জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়েছে নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের। নেপালের শিক্ষাখাতে ভারতের ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান সহায়তার অধীনে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। ১৫ মার্চ, মঙ্গলবার, যৌথভাবে গ্রন্থাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে ভারত ও নেপাল।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন লাইব্রেরীটি ব্যয় করতে প্রায় ৩১৭ মিলিয়ন রুপী ব্যয় করা হয়েছে। ভবনটি নির্মাণের সময় ভূমিকম্প-প্রতিরোধী নিয়ম ও নির্দেশনা মেনে কাজ করা হয়েছে। এসব তথ্য পরবর্তীতে এক বিবৃতির মাধ্যমে জানায় নেপালের ভারতীয় দূতাবাস।
নতুন ভবনটি প্রায় তিন তলা বিশিষ্ট। এতে আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধাই রাখা হয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্যে। একাডেমিক বিভাগ সহ আনুষাঙ্গিক সকল সুবিধাই এতে দেয়া হয়েছে।
ভারতীয় দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিবিআরআই) এই লাইব্রেরি নির্মাণের জন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রদান করেছে। নেপালে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় মোহন কোয়াত্রা এবং নেপাল সরকারের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী দেবেন্দ্র পাউডেল যৌথভাবে প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান করেছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত কোয়াত্রা বলেন, “এই প্রকল্পটি ভারত ও নেপালের মধ্যে বহুমুখী, শক্তিশালী এবং দৃঢ় উন্নয়ন অংশীদারিত্বের একটি প্রমাণ। ভারত তার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নেপাল সরকারের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
ভারতীয় দূতাবাসের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নেপালের মন্ত্রী দেবেন্দ্র পাউডেল শিক্ষা ক্ষেত্রে তার ভৌত অবকাঠামো বৃদ্ধিতে নেপালের প্রতি ভারতের অব্যাহত সমর্থনের প্রশংসা করেছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য নেপাল সরকারের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং ভারতের দূতাবাসের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে দূতাবাসের পক্ষে জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, দূতাবাসের প্রতিনিধি, নেপালের সেন্ট্রাল লেভেল প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন ইউনিট (সিএলপিআইইউ) এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, ভারত নেপাল সরকারকে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ভূমিকম্প পুনর্গঠন অনুদান সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এর মধ্যে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার শিক্ষা খাতে রয়েছে, যার অধীনে আটটি জেলা জুড়ে ৭১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৪ টি প্রকল্প ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে এবং বাকিগুলো সক্রিয় নির্মাণাধীন রয়েছে।
বর্তমান ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনটি ১৯৬৭ সালে ভারত সরকারের সহায়তায় নির্মিত হয়েছিল। ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারত সরকার কর্তৃক গৃহীত অন্যান্য বড় প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ১৯৭৩ সালে গান্ধী ভবন নির্মাণ। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক