০৯:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের সাথে সুসম্পর্ক চাই: শ্রিংলা

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঠিকঠাক রাখার জন্য সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখা দরকার। বিষয়টি চীনকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ভারত, এমনই মন্তব্য দেশটির পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ শ্রিংলার। ০৯ মার্চ, বুধবার, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশানাল একাডেমি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে প্রতিবেশীর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক -শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন বক্তব্য দেন তিনি।

আগামী ১১ই মার্চ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ভারত ও চীনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। তার আগে ভারত ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিকল্পে প্রয়োজনীয় বিষয়াদি জানিয়ে দিলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।

অনুষ্ঠানে চিরশত্রু পাকিস্তানের বিষয়েও কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। অভিজ্ঞ এই কূটনীতিক বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, তবে সেটা কখনই সুরক্ষার মূল্য চুকিয়ে নয়।”

উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে চীন ও পাকিস্তানের সম্পর্ক বরাবরই ঠিকঠাক নয়। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাতে চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি গত কয়েক বছর ধরে ক্রমাগত হচ্ছে। অন্যদিকে, নানা জঙ্গি কার্যকলাপের জেরে পাকিস্তানের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক কখনই ভালো জায়গায় আসেনি।

তবে পররাষ্ট্র সচিব পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, “চীনকে আমরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছি যে আমাদের সম্পর্কের উন্নতির জন্য সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখা দরকার। তিনটি ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হতে পারে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক সংবেদনশীলতা ও পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা করা।”

শ্রিংলা বলেন, “বারবার সীমান্তে নানা জঙ্গি কার্যকলাপের হুমকি দেওয়া হয়েছে ভারতকে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য শক্তি সম্প্রসারণও করছি আমরা। সন্ত্রাসী কোনো কাজকর্মই ছাড় দেয়া হবেনা।”

প্রসঙ্গত, ১১ই মার্চ ভারত ও চীন ১৫তম রাউন্ড সামরিক আলোচনায় বসবে। লাদাখে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বাকি ইস্যুগুলো মেটানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ, গত ১২ই জানুয়ারি কমান্ডার স্তরে মিটিং হয়েছিল। তবে সেই আলোচনায় কোনও ইতিবাচক কিছু বেরিয়ে আসেনি বলে জানা গিয়েছিলো। তবে উভয় দেশই জানিয়েছে সমস্যা মেটাতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালের মে মাস থেকেই এই পরিস্থিতি শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী ১১ই মার্চ চুসুল মলদো পয়েন্টে ভারতের দিকেই এই মিটিং হবে। তবে উভয় দেশেরই ৫০ থেকে ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে সীমান্তে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

পাকিস্তানের সাথে সুসম্পর্ক চাই: শ্রিংলা

প্রকাশ: ০২:০২:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঠিকঠাক রাখার জন্য সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখা দরকার। বিষয়টি চীনকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ভারত, এমনই মন্তব্য দেশটির পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ শ্রিংলার। ০৯ মার্চ, বুধবার, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশানাল একাডেমি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে প্রতিবেশীর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক -শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন বক্তব্য দেন তিনি।

আগামী ১১ই মার্চ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ভারত ও চীনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। তার আগে ভারত ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিকল্পে প্রয়োজনীয় বিষয়াদি জানিয়ে দিলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।

অনুষ্ঠানে চিরশত্রু পাকিস্তানের বিষয়েও কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। অভিজ্ঞ এই কূটনীতিক বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, তবে সেটা কখনই সুরক্ষার মূল্য চুকিয়ে নয়।”

উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে চীন ও পাকিস্তানের সম্পর্ক বরাবরই ঠিকঠাক নয়। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাতে চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি গত কয়েক বছর ধরে ক্রমাগত হচ্ছে। অন্যদিকে, নানা জঙ্গি কার্যকলাপের জেরে পাকিস্তানের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক কখনই ভালো জায়গায় আসেনি।

তবে পররাষ্ট্র সচিব পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, “চীনকে আমরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছি যে আমাদের সম্পর্কের উন্নতির জন্য সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখা দরকার। তিনটি ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হতে পারে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক সংবেদনশীলতা ও পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা করা।”

শ্রিংলা বলেন, “বারবার সীমান্তে নানা জঙ্গি কার্যকলাপের হুমকি দেওয়া হয়েছে ভারতকে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য শক্তি সম্প্রসারণও করছি আমরা। সন্ত্রাসী কোনো কাজকর্মই ছাড় দেয়া হবেনা।”

প্রসঙ্গত, ১১ই মার্চ ভারত ও চীন ১৫তম রাউন্ড সামরিক আলোচনায় বসবে। লাদাখে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বাকি ইস্যুগুলো মেটানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ, গত ১২ই জানুয়ারি কমান্ডার স্তরে মিটিং হয়েছিল। তবে সেই আলোচনায় কোনও ইতিবাচক কিছু বেরিয়ে আসেনি বলে জানা গিয়েছিলো। তবে উভয় দেশই জানিয়েছে সমস্যা মেটাতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালের মে মাস থেকেই এই পরিস্থিতি শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী ১১ই মার্চ চুসুল মলদো পয়েন্টে ভারতের দিকেই এই মিটিং হবে। তবে উভয় দেশেরই ৫০ থেকে ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে সীমান্তে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক