১৯৭৫ সাল থেকে দেশীয়ভাবে তৈরী ১২৯ টি এবং ৩৬ টি দেশের প্রায় ৩৪২ টি বিদেশী স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) । ১০ ফেব্রুয়ারী, বৃহস্পতিবার, রাজ্যসভায় একটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এই তথ্য দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।
তিনি জানান, “ভারতে উৎক্ষেপণ করা মোট বিদেশী স্যাটেলাইটের মধ্যে ৩৯ টি বাণিজ্যিক এবং বাকিগুলো ন্যানো-স্যাটেলাইট এর অন্তর্ভূক্ত। এছাড়া, মহাকাশে ভারতের মোট ৫৩ টি অপারেশনাল স্যাটেলাইট রয়েছে, যা জাতিকে বিভিন্ন চিহ্নিত পরিষেবা প্রদান করে। এর মধ্যে ২১ টি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট, ০৮ টি নেভিগেশন স্যাটেলাইট, ২১ টি পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট এবং ০৩ টি বিজ্ঞান স্যাটেলাইট।”
মন্ত্রী বলেন, “স্যাটেলাইট-সক্ষম ডেটা এবং পরিষেবাসমূহ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুবিধার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বাড়িতে সরাসরি টেলিভিশন সম্প্রচার, এটিএম, মোবাইল যোগাযোগ, টেলি-শিক্ষা, টেলি-মেডিসিন এবং আবহাওয়া, কীটপতঙ্গের উপদ্রব, কৃষি-আবহাওয়াবিদ্যা এবং সম্ভাব্য মাছ ধরার অঞ্চল চিহ্নিতকরণ।”
পাশাপাশি শস্য উৎপাদন অনুমান, শস্যের তীব্রতা, এবং কৃষি খরা মূল্যায়ন, বর্জ্য জমির তালিকা, ভূগর্ভস্থ জলের সম্ভাবনা জোন চিহ্নিতকরণ, অভ্যন্তরীণ জলজ চাষের উপযুক্ততা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের জন্যও স্যাটেলাইটগুলো ব্যবহার করা হয় বলে জানান জিতেন্দ্র সিং।
নিজেদের অপারেশনাল অ্যাপ্লিকেশন অধিকতর উন্নত করতে ইসরো আরও বেশি সংখ্যক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে বলে রাজ্যসভাকে জানিয়েছেন ভারতীয় মন্ত্রী। সর্বোপরি, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার কার্যকরভাবে করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জিতেন্দ্র সিং বর্ণিত স্যাটেলাইট সুবিধা কার্যকরের খাত গুলোর কিয়দংশ যথাক্রমে,
Ø ভারতীয় ন্যাশনাল সেন্টার ফর ওশান ইনফরমেশন সার্ভিস কর্তৃক সম্ভাব্য ফিশিং জোন পূর্বাভাস।
Ø মহালানোবিস জাতীয় ফসলের পূর্বাভাস কেন্দ্র কর্তৃক ফসলের একরজ এবং উৎপাদন পূর্বাভাস এবং জাতীয় কৃষি খরা মূল্যায়ন এবং পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা।
Ø ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়া কর্তৃক দ্বিবার্ষিক বন কভার মূল্যায়ন
Ø কেন্দ্রীয় জল কমিশন (জল শক্তি মন্ত্রক) কর্তৃক সেচ পরিকাঠামো মূল্যায়ন
Ø ভারতের আবহাওয়া বিভাগ কর্তৃক আবহাওয়ার পূর্বাভাস, গ্রাউন্ড ওয়াটার প্রসপেক্ট এবং উপযুক্ত রিচার্জ লোকেশনের ম্যাপিং (জল শক্তি মন্ত্রক)
খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক