ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করেছেন শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপাকসে। ১৬ মার্চ, বুধবার, নয়াদিল্লীতে বৈঠক করেন দুই নেতা। এসময়, মহামারীকালীন সময়সহ সর্বাবস্থায় শ্রীলঙ্কার পাশে থাকায় ভারতের নিকট কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন লঙ্কান অর্থমন্ত্রী। উল্লেখ্য, বর্তমানে দু দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে অবস্থান করছেন লঙ্কান অর্থমন্ত্রী।
পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ভারতে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কান হাইকমিশন। তারা জানায়, “প্রধানমন্ত্রী মোদী একজন একনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে সবসময় শ্রীলঙ্কার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। লঙ্কান অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপাকসে গত ডিসেম্বরে ভারত সফরে হওয়া স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী অর্থনৈতিক চুক্তিগুলোর অগ্রগতি তদারকি করতে দুদিনের সফরে ভারতে এসেছেন।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নিকট কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপাক্ষে। এসময়, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিনিময় করেন দুই নেতা। কৃষি, নবায়নযোগ্য শক্তি, ডিজিটালাইজেশন, পর্যটন এবং মৎস্যসম্পদ খাত নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন তারা। এসময়, লঙ্কান সরকার কর্তৃক জৈব কৃষির দিকে অগ্রসর হওয়ার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন মোদী।”
শ্রীলঙ্কান হাইকমিশনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “শ্রীলঙ্কায় পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উন্নয়নে সহযোগিতা পারস্পরিকভাবে উপকারী এবং এটিকে জোরেশোরে অনুসরণ করা উচিত বলেও উভয়ে একমত হয়েছেন। পাশাপাশি প্রযুক্তি খাতে জনগণের মধ্যে আরও সম্পৃক্ততা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হোন তারা।”
আলোচনাকালে, শ্রীলঙ্কায় রামায়ণ পথের প্রচারের তাৎপর্য এবং গুজরাট সহ ভারতে বৌদ্ধ সার্কিট এর উন্নয়নকল্পে সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে মতবিনিময় করেন দুই নেতা। এসময়, ২০০৯ সালে গুজরাটের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সাক্ষরিত একটি পর্যটন চুক্তির কথাও স্মরণ করেন দুজনে।
বৈঠকে উভয় দেশের সীমান্তের জেলেদের জীবনে দুরাবস্থা, তাঁদের মাছ ধরার পরিবেশ তৈরী, গ্রেপ্তার জেলেদের দ্রুত মুক্তি এবং তাঁদের নৌকা সহ যাবতীয় সব দ্রব্যাদি ফেরত দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন মোদী ও বাসিল রাজাপাকসে। এই জটিল সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজতে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন তারা।
বৈঠককালে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার মিলিন্দা মোরাগোদাও উপস্থিত ছিলেন। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক