দুই দিনের ভারত সফরে এসেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটিই তার প্রথম ভারত সফর। তিনি রাজধানী দিল্লিতে ১৪তম ভারত-জাপান বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেবেন। অনুষ্ঠানটি হবে ১৯ ও ২০ মার্চ। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেনে চলমান সংঘাত নিয়ে আলোচনাই হবে তার সফরের প্রধান উদ্দেশ্য। এছাড়া ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও কথা বলবেন তিনি।
ইউক্রেনে রাশিয়ায় সামরিক আগ্রাসনের কারণে এবারের সম্মেলন বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। সর্বশেষ ভারত-জাপান বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালে জাপানের রাজধানী টোকিওতে। ভারত ও জাপানের মধ্যে রয়েছে বহুমুখী সহযোগিতামূলক সম্পর্ক।
এটিকে তারা বিশেষ কৌশলগত এবং বৈশ্বিক অংশীদারি সম্পর্ক বলে আখ্যায়িত করে। এবারের সম্মেলনে উভয় পক্ষ নিজেদের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার সুযোগ পাবে। এছাড়া আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নানা ইস্যুতে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে দেশ দুটির নেতারা।
২০২১ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর কিশিদার সঙ্গে ফোনালাপ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেসময় উভয় পক্ষ থেকেই সম্পর্ক শক্তিশালী করার আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।
গত বছরও ভারত-জাপান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও পর্যালোচনা ইস্যুতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছিল। মহামারির অবহে ভার্চুয়াল বৈঠক ও ফোনকলের মাধ্যমে দুই দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তিরা কথা বলেছিলেন।
মুম্বই-আহমেদাবাদ হাইস্পিড রেল, ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোর, মেট্রো প্রকল্প, দিল্লি মুম্বই শিল্প করিডোরসহ একাধিক প্রকল্প ভারত-জাপান যৌথ উদ্যোগে হচ্ছে। এছাড়াও বেশ কিছু অবকাঠামোগত প্রকল্পের কাজও চলছে এই দেশে। সেই প্রকল্পের কাজ নিয়েও দুই দেশের শীর্ষ কর্তাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
ভারত-জাপান ২০১৮ সালে এরটি ডিজিটাল অংশীদারিত্ব স্বাক্ষর করেছিল। যেখানে বর্তমানে ভারতীয় স্টার্টআপগুলি জাপানিজ ভেঞ্চার ক্যাপিটালগুলি থেকে ১০ বিলিয়ান মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ সংগ্রহ করেছিল। অন্যদিকে প্রযুক্তিগত স্টার্টআপের ক্ষেত্রে ভারতের সংগ্রহ প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও ৫জি, সমুদ্রের তলা দিয়ে কেবল, টেলিকম, নেটওয়ার্কের সুরক্ষা-সহ একাধিক ক্ষেত্রেও দুই দেশ যৌথভাবে সমিল হয়েছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক