিয়ে তুলতে প্রতিবছরই সেনা দিবসে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরদের বীরত্ব পুরস্কার এবং সেনা পদক দেওয়া হয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা নেই। দেশ জুড়ে ভীষণ ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হবে এবছরও। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে রাজধানী নয়াদিল্লীর কারিপ্পা প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি সেনা প্যারেড পরিচালিত হবে। আসন্ন এই গৌরবের দিনটিকে কেন্দ্র করে চলুন দেখে নিই বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এই সামরিক বাহিনীর বীরত্ব, অর্জন ও কৃতিত্বের নানান সব কথা।

বিশ্বের অন্যতম প্রধান শক্তিশালী সামরিক বাহিনী:

প্রতিষ্ঠাকালীন সাদামাটা ভাবমূর্তির সেনাবাহিনী বিগত সাত দশকে হয়ে উঠেছে বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম প্রধান সামরিক বাহিনী। যেকোনো প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানানোর সক্ষমতা অর্জনের পাশাপাশি কৌশলগত প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখার মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনী হয়ে উঠেছে জনগণের বিশ্বাস পাত্র!

গত ১১ জানুয়ারী, মঙ্গলবার, এক ব্রিফিংকালে সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারভানে বলেন, “উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে সর্বোচ্চ স্তরের অপারেশনাল প্রস্তুতি বজায় রেখেছে ভারতীয় সেনা। যেকোনো পরিস্থিতি আমরা দৃঢ়তার সাথে মোকাবেলা করতে সক্ষম। আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী, তবে নিশ্চিতরূপেই সক্ষম।”

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানোর কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন জেনারেল নারভানে। পাশাপাশি সামরিক ক্ষেত্রে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়তে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বর্ণনাও দেন তিনি। উক্ত ব্রিফিংকালে সেনাবাহিনী কর্তৃক ব্যবহৃত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ৫জি প্রযুক্তি এবং কোয়ান্টাম প্রযুক্তির সুবিধাদির উপর আলোকপাত করতে দেখা যায় তাঁকে।

বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রায় বিশ লাখের অধিক সদস্য রয়েছেন। যেকোনো সময়ে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত সক্রিয় সেনার সংখ্যা ১৪ লাখের বেশি। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্যাংক, কামান, ফাইটার এয়ারক্র্যাফ্ট এবং অন্যান্য পরিষেবার নিরিখে সামরিকভাবে বিশ্বে শক্তিশালী দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে ভারত।

ভারতীয় বাহিনীর কাছে রয়েছে ৪২৯২ ট্যাংক, ৪০৬০ কামান এবং ৫৩৮টি ফাইটার এয়ারক্র্যাফ্ট। পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার কারণে গোটা বছরই সক্রিয় থাকে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে রাশিয়া, আমেরিকা-সহ বহু দেশের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণ করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেট ৬১ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

গৌরবময় বিজয়:

ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্ব, ত্যাগ ও বিজয়ের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বরাবরই বিজয়ী হয়ে আসছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এর নিজস্ব ইতিহাস, গৌরব এবং অর্জন রয়েছে। শুধুমাত্র পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই প্রায় চারটি বড় যুদ্ধে জয়ী হয়েছে ভারতীয় বাহিনী।

এর মাঝে সবচেয়ে বড় অর্জন নিঃসন্দেহে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, যার বদৌলতে পাকিস্তানের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। প্রায় ৯৩ হাজার সৈন্যসহ ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলো জেনারেল নিয়াজীর নেতৃত্বাধীন পাক ফৌজ, যা পৃথিবীর একমাত্র পাবলিক সারেন্ডার হিসেবে খ্যাত। গোটা অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে বছরব্যাপী স্বর্ণিম বিজয় বর্ষ উদযাপন করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

বিশ্ব নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি:

বৈশ্বিক নিরাপত্তার প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি সবসময়ই উদাহরণ তূল্য। ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভারতীয় সেনাবাহিনী। শান্তিরক্ষার্থে ভারতের এক দীর্ঘ এবং বর্ণাঢ্য ইতিহাস রয়েছে। গত ৭০ বছরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা বাহিনী ভারতের। এখানকার সশস্ত্র বাহিনীর অভিজ্ঞতা এবং পেশাদারিত্ব বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রের কাছেই অনুকরণীয়।

বিশ্বের প্রায় ১৬০ এর বেশি দেশে ভারত শান্তিরক্ষী পাঠিয়েছে এবং বহু মিশনে নেতৃত্ব প্রদান করেছে। খোদ জাতিসংঘের ভাষ্যমতে বর্তমানে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি ভারতীয় সেনা আবেই, সাইপ্রাস, কঙ্গো, লেবানন, মধ্যপ্রাচ্য, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান এবং পশ্চিম সাহারায় শান্তি অভিযানে কাজ করছে। এসব অঞ্চলে কঠোর পরিশ্রম করে শান্তি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে এবং স্থিতাবস্থা বজায় রেখে দেশের নাম উজ্জ্বল করছে ভারতীয় সেনারা। আর এভাবেই বিগত ৭৪ বছরের পথ পরিক্রমায় বিশ্বে ভারতের সবচেয়ে বড় গৌরব ভারতীয় সেনাবাহিনী।

লেখক: এসিস্ট্যান্ট এডিটর, ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

৭৪তম সেনা দিবস: এক নজরে ভারতীয় সেনার গৌরবগাঁথা

প্রকাশ: ১২:০১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২

মিহির ভোসলে: আগামী ১৫ জানুয়ারী, শনিবার, ৭৪তম সেনা দিবস উদযাপন করতে চলেছে ভারত। ১৯৪৯ সালের ঐতিহাসিক এই দিনটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন দেশটির প্রথম লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেএম কারিয়াপ্পা। প্রথম ভারতীয় অফিসার হিসেবে সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। এর আগে পর্যন্ত ভারতে সেনা কমান্ডার ছিলেন ব্রিটিশ অফিসারেরাই। এই স্মৃতি ধরে রাখতেই প্রতিবছর দিনটিকে সেনা দিবস হিসেবে পালন করে থাকে ভারত সরকার।

সরাসরি নিজেদের অধীনে পরিচালনার সুযোগ প্রাপ্তির পর থেকে একের পর এক ইতিহাস তৈরী করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আদর্শ ও মূল্যবোধকে সঙ্গী করে বহিঃশত্রুর সকল আক্রমণ প্রতিরোধ এবং যেকোনো দূর্যোগকালীন সময়ে জাতির ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার মাধ্যমে ভারত সরকার ও জনগণের আস্থার পাত্রে পরিণত হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্য।

সেনাদের মহান সব কীর্তি স্মরণ করতে ও রাঙিয়ে তুলতে প্রতিবছরই সেনা দিবসে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরদের বীরত্ব পুরস্কার এবং সেনা পদক দেওয়া হয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা নেই। দেশ জুড়ে ভীষণ ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হবে এবছরও। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে রাজধানী নয়াদিল্লীর কারিপ্পা প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি সেনা প্যারেড পরিচালিত হবে। আসন্ন এই গৌরবের দিনটিকে কেন্দ্র করে চলুন দেখে নিই বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এই সামরিক বাহিনীর বীরত্ব, অর্জন ও কৃতিত্বের নানান সব কথা।

বিশ্বের অন্যতম প্রধান শক্তিশালী সামরিক বাহিনী:

প্রতিষ্ঠাকালীন সাদামাটা ভাবমূর্তির সেনাবাহিনী বিগত সাত দশকে হয়ে উঠেছে বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম প্রধান সামরিক বাহিনী। যেকোনো প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানানোর সক্ষমতা অর্জনের পাশাপাশি কৌশলগত প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখার মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনী হয়ে উঠেছে জনগণের বিশ্বাস পাত্র!

গত ১১ জানুয়ারী, মঙ্গলবার, এক ব্রিফিংকালে সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারভানে বলেন, “উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে সর্বোচ্চ স্তরের অপারেশনাল প্রস্তুতি বজায় রেখেছে ভারতীয় সেনা। যেকোনো পরিস্থিতি আমরা দৃঢ়তার সাথে মোকাবেলা করতে সক্ষম। আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী, তবে নিশ্চিতরূপেই সক্ষম।”

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানোর কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন জেনারেল নারভানে। পাশাপাশি সামরিক ক্ষেত্রে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়তে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বর্ণনাও দেন তিনি। উক্ত ব্রিফিংকালে সেনাবাহিনী কর্তৃক ব্যবহৃত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ৫জি প্রযুক্তি এবং কোয়ান্টাম প্রযুক্তির সুবিধাদির উপর আলোকপাত করতে দেখা যায় তাঁকে।

বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রায় বিশ লাখের অধিক সদস্য রয়েছেন। যেকোনো সময়ে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত সক্রিয় সেনার সংখ্যা ১৪ লাখের বেশি। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্যাংক, কামান, ফাইটার এয়ারক্র্যাফ্ট এবং অন্যান্য পরিষেবার নিরিখে সামরিকভাবে বিশ্বে শক্তিশালী দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে ভারত।

ভারতীয় বাহিনীর কাছে রয়েছে ৪২৯২ ট্যাংক, ৪০৬০ কামান এবং ৫৩৮টি ফাইটার এয়ারক্র্যাফ্ট। পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার কারণে গোটা বছরই সক্রিয় থাকে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে রাশিয়া, আমেরিকা-সহ বহু দেশের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণ করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেট ৬১ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

গৌরবময় বিজয়:

ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্ব, ত্যাগ ও বিজয়ের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বরাবরই বিজয়ী হয়ে আসছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এর নিজস্ব ইতিহাস, গৌরব এবং অর্জন রয়েছে। শুধুমাত্র পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই প্রায় চারটি বড় যুদ্ধে জয়ী হয়েছে ভারতীয় বাহিনী।

এর মাঝে সবচেয়ে বড় অর্জন নিঃসন্দেহে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, যার বদৌলতে পাকিস্তানের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। প্রায় ৯৩ হাজার সৈন্যসহ ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলো জেনারেল নিয়াজীর নেতৃত্বাধীন পাক ফৌজ, যা পৃথিবীর একমাত্র পাবলিক সারেন্ডার হিসেবে খ্যাত। গোটা অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে বছরব্যাপী স্বর্ণিম বিজয় বর্ষ উদযাপন করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

বিশ্ব নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি:

বৈশ্বিক নিরাপত্তার প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি সবসময়ই উদাহরণ তূল্য। ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভারতীয় সেনাবাহিনী। শান্তিরক্ষার্থে ভারতের এক দীর্ঘ এবং বর্ণাঢ্য ইতিহাস রয়েছে। গত ৭০ বছরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা বাহিনী ভারতের। এখানকার সশস্ত্র বাহিনীর অভিজ্ঞতা এবং পেশাদারিত্ব বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রের কাছেই অনুকরণীয়।

বিশ্বের প্রায় ১৬০ এর বেশি দেশে ভারত শান্তিরক্ষী পাঠিয়েছে এবং বহু মিশনে নেতৃত্ব প্রদান করেছে। খোদ জাতিসংঘের ভাষ্যমতে বর্তমানে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি ভারতীয় সেনা আবেই, সাইপ্রাস, কঙ্গো, লেবানন, মধ্যপ্রাচ্য, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান এবং পশ্চিম সাহারায় শান্তি অভিযানে কাজ করছে। এসব অঞ্চলে কঠোর পরিশ্রম করে শান্তি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে এবং স্থিতাবস্থা বজায় রেখে দেশের নাম উজ্জ্বল করছে ভারতীয় সেনারা। আর এভাবেই বিগত ৭৪ বছরের পথ পরিক্রমায় বিশ্বে ভারতের সবচেয়ে বড় গৌরব ভারতীয় সেনাবাহিনী।

লেখক: এসিস্ট্যান্ট এডিটর, ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক