বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনে সম্ভাব্য রুশ হামলাকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে ক্রমশ বাড়ছে উত্তেজনা! এমতাবস্থায়, পূর্ব ইউরোপের দেশটি থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র। এবার একই পথে পা বাড়ালো ভারত। সরকারীভাবে দেয়া ঘোষণায়, ভারতীয়দেরকে অযথা ইউক্রেন না যাবার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
১৫ ফেব্রুয়ারী, মঙ্গলবার, এক বিবৃতির মাধ্যমে পরামর্শটি জারি করে কিয়েভে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাস। একই সঙ্গে, ইউক্রেনে অবস্থানরত ভারতীয় ছাত্রদের সাময়িকভাবে ইউক্রেন ত্যাগের পরামর্শও দেয়া হয়।
এছাড়া, ভারতীয় নাগরিকদের যেকোনো প্রয়োজনে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে বিবৃতিটিতে। ইউক্রেনে অবস্থানরত ভারতীয়দের সমস্ত পরিষেবা প্রদানের জন্য দূতাবাসের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি একটি স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গিয়েছে, ইউক্রেনকে সীমান্তের তিন দিক দিয়ে ঘিরে রেখেছে রুশ সৈন্য। ইতিমধ্যে, ব্রিটেন, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, আরবের মতো বিশ্ব মোড়লেরা তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে।
আমেরিকার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধের আশঙ্কা তীব্র হওয়ায় শীঘ্রই তারা ইউক্রেনের দূতাবাস বন্ধ করে দেবেন এবং কর্মীদের পোলিশ সীমান্তের কাছে একটি শহরে নিয়ে যাওয়া হবে। তাছাড়া, রাশিয়া যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাইডেন প্রশাসন।
ইতোপূর্বে হোয়াইট হাউস ঘোষণা দিয়েছিলো, বোমা হামলার মাধ্যমে শুরু হতে পারে রুশ অভিযান। ফলত, বেসামরিক নাগরিকদের জীবনে ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে তা।
সম্প্রতি প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য মতে, ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া। মূলত, ইউক্রেনের ন্যাটো জোটে যোগদানের সম্ভাবনা থেকেই জটিলতার সূত্রপাত। ঘটনার রেশ ধরে রাশিয়াকে নিয়মিত শাসাচ্ছে ন্যাটো জোটের দেশগুলো।
ইউক্রেনে হামলার ফল ভালো হবেনা বলেও হুমকি দিয়েছে বাইডেন সরকার। ইতোমধ্যে জার্মানী, ফ্রান্সের মতো দেশগুলো ঘোষণা দিয়েছে, যদি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালায়, তবে কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ দেয়া হবে দেশটির উপর।
তবে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইউক্রেনের প্রতিবেশী পোল্যান্ডে নিজেদের সেনা পাঠাতে আরম্ভ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইংল্যান্ডের মতো দেশগুলো। এর আগে, বিগত ২০১৪ সালে ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল ‘ক্রিমিয়া’ দখল করে নেয় পুতিনের রুশ বাহিনী।
এদিকে, গোটা হামলার বিষয়টি অস্বীকার করছে রাশিয়া। দেশটি বলছে, মূলত ন্যাটোজোটই যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তাঁদের। এমনিতেও ইউক্রেনে হামলার কোন অভিপ্রায় নেই বলেও জানান তারা। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক