আসন্ন জি-২০ সভাপতিত্বের প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারত। এরই ধারাবাহিকতায় ভারতে জি-২০ সচিবালয় স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। সচিবালয়টি পরিচালনা করবে স্বয়ং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন একটি শীর্ষ কমিটি। ১৫ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়।
পরবর্তীতে ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে একটি জি-২০ সচিবালয় এবং এর রিপোর্টিং কাঠামো স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে। আসন্ন জি-২০ সভাপতিত্বের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এই কমিটি।
জানা গিয়েছে, কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও রয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভারতের জি-২০ শেরপা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প, বস্ত্র, ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও জনবন্টন মন্ত্রী পীযূষ গয়াল ভারতের জি-২০ শেরপা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রস্তাবনা অনুসারে, কমিটির তত্ত্বাবধানে জি-২০ সভাপতিত্বের সারগর্ভ, জ্ঞান, বিষয়বস্তু, প্রযুক্তিগত, মিডিয়া, নিরাপত্তা এবং লজিস্টিক দিকগুলোর সার্বিক নজরদারি করা হবে। উক্ত সেক্রেটারিয়েট বা সচিবালয়টি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি অবধি দায়িত্ব পালন করবে।
এসবের পাশাপাশি, জি-২০ প্রস্তুতি তদারকি করতে এবং শীর্ষ কমিটির কাছে রিপোর্ট পেশ করতে একটি সমন্বয় কমিটিও গঠন করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ০১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর অবধি সময়কালে জি-২০ ফোরামের সভাপতিত্ব করবে ভারত। এর আগে গত বছর ০১ ডিসেম্বর তারিখে জি-২০ ট্রয়কাতে যোগ দিয়েছে ভারত এবং ০৭ ও ০৮ ডিসেম্বর প্রথম ট্রয়কা বৈঠকে অংশ নেয় ভারতের শেরপাগণ। সেখানে ভারতের সঙ্গে আরও রয়েছে ইতালী এবং ইন্দোনেশিয়া। সাধারণত জি২০ গ্রুপের বিদায়ী, বর্তমান এবং আসন্ন সভাপতির সমন্বয়ে এই ট্রয়কা গঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, জি-২০ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ আন্তর্জাতিক সংগঠন, যেখানে বিশ্বের প্রধান ১৯ টি অর্থনীতির দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন একত্রে বৈশ্বিক নানা ইস্যুতে আলোচনায় মিলিত হয়। এর সদস্য রাষ্ট্র গুলো বিশ্বের প্রায় ৮০% জিডিপি, ৭৫% বৈশ্বিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০% এই সদস্য রাষ্ট্র গুলোর নাগরিক।
খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক