চতুর্থবারের মতো বৈঠক করলেন ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত কোয়াড জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীগণ। ১১ ফেব্রুয়ারী, শুক্রবার, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তথা বিশ্বব্যাপী ভালোর জন্য জোট হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার অঙ্গীকারে অনুষ্ঠিত হলো বৈঠকটি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং অজি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরিস পেইন। বৈঠক শেষে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “কোয়াডকে ‘বিশ্ব মঙ্গলের শক্তি’ বানানোর প্রচেষ্টায় একত্রে কাজ করবো আমরা। কোয়াডের এজেন্ডা সমূহকে ইতিবাচক আকার দিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে।”
সম্মেলন পরবর্তী প্রেস কনফারেন্সে এসে মোদী মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্য বলেন, “ইতোপূর্বে আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন। এখন আমরাও আবারও পুনর্ব্যক্ত করছি। কোয়াডকে বিশ্ব মঙ্গলের শক্তি হিসেবে আবির্ভূত করতে একত্রে কাজ করবো আমরা।”
বৈঠক শেষে ইঙ্গিতে চীনকে কড়া বার্তা দেন জয়শঙ্কর। দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের আগ্রাসন নিয়ে সরব হয়ে আন্তর্জাতিক জলরাশিতে নৌচালনার স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি।
এদিনের আলোচনায় আন্তর্জাতিক জলরাশি, করোনা টিকা ও বিশ্বে শান্তি বজায় রাখা-সহ একাধিক বিষয়ে কথা হয় কোয়াড প্রতিনিধিদের মধ্যে। একইসঙ্গে, মেলবোর্নের বৈঠকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্বাধীনতা বজায় রাখা ও আগ্রাসন রোখার বিষয়েও একমত হয়েছেন তাঁরা।
জয়শঙ্কর স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও স্বাধীনতাকে সম্মান জানিয়ে তৈরি আন্তর্জাতিক নীতির প্রতি আস্থা ও সম্মান জানিয়ে সেই দিশায় পদক্ষেপ করা উচিত সকল রাষ্ট্রের।” এ বৈঠকে ইউক্রেইন ইস্যুতে রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কোয়াড সম্পর্কের জয়গান গেয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “আমাদের যে সম্পর্ক রয়েছে, আমাদের যে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে, তা প্রমাণ করে, আমাদের স্বীয় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কতোটা চমৎকার! আমাদের ভাগ করা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সব মিলিয়ে কোয়াডকে একটি প্রাণবন্ত কাঠামোতে পরিণত করেছে।”
সর্বোপরি, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কোয়াডকে একটি সমুন্নত শক্তি হিসেবে রূপ দানের অঙ্গীকার করেন জয়শঙ্কর।
খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক