দুবাইয়ের এক্সপো-২০২০ -এ নিজেদের খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণের দক্ষতা প্রদর্শন করতে চলেছে ভারত। গত ১৬ ফেব্রুয়ারী, বুধবার, এক বিবৃতিতে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এক্সপো-২০২০ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের পছন্দের অংশীদার হয়ে উঠার সম্ভাবনা থাকবে ভারতের সামনে। বিশ্বব্যাপী সহযোগীতা অন্বেষণ এবং রপ্তানী সম্ভাবনাকে অধিক জোরদার করতেও কাজে লাগবে এটি।
জানা গিয়েছে, এক্সপো-২০২০ -এ উদ্যান চাষ, দুগ্ধ, মৎস্য এবং জৈব চাষ খাতে নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করবে ভারত। উল্লেখ্য, প্রদর্শনীতে মূল থিম থাকবে ‘মিলেটস’ বা ‘ভূট্টা’।
এর আগে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভারত প্রস্তাব দিয়েছিলো যেনো ২০২৩ কে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক ভূট্টা বছর হিসেবে অভিহিত করা হয়। সেসময় প্রায় ৭০ টি দেশ ভারতের প্রস্তাবে সমর্থন দেয়।
প্রসঙ্গত, ভারতের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় জোগানদাতা কৃষি খাত। দেশটির মোট জিডিপির প্রায় ২১ শতাংশ আসে কৃষি খাত হতে।
বিগত অর্থবছরেও ভারতের কৃষি ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের মোট রপ্তানী ছিলো প্রায় ৪১.২৫ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫ টি কৃষি পণ্যের শীর্ষ রপ্তানীকারক ভারত।
এই সেক্টরে ভারতের অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন বোদ্ধাগণ। সম্প্রতি ভারত সরকারও কৃষি খাতে ১০০ শতাংশ এফডিআই বা ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্টের অনুমোদন করেছে।
এছাড়া, ভারতের পিএলআই স্কিমের অধীনে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতের জন্য প্রায় ১০,৯০০ কোটি রুপী প্রণোদনা ব্যায়ের বরাদ্দও দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২০২১-২২ সালে ভারতের কৃষি রপ্তানী ৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার আশা করছে আগামী কয়েক বছরে এই পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌছাবে।
কৃষি খাতের উন্নতিকল্পে ইতোমধ্যে ভারত সরকার সেচ সুবিধা, গুদামজাতকরণ এবং হিমাগারে বর্ধিত বিনিয়োগের সুবিধা দিচ্ছে। তাছাড়া, অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কয়েকজন সিনিয়র অফিসারও এক্সপো২০২০ এর বিভিন্ন অধিবেশনে উপস্থিত হতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক