ভারতীয় পররাষ্ট্রনীতির সব সিদ্ধান্ত ‘জাতীয় স্বার্থ’ বিবেচনায় নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ২৪ মার্চ, বৃহস্পতিবার, ভারতের রাজ্যসভাতে ইউক্রেন বিষয়ক এক প্রশ্নোত্তরে এমন মন্তব্য করেন তিনি। মোদী মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রী বলেন, “বিশ্বব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী সমস্ত দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের কথা বলা হয়েছে। আমরাও তাই শুরু থেকেই শান্তির বার্তাই জানাচ্ছি।”

ইউক্রেন ইস্যু কাজে লাগিয়ে ভারত বাণিজ্যিক ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে, এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে জয়শঙ্কর বলেন, “ইউক্রেনের পরিস্থিতিকে বাণিজ্যের ইস্যুতে যুক্ত করার কোন প্রশ্নই আসে না। যেখানে আমরা ইউক্রেন ইস্যুতে নিজেদের উদ্বেগ শুরু থেকেই প্রকাশ করছি, সেখানে এমন কথা সমীচীন নয়।”

এসময়, ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতের অবস্থানের ছয়টি মূলনীতি তুলে ধরেন জয়শঙ্কর। সেগুলো যথাক্রমে,

প্রথমত, ভারত অবিলম্বে সহিংসতা এবং শত্রুতা বন্ধ করার আহ্বান জানায়। তিনি বলেন, ভারত শান্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দ্বিতীয়ত, ভারত বিশ্বাস করে আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে শান্তির পথে ফিরে আসা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

তৃতীয়ত, ভারত স্বীকার করে বিশ্বব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের সনদ সমস্ত দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। চতুর্থটি হল, ভারত সংঘাতের পরিস্থিতি হ্রাস করতে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির আহ্বান জানাচ্ছে।

পঞ্চমটি হল, ভারত মানবিক সাহায্য দিচ্ছে। এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে প্রায় ৯০ টন মানবিক সাহায্য দিয়েছে ভারত, যার মাঝে রয়েছে জীবন রক্ষাকারী মহামূল্যবান ঔষধ। এবং শেষ নীতিতে রয়েছে, ভারত রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ের নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ করছে।

তিনি তার লিখিত প্রতিক্রিয়ায় হাউসকে আরও জানিয়েছেন যে, “ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে আমরা ১৮ টি দেশের ১৪৭ জন বিদেশী নাগরিক সহ ইউক্রেন থেকে প্রায় ২২,৫০০ ভারতীয় নাগরিককে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।” খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক