০২:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫ বছরে ভারত-আরব আমিরাত বাণিজ্য হবে ১০০ বিলিয়ন ডলার

মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, দুই পক্ষের মধ্যে এই সংক্রান্ত চুক্তি সই হওয়ার কথা। এমনিতেই ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য আমিরাত। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে দেশটিতে ভারতের পণ্য রপ্তানি আরও কয়েক হাজার কোটি ডলার বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার ভারত-আমিরাতের মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (সিইপিএ) সই হতে চলেছে। এটি হলে আগামী দুই বছরে আমিরাতে ভারতের টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি ২০০ কোটি ডলার বাড়বে এবং প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি তিনগুণ হতে পারে।

চুক্তিতে আগামী পাঁচ বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১০ হাজার কোটি ডলার বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে এর পরিমাণ ছয় হাজার কোটি ডলারের মতো। আমিরাতের সঙ্গে সিইপিএ সই হলে ভারতের রত্ন ও গহনা, টেক্সটাইল, প্রকৌশল পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, চিকিৎসা পণ্য, অটোমোবাইল, চামড়া, ক্রীড়া সামগ্রী ও আসবাব শিল্পে পাঁচ লাখ কর্মসংস্থান যোগ হবে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, স্পর্শকাতর সব বিষয় মিটিয়ে ফেলা হয়েছে। এটি উভয় পক্ষের জন্যই লাভজনক চুক্তি। এতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে লাখখানেক কর্মসংস্থান বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারত আমিরাতে তাজা ও হিমায়িত মাংস, পনির, মশলা, জৈব রাসায়নিক ও কাগজ রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চায়। ক্রীড়া সামগ্রী, আসবাবপত্র রপ্তানিতেও একই সুবিধা পেতে পারে নয়াদিল্লি। চুক্তি হলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ভারতের প্লাস্টিক রপ্তানি বেড়ে ১৩০ কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে, এখন যার পরিমাণ ৪১ কোটি ৮০ লাখ ডলার মাত্র।

শুল্কমুক্ত রপ্তানির জন্য ভারত প্রায় এক হাজার পণ্য চিহ্নিত করেছে। এগুলোর মধ্যে ওয়াশিং মেশিন, এসি, রেফ্রিজারেটর, মশলা, তামাক, সুতি কাপড়, টেক্সটাইলসহ চামড়াজাত পণ্যও রয়েছে।

ভারতীয় সেই কর্মকর্তা বলেছেন, ২০২৩ সাল নাগাদ আমিরাতে ভারতের রত্ন ও গহনা রপ্তানি এক হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হবে এবং পরবর্তী পাঁচ বছরে তা দ্বিগুণ হবে বলে আশা করছি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্বর্ণ, রূপা ও প্লাটিনাম গহনা রপ্তানির ওপর পাঁচ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার চেয়েছে ভারত। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশটি মাত্র ১১৮ কোটি ডলারের গহনা আমিরাতে রপ্তানি করতে পেরেছে।

ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে আমিরাতের অবস্থান তৃতীয় ও রপ্তানির দিক থেকে দ্বিতীয়। এক্ষেত্রে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। গত অর্থবছরেও আমিরাতে ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে ভারত। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

 

ট্যাগ:
জনপ্রিয়

৫ বছরে ভারত-আরব আমিরাত বাণিজ্য হবে ১০০ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশ: ০৪:৪০:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, দুই পক্ষের মধ্যে এই সংক্রান্ত চুক্তি সই হওয়ার কথা। এমনিতেই ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য আমিরাত। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে দেশটিতে ভারতের পণ্য রপ্তানি আরও কয়েক হাজার কোটি ডলার বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার ভারত-আমিরাতের মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (সিইপিএ) সই হতে চলেছে। এটি হলে আগামী দুই বছরে আমিরাতে ভারতের টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি ২০০ কোটি ডলার বাড়বে এবং প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি তিনগুণ হতে পারে।

চুক্তিতে আগামী পাঁচ বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১০ হাজার কোটি ডলার বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে এর পরিমাণ ছয় হাজার কোটি ডলারের মতো। আমিরাতের সঙ্গে সিইপিএ সই হলে ভারতের রত্ন ও গহনা, টেক্সটাইল, প্রকৌশল পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, চিকিৎসা পণ্য, অটোমোবাইল, চামড়া, ক্রীড়া সামগ্রী ও আসবাব শিল্পে পাঁচ লাখ কর্মসংস্থান যোগ হবে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, স্পর্শকাতর সব বিষয় মিটিয়ে ফেলা হয়েছে। এটি উভয় পক্ষের জন্যই লাভজনক চুক্তি। এতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে লাখখানেক কর্মসংস্থান বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারত আমিরাতে তাজা ও হিমায়িত মাংস, পনির, মশলা, জৈব রাসায়নিক ও কাগজ রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চায়। ক্রীড়া সামগ্রী, আসবাবপত্র রপ্তানিতেও একই সুবিধা পেতে পারে নয়াদিল্লি। চুক্তি হলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ভারতের প্লাস্টিক রপ্তানি বেড়ে ১৩০ কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে, এখন যার পরিমাণ ৪১ কোটি ৮০ লাখ ডলার মাত্র।

শুল্কমুক্ত রপ্তানির জন্য ভারত প্রায় এক হাজার পণ্য চিহ্নিত করেছে। এগুলোর মধ্যে ওয়াশিং মেশিন, এসি, রেফ্রিজারেটর, মশলা, তামাক, সুতি কাপড়, টেক্সটাইলসহ চামড়াজাত পণ্যও রয়েছে।

ভারতীয় সেই কর্মকর্তা বলেছেন, ২০২৩ সাল নাগাদ আমিরাতে ভারতের রত্ন ও গহনা রপ্তানি এক হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হবে এবং পরবর্তী পাঁচ বছরে তা দ্বিগুণ হবে বলে আশা করছি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্বর্ণ, রূপা ও প্লাটিনাম গহনা রপ্তানির ওপর পাঁচ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার চেয়েছে ভারত। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশটি মাত্র ১১৮ কোটি ডলারের গহনা আমিরাতে রপ্তানি করতে পেরেছে।

ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে আমিরাতের অবস্থান তৃতীয় ও রপ্তানির দিক থেকে দ্বিতীয়। এক্ষেত্রে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। গত অর্থবছরেও আমিরাতে ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে ভারত। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক