০১:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুনরায় ব্যাপক বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় বসবে ভারত-কানাডা

আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) নিয়ে আলোচনা পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়েছে ভারত ও কানাডা। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে প্রথমেই কানাডার সাথে একটি অন্তর্বর্তী বাণিজ্য চুক্তি করবে ভারত, যা একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য চুক্তির আদলে তৈরী করা হবে। ১১ মার্চ, শুক্রবার, নয়াদিল্লিতে পঞ্চমবারের মতো বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয় ভারত ও কানাডা।

বৈঠকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং কানাডার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দেশটির ক্ষুদ্র ব্যবসা, রপ্তানি উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্ত্রী মেরি এনজি। পরবর্তীতে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়য়।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জানানো হয়েছে, অন্তর্বর্তী চুক্তিতে পণ্য, পরিষেবা, উত্সের নিয়ম, স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি ব্যবস্থা, বাণিজ্যে প্রযুক্তিগত বাধা এবং বিরোধ নিষ্পত্তিতে উচ্চ স্তরের প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পারস্পরিকভাবে সম্মত হওয়া অন্য যেকোনো বিষয়ও এই চুক্তির অন্তর্ভূক্ত হতে পারবে।

মন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠকে ভারত-কানাডা সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তিসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করার ভিত্তি হিসেবে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ ইস্যুতেও বিস্তর আলোচনা হয়েছে জানা গিয়েছে। তাই মেরি এনজির চলমান ভারত সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবেই প্রতীয়মান হচ্ছে।

এ বিষয়ে কানাডান এই মন্ত্রী পূর্বেই জানিয়েছিলেন, “আমাদের সরকার ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল জুড়ে বাণিজ্য বৈচিত্র্য আনতে এবং কানাডিয়ান ব্যবসার জন্য উদ্ভাবনী পণ্য এবং পরিষেবা রপ্তানির আরও সুযোগ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কানাডা এবং ভারত ইতিমধ্যেই শক্তিশালী বাণিজ্য এবং জনগণের মধ্যে গভীর সম্পর্ক ভাগ করে নিয়েছে এবং আমি আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই আসন্ন ভার্চুয়াল বাণিজ্য মিশন এবং আমার আসন্ন ভারত সফর সহ গুরুত্বপূর্ণ।”

এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ১২ অক্টোবর ইতালির সোরেন্টোতে জি-২০ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন গোয়েল এবং মেরি এনজি।

উল্লেখ্য, মহামারী সত্ত্বেও বাড়ছে ভারত ও কানাডার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য। গত ২০২১ সালেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৬.২৯ বিলিয়ন পৌঁছেছে, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় প্রায় ১২% বেশি। তাছাড়া, ভারত ও কানাডার পণ্য ও পরিষেবা আমদানি-রপ্তানি সহ মোট দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। চলতি আর্থিক বছরের মধ্যে কানাডায় ভারতীয় রপ্তানি প্রায় ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে বেড়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।

কানাডায় প্রধান ভারতীয় রপ্তানির মধ্যে রয়েছে ওষুধ এবং ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, লোহা ও ইস্পাত পণ্য, সামুদ্রিক পণ্য, তুলো কাপড় এবং তৈরি পোশাক (আরএমজি) এবং রাসায়নিক ইত্যাদি। অন্যদিকে, ভারতে কানাডার প্রধান রপ্তানির মধ্যে রয়েছে ডাল, সার, কয়লা এবং অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

পুনরায় ব্যাপক বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় বসবে ভারত-কানাডা

প্রকাশ: ০২:২৮:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২

আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) নিয়ে আলোচনা পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়েছে ভারত ও কানাডা। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে প্রথমেই কানাডার সাথে একটি অন্তর্বর্তী বাণিজ্য চুক্তি করবে ভারত, যা একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য চুক্তির আদলে তৈরী করা হবে। ১১ মার্চ, শুক্রবার, নয়াদিল্লিতে পঞ্চমবারের মতো বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয় ভারত ও কানাডা।

বৈঠকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং কানাডার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দেশটির ক্ষুদ্র ব্যবসা, রপ্তানি উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্ত্রী মেরি এনজি। পরবর্তীতে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়য়।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জানানো হয়েছে, অন্তর্বর্তী চুক্তিতে পণ্য, পরিষেবা, উত্সের নিয়ম, স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি ব্যবস্থা, বাণিজ্যে প্রযুক্তিগত বাধা এবং বিরোধ নিষ্পত্তিতে উচ্চ স্তরের প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পারস্পরিকভাবে সম্মত হওয়া অন্য যেকোনো বিষয়ও এই চুক্তির অন্তর্ভূক্ত হতে পারবে।

মন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠকে ভারত-কানাডা সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তিসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করার ভিত্তি হিসেবে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ ইস্যুতেও বিস্তর আলোচনা হয়েছে জানা গিয়েছে। তাই মেরি এনজির চলমান ভারত সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবেই প্রতীয়মান হচ্ছে।

এ বিষয়ে কানাডান এই মন্ত্রী পূর্বেই জানিয়েছিলেন, “আমাদের সরকার ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল জুড়ে বাণিজ্য বৈচিত্র্য আনতে এবং কানাডিয়ান ব্যবসার জন্য উদ্ভাবনী পণ্য এবং পরিষেবা রপ্তানির আরও সুযোগ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কানাডা এবং ভারত ইতিমধ্যেই শক্তিশালী বাণিজ্য এবং জনগণের মধ্যে গভীর সম্পর্ক ভাগ করে নিয়েছে এবং আমি আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই আসন্ন ভার্চুয়াল বাণিজ্য মিশন এবং আমার আসন্ন ভারত সফর সহ গুরুত্বপূর্ণ।”

এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ১২ অক্টোবর ইতালির সোরেন্টোতে জি-২০ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন গোয়েল এবং মেরি এনজি।

উল্লেখ্য, মহামারী সত্ত্বেও বাড়ছে ভারত ও কানাডার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য। গত ২০২১ সালেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৬.২৯ বিলিয়ন পৌঁছেছে, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় প্রায় ১২% বেশি। তাছাড়া, ভারত ও কানাডার পণ্য ও পরিষেবা আমদানি-রপ্তানি সহ মোট দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। চলতি আর্থিক বছরের মধ্যে কানাডায় ভারতীয় রপ্তানি প্রায় ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে বেড়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।

কানাডায় প্রধান ভারতীয় রপ্তানির মধ্যে রয়েছে ওষুধ এবং ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, লোহা ও ইস্পাত পণ্য, সামুদ্রিক পণ্য, তুলো কাপড় এবং তৈরি পোশাক (আরএমজি) এবং রাসায়নিক ইত্যাদি। অন্যদিকে, ভারতে কানাডার প্রধান রপ্তানির মধ্যে রয়েছে ডাল, সার, কয়লা এবং অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক