০৩:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘে ভারতের উদ্বেগ

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘে উদ্বেগ প্রকাশ করলো ভারত। এখনই এই অবস্থা বাগে না আনা গেলে, ভবিষ্যতে ভয়াবহ পরিণতির সৃষ্টি হতে পারে বলে বিশ্বকে হুঁশিয়ারি করলো নয়াদিল্লী। ২৪ ফেব্রুয়ারী, বৃহস্পতিবার, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এসব কথা বলেন ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি।

অভিজ্ঞ এই কূটনীতিক বলেন, ‘‘দু’দিন আগে নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠক করেছিল এবং পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছিল। আমরা দ্রুত উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছিলাম এবং পরিস্থিতি সম্পর্কিত সমস্ত সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকরী এবং যুক্তিগ্রাহ্য কূটনীতির উপর জোর দিয়েছিলাম।”

অতঃপর নিজের হতাশা ব্যক্ত করে তিরুমূর্তি বলেন, “কিন্তু দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, উত্তেজনা প্রশমিত করার জন্য আন্তর্জাতিক মহলের সাম্প্রতিক উদ্যোগে সাড়া মেলেনি। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো সেই আহ্বানে কর্ণপাত করেনি। পরিস্থিতি একটি বড় সঙ্কটে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।”

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সেনা অভিযানের ঘোষণা করার পরে কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সেখানে থেকে যাওয়া ২০ হাজার ভারতীয়র নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিরুমূর্তি। পাশাপাশি, অবিলম্বে ইউক্রেন সীমান্তে ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ ((ডিএসক্যালেশন)-র আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

গত সোমবার রাতে পুতিন ইউক্রেনের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে (যাদের একত্রে ডনবাস বলা হয়) স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণার পরেই নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠক শুরু করেছিল। সেখানে অস্থায়ী সদস্য ভারতের প্রতিনিধি তিরুমূর্তি আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট নিরসনের আবেদন জানিয়েছিলেন।

সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘‘রাশিয়া, ইউক্রেন ও ইউরোপের ও এসসিই (অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ)-ভুক্ত দেশগুলোকে নিয়ে গঠিত গোষ্ঠীর আলোচনাকে স্বাগত জানাচ্ছে ভারত।’’

সেই সঙ্গে তিনি জানান, রাশিয়া, ইউক্রেন, জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যে নরম্যান্ডি পর্যায়ের আলোচনারও পক্ষে ভারত। তিরুমূর্তির বলেন, ‘‘গঠনমূলক কূটনীতিই এখন একমাত্র পথ।

বুধবার নয়াদিল্লিতে ভ্লাদিমির পুতিন সরকারের দূত (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) রোমান বাবুশকিন জাতিসংঘে নয়াদিল্লির অবস্থানকে স্বাগত জানান। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘে ভারতের উদ্বেগ

প্রকাশ: ০২:৫৪:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘে উদ্বেগ প্রকাশ করলো ভারত। এখনই এই অবস্থা বাগে না আনা গেলে, ভবিষ্যতে ভয়াবহ পরিণতির সৃষ্টি হতে পারে বলে বিশ্বকে হুঁশিয়ারি করলো নয়াদিল্লী। ২৪ ফেব্রুয়ারী, বৃহস্পতিবার, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এসব কথা বলেন ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি।

অভিজ্ঞ এই কূটনীতিক বলেন, ‘‘দু’দিন আগে নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠক করেছিল এবং পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছিল। আমরা দ্রুত উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছিলাম এবং পরিস্থিতি সম্পর্কিত সমস্ত সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকরী এবং যুক্তিগ্রাহ্য কূটনীতির উপর জোর দিয়েছিলাম।”

অতঃপর নিজের হতাশা ব্যক্ত করে তিরুমূর্তি বলেন, “কিন্তু দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, উত্তেজনা প্রশমিত করার জন্য আন্তর্জাতিক মহলের সাম্প্রতিক উদ্যোগে সাড়া মেলেনি। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো সেই আহ্বানে কর্ণপাত করেনি। পরিস্থিতি একটি বড় সঙ্কটে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।”

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সেনা অভিযানের ঘোষণা করার পরে কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সেখানে থেকে যাওয়া ২০ হাজার ভারতীয়র নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিরুমূর্তি। পাশাপাশি, অবিলম্বে ইউক্রেন সীমান্তে ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ ((ডিএসক্যালেশন)-র আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

গত সোমবার রাতে পুতিন ইউক্রেনের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে (যাদের একত্রে ডনবাস বলা হয়) স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণার পরেই নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠক শুরু করেছিল। সেখানে অস্থায়ী সদস্য ভারতের প্রতিনিধি তিরুমূর্তি আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট নিরসনের আবেদন জানিয়েছিলেন।

সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘‘রাশিয়া, ইউক্রেন ও ইউরোপের ও এসসিই (অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ)-ভুক্ত দেশগুলোকে নিয়ে গঠিত গোষ্ঠীর আলোচনাকে স্বাগত জানাচ্ছে ভারত।’’

সেই সঙ্গে তিনি জানান, রাশিয়া, ইউক্রেন, জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যে নরম্যান্ডি পর্যায়ের আলোচনারও পক্ষে ভারত। তিরুমূর্তির বলেন, ‘‘গঠনমূলক কূটনীতিই এখন একমাত্র পথ।

বুধবার নয়াদিল্লিতে ভ্লাদিমির পুতিন সরকারের দূত (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) রোমান বাবুশকিন জাতিসংঘে নয়াদিল্লির অবস্থানকে স্বাগত জানান। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক