ইতোমধ্যে পূর্ব ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। সে অনুযায়ী সেনাও পাঠানো হয়েছে দেশটিতে। এমতাবস্থায় ইউরোপের দেশটিতে আটকে পড়েছে হাজারো প্রবাসী ভারতীয়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশটিতে ঘটতে থাকা যাবতীয় অবস্থা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।
এদিকে, ভারতীয় নাগরিক তথা প্রবাসী ছাত্রদের নিরাপত্তাকল্পে প্রায় প্রতিদিনই নতুন পরামর্শ জারি করছে কিয়েভে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাস। শিক্ষার্থীসহ সকল ভারতীয় নাগরিককে সাময়িকভাবে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শও দেয়া হয়েছিলো দূতাবাসের পক্ষ থেকে।
পাশাপাশি, ইউক্রেনে বসবাসকারী ভারতীয়রা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। এজন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। কয়েকদিন আগে দেশে ফেরার জন্য বিমানের টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ করছিলেন অনেকেই। তাদের সহযোগিতার জন্য খোলা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন নম্বরও।
তবে, আশঙ্কার বিষয়, রুশ অভিযানে ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ইউক্রেনের আকাশসীমা। এমতাবস্থায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানও ফেরাতে বাধ্য হয়েছে ভারত। তাই ক্রমশ ঘোলাটে হচ্ছে পরিস্তিতি। ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ হতে নতুন এক বার্তায় জানানো হয়েছে, আকাশসীমা বন্ধ হওয়ার কারণে বিশেষ ফ্লাইটের সময়সূচী বাতিল করা হয়েছে।
একই সঙ্গে, ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং এ ধরনের ব্যবস্থা চূড়ান্ত হওয়ার সাথে সাথেই দূতাবাস নির্দেশনা জারি করবে বলে জানানো হয়েছে কিয়েভস্থ ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে।
এজন্য, ইউক্রেনের ভারতীয় নাগরিকদের সর্বদা তাদের পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র বহন করার পরামর্শ দিয়েছে ভারতীয় হাইকমিশন। এছাড়া ভারতীয় শিক্ষার্থীদেরকে দূতাবাসের ফেসবুক, টুইটার ও ওয়েবসাইটে আপডেট দেখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাত্র তিন দিন আগেই জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমুর্তি জানিয়েছিলেন, “২০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় ছাত্র এবং নাগরিক ইউক্রেনের বিভিন্ন অংশে বাস করেন এবং পড়াশোনা করেন। সীমান্ত এলাকাগুলোতেও অনেক ভারতীয় থাকেন। ভারতীয়দের নিরাপত্তা আমাদের কাছে অগ্রাধিকার। আমরা দৃঢ়ভাবে সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম অনুশীল করার আহ্বান করছি। দুই দেশই যেন পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান সূত্র বের করে দ্রুত। কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান সূত্র বের করার উপর জোর দেওয়া হোক। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে অত্যাবশ্যক বিষয়গুলির ওপর জোর দেওয়া হোক।”
আর গতকাল নিরাপত্তা পরিষদে হওয়া এক বৈঠকে অবিলম্বে ইউক্রেন সীমান্তে ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ ((ডিএসক্যালেশন)-র আবেদন জানিয়েছেন তিনি। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক