০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনে জৈব অস্ত্র: গণবিধ্বংসী কাজে নিষেধাজ্ঞা দাবি ভারতের

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জৈব-রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যুদ্ধে জৈব অস্ত্র প্রয়োগের আশঙ্কার মধ্যেই শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘে এই বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত।
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জৈবিক এবং রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনকে সম্পূর্ণ ভাবে অক্ষরে বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে ভারত।
বৈঠকে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেন, “আমরা দেশগুলোর সাম্প্রতিক বিবৃতি এবং ইউক্রেন সংক্রান্ত জৈবিক কার্যকলাপ সম্পর্কিত বিস্তৃত তথ্যের উপর নজর রেখেছি। এই প্রেক্ষাপটে, জৈবিক ও রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের গুরুত্ব পূণর্ব্যক্ত করতে চায় ভারত। গোটা বিশ্বে বৈষম্যহীন নিরস্ত্রীকরণের জন্য এই কনভেনশনের বাস্তবায়নের পক্ষে সওয়াল করতে চাই আমরা। সব শ্রেণির গণবিধ্বংসী অস্ত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মারিয়া জাখারোভা অভিযোগ করেন যে, আমেরিকার সাহায্য নিয়ে ইউক্রেন রাসায়নিক ও জৈবিক ল্যাব চালাচ্ছে। এই অভিযোগের মাঝেই জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করলো।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টার এই অভিযোগকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা বলে অভিহিত করেছে মার্কিন প্রশাসন।
ওয়াশিংটনের তরফে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয় যে ইউক্রেনের কোনও জৈবিক অস্ত্র কর্মসূচি নেই বা মার্কিন সমর্থিত এই ধরনের কো-ল্যাবও ইউক্রেনে নেই।
রাষ্ট্রসংঘে ওয়াশিংটনের দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড উল্টে বলেছেন, রাশিয়াই ইউক্রেনে রাসায়নিক বা জৈবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে ভারতীয় দূত তিরুমূর্তি এদিন আরও বলেন, “আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান আলোচনা সংঘাত বন্ধের পথ তৈরি করে দেবে। কূটনীতি ও সংলাপের পথ ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির দিকে জরুরি ভিত্তিতে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।” খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক
ট্যাগ:

ইউক্রেনে জৈব অস্ত্র: গণবিধ্বংসী কাজে নিষেধাজ্ঞা দাবি ভারতের

প্রকাশ: ০২:২৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জৈব-রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যুদ্ধে জৈব অস্ত্র প্রয়োগের আশঙ্কার মধ্যেই শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘে এই বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত।
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জৈবিক এবং রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনকে সম্পূর্ণ ভাবে অক্ষরে বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে ভারত।
বৈঠকে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেন, “আমরা দেশগুলোর সাম্প্রতিক বিবৃতি এবং ইউক্রেন সংক্রান্ত জৈবিক কার্যকলাপ সম্পর্কিত বিস্তৃত তথ্যের উপর নজর রেখেছি। এই প্রেক্ষাপটে, জৈবিক ও রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের গুরুত্ব পূণর্ব্যক্ত করতে চায় ভারত। গোটা বিশ্বে বৈষম্যহীন নিরস্ত্রীকরণের জন্য এই কনভেনশনের বাস্তবায়নের পক্ষে সওয়াল করতে চাই আমরা। সব শ্রেণির গণবিধ্বংসী অস্ত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মারিয়া জাখারোভা অভিযোগ করেন যে, আমেরিকার সাহায্য নিয়ে ইউক্রেন রাসায়নিক ও জৈবিক ল্যাব চালাচ্ছে। এই অভিযোগের মাঝেই জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করলো।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টার এই অভিযোগকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা বলে অভিহিত করেছে মার্কিন প্রশাসন।
ওয়াশিংটনের তরফে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয় যে ইউক্রেনের কোনও জৈবিক অস্ত্র কর্মসূচি নেই বা মার্কিন সমর্থিত এই ধরনের কো-ল্যাবও ইউক্রেনে নেই।
রাষ্ট্রসংঘে ওয়াশিংটনের দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড উল্টে বলেছেন, রাশিয়াই ইউক্রেনে রাসায়নিক বা জৈবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে ভারতীয় দূত তিরুমূর্তি এদিন আরও বলেন, “আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান আলোচনা সংঘাত বন্ধের পথ তৈরি করে দেবে। কূটনীতি ও সংলাপের পথ ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির দিকে জরুরি ভিত্তিতে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।” খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক