০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত-চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ: জাতিসংঘ মহাসচিব

ইউক্রেনে সঙ্কট মোকাবেলায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে, এমন কয়েকজন বিশ্ব নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ১৪ মার্চ, সোমবার, সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ভারত, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইসরাইল এবং তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ করছি। তারা মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।”

ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “শেষ পর্যন্ত যাই হোক না কেন, এ যুদ্ধে কেউ জিতবে না, সবাই হারবে। ইউক্রেন আগুনে পুড়ছে। বিশ্বের চোখের সামনে দেশটি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যুদ্ধের প্রভাব ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছে গেছে। নারী- শিশুসহ অগণিত নিরপরাধ মানুষ নিহত হয়েছে।”

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, “রুশ বাহিনীর হামলায় রাস্তা, বিমানবন্দর, স্কুলগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জানিয়েছে, অন্তত ২৪টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলার করা হয়েছে। কয়েক লাখ মানুষ পানি-বিদ্যুৎহীন। প্রতি ঘণ্টায় শুধু দুটি বিষয় পরিষ্কার হচ্ছে। প্রথমত, পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, শেষ পর্যন্ত যাই হোক না কেন, এই যুদ্ধে কেউ বিজয়ী হবে না, শুধু পরাজিত হবে।”

গুতেরেস বলেন, জাতিসংঘ এবং মানবিক অংশীদাররা অবরোধিত এলাকা থেকে নিরাপদ পথচলা নিশ্চিত করতে এবং যেখানে নিরাপত্তার অনুমতি দেয় সেখানে সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করছে। যার ফলে বোমা হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৬০০,০০০ জনকে কোনো না কোনো ধরনের সাহায্য পাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”

তিনি অত্যাবশ্যক সহায়তা জোরদার করতে সেন্ট্রাল ইমার্জেন্সি রেসপন্স ফান্ড (সিইআরএফ) থেকে অতিরিক্ত $৪০ মিলিয়ন মুক্তির ঘোষণা করেছেন, কিন্তু উল্লেখ করেছেন যে “আশেপাশের শহরগুলোর মধ্যে এবং বাইরের রাস্তাসমূহ প্রতিদিনের ভিত্তিতে আরও বিপজ্জনক।”

উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালানোর পর থেকে গুতেরেস এ পর্যন্ত পুতিনের সঙ্গে কথা বলেননি। নো-ফ্লাই জোন সম্পর্কে তার মতামত জানতে চাইলে তিনি তার সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, “এটি ঝুঁকি বাড়াবে, যা বিশ্বব্যাপী সংঘাত তৈরি করতে পারে। আমি মনে করি আমাদের বিচক্ষণ হওয়া দরকার। এমনকি আমি যদি ইউক্রেনীয় সরকারের আবেদন বুঝতেও পারি, আমাদের সবকিছু বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

আলোচনাকালে কূটনৈতিক পন্থায় আগ্রাসন বন্ধের আহবান জানান তিনি। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:
জনপ্রিয়

ভারত-চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ: জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রকাশ: ০২:৫৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০২২

ইউক্রেনে সঙ্কট মোকাবেলায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে, এমন কয়েকজন বিশ্ব নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ১৪ মার্চ, সোমবার, সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ভারত, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইসরাইল এবং তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ করছি। তারা মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।”

ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “শেষ পর্যন্ত যাই হোক না কেন, এ যুদ্ধে কেউ জিতবে না, সবাই হারবে। ইউক্রেন আগুনে পুড়ছে। বিশ্বের চোখের সামনে দেশটি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যুদ্ধের প্রভাব ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছে গেছে। নারী- শিশুসহ অগণিত নিরপরাধ মানুষ নিহত হয়েছে।”

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, “রুশ বাহিনীর হামলায় রাস্তা, বিমানবন্দর, স্কুলগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জানিয়েছে, অন্তত ২৪টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলার করা হয়েছে। কয়েক লাখ মানুষ পানি-বিদ্যুৎহীন। প্রতি ঘণ্টায় শুধু দুটি বিষয় পরিষ্কার হচ্ছে। প্রথমত, পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, শেষ পর্যন্ত যাই হোক না কেন, এই যুদ্ধে কেউ বিজয়ী হবে না, শুধু পরাজিত হবে।”

গুতেরেস বলেন, জাতিসংঘ এবং মানবিক অংশীদাররা অবরোধিত এলাকা থেকে নিরাপদ পথচলা নিশ্চিত করতে এবং যেখানে নিরাপত্তার অনুমতি দেয় সেখানে সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করছে। যার ফলে বোমা হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৬০০,০০০ জনকে কোনো না কোনো ধরনের সাহায্য পাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”

তিনি অত্যাবশ্যক সহায়তা জোরদার করতে সেন্ট্রাল ইমার্জেন্সি রেসপন্স ফান্ড (সিইআরএফ) থেকে অতিরিক্ত $৪০ মিলিয়ন মুক্তির ঘোষণা করেছেন, কিন্তু উল্লেখ করেছেন যে “আশেপাশের শহরগুলোর মধ্যে এবং বাইরের রাস্তাসমূহ প্রতিদিনের ভিত্তিতে আরও বিপজ্জনক।”

উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালানোর পর থেকে গুতেরেস এ পর্যন্ত পুতিনের সঙ্গে কথা বলেননি। নো-ফ্লাই জোন সম্পর্কে তার মতামত জানতে চাইলে তিনি তার সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, “এটি ঝুঁকি বাড়াবে, যা বিশ্বব্যাপী সংঘাত তৈরি করতে পারে। আমি মনে করি আমাদের বিচক্ষণ হওয়া দরকার। এমনকি আমি যদি ইউক্রেনীয় সরকারের আবেদন বুঝতেও পারি, আমাদের সবকিছু বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

আলোচনাকালে কূটনৈতিক পন্থায় আগ্রাসন বন্ধের আহবান জানান তিনি। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক