মহামারীর ধাক্কা কাটিয়ে পুরোনো ট্র্যাকে ফিরেছে ভারতের ওষুধ শিল্পের বাৎসরিক রাজস্ব বৃদ্ধির হার। পাশাপাশি জাপান, চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পরে ভারত এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম মেডিকেল ডিভাইসের বাজার হয়ে উঠেছে বলেও জানা গিয়েছে। সম্প্রতি এসব আশার বাণী শুনিয়েছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা পরামর্শদাতা সংস্থাগুলো।
গত ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ওষুধের বাজার গিয়ে দাঁড়িয়েছিলো ০১ ট্রিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ নাগাদ এই বাজার ১.৫৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মাঝে গতবছর ভারতের দেশীয় ওষুধ শিল্পের বাজার ছিলো প্রায় ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের।
এছাড়াও, ভারত বিশ্বব্যাপী জেনেরিক ওষুধের বৃহত্তম সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে বলেও জানা গিয়েছে। তথ্যমতে, বিভিন্ন ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক চাহিদার ৫০%, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জেনেরিক চাহিদার ৪০% এবং যুক্তরাজ্যে সমস্ত ওষুধের ২৫% পূরণ করে ভারত।
ভারতের বর্তমান জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার বাজার প্রায় ১৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে ধারণা করা হয়। এর মাঝে মেডিকেল ডিভাইস শিল্পের মূল্য বর্তমানে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার, যা জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা শিল্পে প্রায় ৪-৫ শতাংশ অবদান রাখছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা মোতাবেক, এই মেডিকেল ডিভাইস শিল্প ২০২৫ নাগাদ প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে।
সকল রিপোর্ট মোতাবেক, বৈশ্বিক পর্যায়ে ভারত শীর্ষ ২০ গ্লোবাল মেডিকেল ডিভাইসের বাজারের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে, যা জাপান, চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পরে এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম। এসবের পাশাপাশি ভারতের ভোক্তা এবং টেকসই সেগমেন্টের আনুমানিক বাজারের আকার প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
স্বাস্থ্যখাতে ভারতের উন্নতির আরও কিছু দৃশ্যমান লক্ষণ বর্তমানে বিদ্যমান। সরকারী বিভিন্ন উদ্যোগও এক্ষেত্রে সমান প্রশংসার দাবিদার। ভারত সরকার পরিচালিত ‘আয়ুস্মান ভারত’ বিশ্বের বৃহত্তম সরকারী অর্থায়নে পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচী।
চলতি বছরের মধ্যেই ভারতের ডায়াগনস্টিকস বাজার ২০.৪% বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১২ সালে এই খাতে বাজারের আকার ছিলো ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা চলতি বছরে ৩২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক