ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২২ মার্চ, মঙ্গলবার, ইউক্রেন পরিস্থিতিসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক বিষয়াদি নিয়ে মতবিনিময় করেন দুই নেতা। এসময়, ইউক্রেনের ভয়াবহ পরিস্থিতির অবিলম্বে অবসান ঘটানো ও সেখানকার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
জানা গিয়েছে, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায় বারবার কূটনৈতিক সমাধানের কথা উঠে আসে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে মোদী জানান, “ভারত বরাবরই আলোচনা ও কূটনৈতিক স্তরে শান্তি ফেরানোর পক্ষে আবেদন করেছে।”
এদিকে ব্রিটেনের তরফে এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইউক্রেনের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে। বরিস জনসন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট যে পদক্ষেপ করেছেন তা এককথায় বিরক্তিকর ও ধ্বংসাত্মতক গোটা পৃথিবীর কাছে। উভয় প্রধানমন্ত্রী একটা বিষয়ে একমত যে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা দরকার।
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়াকে একহাত নেওয়ার জন্য ভারতের উপর লাগাতার চাপ বাড়াচ্ছে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো। পর্দার আড়ালে মস্কোকে একঘরে করতে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে পশ্চিমের দেশগুলো। কারণ, মার্কিন শিবিরের চাপিয়ে দেওয়া আর্থিক নিষেধাজ্ঞার ধার ভোঁতা করতে ভারত ও চীনের থেকে অনেকটাই মদদ পাচ্ছে রাশিয়া। ফলে বিশ্বের অন্যতম বড় দুই অর্থনীতিকে সঙ্গে না পেলে পুতিনকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে একঘরে করা সম্ভব নয়।
বলে রাখা ভাল, রাশিয়াকে জব্দ করতে দেশটির উপর একগুচ্ছ আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান-সহ একাধিক দেশ। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করাও বন্ধ করে দিয়েছে ওয়াশিংটন। শুধু তাই নয়, রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংককে আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেনের ‘সুইফট’ ব্যবস্থা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
ভারতের তরফে সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মোদী আন্তর্জাতিক আইনকে মান্যতা দেওয়া, ও সমস্ত দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার পক্ষেই সওয়াল করেন। এদিকে ব্রিটেনের তরফে এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইউক্রেনের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে। বরিস জনসন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা এককথায় বিরক্তিকর ও ধ্বংসাত্মতক গোটা পৃথিবীর কাছে। উভয় প্রধানমন্ত্রী একটা বিষয়ে একমত যে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করা দরকার। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক