ভারতের পররাষ্ট্রনীতির ভূয়সী প্রশংসা করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ‘স্বাধীন বিদেশ নীতি’ অনুসরণ করায় ভারত সরকারের স্তুতি শুনা যায় পাক সরকার প্রধানের মুখে। ২০ মার্চ, রবিবার, খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মলকনাদ জেলায় বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলেন, “আমরা একটি স্বাধীন দেশ চাই। আমার দেশের বিদেশ নীতি আমার দেশের লোকেদের কল্যাণের জন্য হবে। আজ আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতের প্রশংসা করছি। ওদের বিদেশনীতি সবসময় স্বাধীন থেকেছে। আজ ইউরোপের সঙ্গে ওদের জোট আছে। কোয়াডের মধ্যে আমেরিকার জোট সঙ্গী হয়ে আছে। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি করছে। অথচ নিজেদের নিরপেক্ষ বলে থাকে। কারণ নিজেদের নাগরিকদের কল্যাণের জন্য তৈরি হয়েছে ভারতের নীতি।”
এরইমধ্যে নিজেকে ‘নয়া পাকিস্তানের’ ধারক-বাহক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন ইমরান। তাঁর আমলে পাকিস্তান কখনও বিদেশি শক্তির কাছে মাথা নত করেননি বলেও দাবি করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। দাবি করেন, অতীতে আমেরিকার সঙ্গে মাথা নত করে নিত ইসলামাবাদ। বিদেশি শক্তির মুখের উপর কিছু বলতে পারত না পাকিস্তান।
ইমরান দাবি করেন, “ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য দেশ-সহ ২২ টি দেশের দূত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধে পাকিস্তানকে মস্কোর বিরুদ্ধে ভোট দিতে বলেছিলেন। যে কাজটা করে ওই দূতরা ‘প্রোটোকল’ ভেঙেছিলেন।”
তাঁর কথায়, ‘আমি ওঁদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনি ভারতকে কি এটা বলতে পারবেন? ভারতকে বলার সময় (ভয়ে) মরে যান এঁরা। আমরা ওঁদের চাকর নাকি যে ওঁদের কথা মতো রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিবৃতি দেব!”
উল্লেখ্য, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলা উত্তেজনার মধ্যে ভারত এখনও পর্যন্ত কারও পক্ষ নেয়নি। তবে ভারতের পক্ষ থেকে যুদ্ধ বন্ধ করে কথাবার্তার মাধ্যমে বিবাদ নিষ্পত্তির দাবি উঠেছে। পশ্চিমা দেশগুলো একের পর এক ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা করলেও ভারত তার পুরনো সম্পর্ক ও নিরপেক্ষতা দেখিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে।
চলতি মাসের ৮ তারিখে রাশিয়া থেকে তেল, গ্যাস ও কয়লা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আমেরিকা। এ জন্য হোয়াইট হাউস থেকে একটি বিশেষ আদেশও জারি করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক সময়ে ভারত রাশিয়া থেকে সস্তা দামে অপরিশোধিত তেল আমদানি বাড়িয়েছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক