ইতোমধ্যে পূর্ব ইউক্রেনের ডোনেত্সদক এবং লুহানৎসককে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থান করছে প্রায় লক্ষাধিক রুশ সেনা। দেশটিতে অভিযান চালানোর জন্য সেনা পাঠানোর ঘোষণাও দেয়া হয়েছে। এমতাবস্থায়, ২২ ফেব্রুয়ারী, মঙ্গলবার, ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তাকল্পে নতুন পরামর্শ জারি করেছে কিয়েভে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাস।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইউক্রেনে ক্রমাগত উত্তেজনা বাড়ছে। এ ধরনের অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীসহ সকল ভারতীয় নাগরিককে সাময়িকভাবে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।” এজন্য যে কোনো বাণিজ্যিক বা চার্টার ফ্লাইটের সন্ধান করা উচিত বলেও জানিয়েছে তারা।
এদিকে, ইউক্রেনে বসবাসকারী ভারতীয়রা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। এজন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। কয়েকদিন আগে দেশে ফেরার জন্য বিমানের টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ করছিলেন অনেকেই। তাদের সহযোগিতার জন্য খোলা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন নম্বরও।
এছাড়া ভারতীয় শিক্ষার্থীদেরকে দূতাবাসের ফেসবুক, টুইটার ও ওয়েবসাইটে আপডেট দেখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২২, ২৪ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি এয়ার ইন্ডিয়ার তিনটি বিশেষ বিমান ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর বরিসপিল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে ছেড়ে আসবে।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে এটি কিয়েভে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের তৃতীয় পরামর্শমূলক বিবৃতি। সর্বশেষ দুটো বিবৃতিতেও নাগরিকদের নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে এবং ২৪ ঘন্টা হেল্পডেস্ক চালু রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছিলো।
দুদিন আগেই জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমুর্তি জানিয়েছিলেন, “২০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় ছাত্র এবং নাগরিক ইউক্রেনের বিভিন্ন অংশে বাস করেন এবং পড়াশোনা করেন। সীমান্ত এলাকাগুলোতেও অনেক ভারতীয় থাকেন। ভারতীয়দের নিরাপত্তা আমাদের কাছে অগ্রাধিকার। আমরা দৃঢ়ভাবে সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম অনুশীল করার আহ্বান করছি। দুই দেশই যেন পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান সূত্র বের করে দ্রুত। কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান সূচ্র বের করার উপর জোর দেওয়া হোক। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে অত্যাবশ্যক বিষয়গুলির ওপর জোর দেওয়া হোক।”
খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক