কোয়াড শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে।
বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত৷ ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান নিয়ে আলোচনা করেছেন বৈঠকে উপস্থিত চার রাষ্ট্রনেতা। তবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে রাশিয়ার একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি প্রচারের মূল লক্ষ্যে কোয়াডকে অবশ্যই মনোযোগী থাকতে হবে বলে বৈঠকে জোর দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এছাড়া মানবিক, দুর্যোগের সময়কার ত্রাণ, ঋণের স্থায়িত্ব, সরবরাহ শৃঙ্খল, পরিচ্ছন্ন শক্তি, সংযোগ এবং সক্ষমতা-নির্মাণের মতো ক্ষেত্রে কোয়াডকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৈঠক শেষ হওয়ার পর একটি টুইট করেন মোদী। সেখানেও এই বিষয়গুলো উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়াও, কোয়াডের এই বৈঠকে রাশিয়া ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে যে আলোচনা হবে, তা অনুমিতই ছিলো। রুশ হামলার পর ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি, সেখানকার মানুষের উপর প্রভাব সহ সব বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
এর পাশাপাশি একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। তার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের পরিস্থিতি।
এদিনের এই ভার্চুয়াল আলোচনায় কথাবার্তার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উপর জোর দেন মোদী। তিনি বলেন, “ইউক্রেন ও রাশিয়াকে যেকোনও উপায়ে আলোচনার টেবিলে বসেই বিবাদ মিটিয়ে ফেলতে হবে। কারণ, এ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।”
কিন্তু, মস্কো যদি লাগাতার হামলার চালিয়ে যায়, তাহলে কীভাবে আলোচনার পরিবেশ তৈরি হবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে এদিন ফের একবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে বসার আহ্বান জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কি। অন্যদিকে, বেলারুসের সীমান্ত দ্বিতীয় দফার আলোচনাও হচ্ছে। তবে তাতে এখনও পর্যন্ত লাভ হয়নি কিছুই।
মোদীর বার্তা, মানবতার স্বার্থেই যুদ্ধ থামা দরকার। আর তাই বাকি বিশ্বও যাতে এই বিষয়টাতেই জোর দেয়, সেদিকেই গুরুত্ব আরোপ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের উপর রাশিয়া হামলা শুরু করেছিল ঠিক আটদিন আগে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত এই যুদ্ধে অন্তত ২২৭ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের হিসাবে তেমনটাই দাবি করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ভারতের দুই পড়ুয়াও রয়েছেন। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক