০১:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উন্নয়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে ভারতের ৫জি প্রযুক্তি

ভারতের নির্বাচিত কয়েকটি শহরে চলতি বছরেই ফাইভজি টেলিকম পরিষেবা চালু হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় রেল, যোগাযোগ এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ০৮ ফেব্রুয়ারী, মঙ্গলবার, একটি এক্সক্লুসিভ ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এক্সপো ‘ইন্ডিয়া টেলিকম ২০২২’ -এ অংশ নিয়ে এ কথা জানান মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী দেবুসিংহ চৌহান।

ভারত সরকারের বাণিজ্য বিভাগের মার্কেট অ্যাকসেস ইনিশিয়েটিভ স্কিম (এমএআই) -এর অধীনে এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রকের সহায়তায় আয়োজিত অনুষ্ঠানটি চলবে ১০ ফেব্রুয়ারী অবধি। ইভেন্টটিতে প্রায় ৪৫ এর বেশি দেশ থেকে ক্রেতারা অংশ নিয়েছেন। প্রায় ৪০ এর বেশি ভারতীয় টেলিকম কোম্পানী প্রদর্শনীতে নিজেদের পণ্য ক্ষমতা প্রদর্শন করছে।

মন্ত্রী বলেন, “মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সিস্টেমের দীর্ঘ বিবর্তনে ফাইভজি হচ্ছে সর্বশেষ আপগ্রেড। যদিও ৪জি প্রযুক্তি দূর্দান্ত পরিষেবা প্রদান করছে, লোকজন সহজেই যেকোনো সঙ্গীত কিংবা ভিডিও স্ট্রিম করার সুযোগ পাচ্ছে, তথাপি ৫জি পরিষেবাতে আরও অনেক ধরণের বহুমুখী সেবা দেয়া রয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয়, এর মাধ্যমে নেট ব্রাউজিং স্পীড বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।”

মোদী মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রী বলেন, “ভারত বর্তমান বিশ্বের অন্যতম বড় ইলেকট্রনিক্স উত্পাদন কেন্দ্র হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। ভারতের বর্তমান ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন ও রফতানি বাজার বছরে প্রায় ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি রয়েছে। প্রায় ২০% এর বেশি সিএজিআর বাড়ছে। এখন, আমরা একটি বড় সেমিকন্ডাক্টর প্রোগ্রাম চালু করেছি, যা একটি অত্যন্ত বিস্তৃত প্রোগ্রাম যেখানে সিলিকন চিপ থেকে যৌগিক সেমিকন্ডাক্টর পর্যন্ত প্রায় ৮৫ হাজার সেমিকন্ডাক্টর ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করা হবে।”

যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী দেবুসিংহ চৌহান বলেন, “স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা আমাদের গণতন্ত্রকে প্রাণবন্ত এবং শক্তিশালী করে তোলে এবং আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের জন্য একটি প্রধান প্রবর্তক হিসেবে আবির্ভূত। সেই কারণেই, সরকার ০৬ লক্ষ গ্রামে অপটিক্যাল ফাইবার নিয়ে যাওয়ার একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা করেছে। আমরা ইতোমধ্যে ২.৬ লক্ষ গ্রামে পৌঁছেছি এবং ২০২৫ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য টেলিকম বিভাগের পরিকল্পনা রয়েছে৷ এটি ডিজিটাল সেতু করবে এবং সেইসাথে ‘ন্যূনতম সরকার এবং সর্বোচ্চ শাসন’ এর মূলমন্ত্রটি পূরণ করবে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিসিসি এর চেয়ারম্যান ও টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের সেক্রেটারি কে রাজারামন। তিনি বলেন, “সরকার টেলিকম সরঞ্জামগুলো সহজ বাজার অ্যাক্সেস সক্ষম করেছে এবং একটি ন্যায্য ও সক্রিয় নিয়ন্ত্রক কাঠামো যা গ্রাহকদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে টেলিকম পরিষেবার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছে৷ বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের উপর প্রবিধান এবং ব্যবসা করা সহজ এবং কম ব্যয়বহুল করার জন্য গত বছর একাধিক সংস্কার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। টেলিকম সেক্টরে সংস্কারের উদ্যোগগুলো এই বছরের শেষের দিকে আরও এগিয়ে নেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, ৫জি মোবাইল পরিষেবা চালু করতে পারফরমেন্স লিংকড ইনসেনটিভ স্কিম আনারও পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। গ্রামাঞ্চলের মানুষদের জন্যও টেলিকম পরিষেবায় উন্নতি ঘটানোর লক্ষ্যে অঙ্গীকারাবদ্ধ দেশটির সরকার। সেই জন্যই গ্রামাঞ্চলে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা আরও বিস্তৃত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০২৫ সালের মধ্যে সব গ্রামে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগের পরিকল্পনাও রয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, আহমেদাবাদের মতো শহরগুলোতে প্রথমে ফাইভজি পরিষেবা চালু হবে। ইতিমধ্যেই এয়ারটেল, রিলায়েন্স জিও, ভিআই-এর মতো সব টেলিকম সংস্থাগুলো ফাইভজি পরিষেবার ট্রায়াল শুরু করে দিয়েছে। একইসঙ্গে সংস্থাগুলোর সঙ্গে স্পেকট্রাম নিলাম সংক্রান্ত আলোচনা শুরু করেছে কেন্দ্র। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

 

ট্যাগ:

উন্নয়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে ভারতের ৫জি প্রযুক্তি

প্রকাশ: ০৩:৫৩:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ভারতের নির্বাচিত কয়েকটি শহরে চলতি বছরেই ফাইভজি টেলিকম পরিষেবা চালু হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় রেল, যোগাযোগ এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ০৮ ফেব্রুয়ারী, মঙ্গলবার, একটি এক্সক্লুসিভ ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এক্সপো ‘ইন্ডিয়া টেলিকম ২০২২’ -এ অংশ নিয়ে এ কথা জানান মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী দেবুসিংহ চৌহান।

ভারত সরকারের বাণিজ্য বিভাগের মার্কেট অ্যাকসেস ইনিশিয়েটিভ স্কিম (এমএআই) -এর অধীনে এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রকের সহায়তায় আয়োজিত অনুষ্ঠানটি চলবে ১০ ফেব্রুয়ারী অবধি। ইভেন্টটিতে প্রায় ৪৫ এর বেশি দেশ থেকে ক্রেতারা অংশ নিয়েছেন। প্রায় ৪০ এর বেশি ভারতীয় টেলিকম কোম্পানী প্রদর্শনীতে নিজেদের পণ্য ক্ষমতা প্রদর্শন করছে।

মন্ত্রী বলেন, “মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সিস্টেমের দীর্ঘ বিবর্তনে ফাইভজি হচ্ছে সর্বশেষ আপগ্রেড। যদিও ৪জি প্রযুক্তি দূর্দান্ত পরিষেবা প্রদান করছে, লোকজন সহজেই যেকোনো সঙ্গীত কিংবা ভিডিও স্ট্রিম করার সুযোগ পাচ্ছে, তথাপি ৫জি পরিষেবাতে আরও অনেক ধরণের বহুমুখী সেবা দেয়া রয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয়, এর মাধ্যমে নেট ব্রাউজিং স্পীড বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।”

মোদী মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রী বলেন, “ভারত বর্তমান বিশ্বের অন্যতম বড় ইলেকট্রনিক্স উত্পাদন কেন্দ্র হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। ভারতের বর্তমান ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন ও রফতানি বাজার বছরে প্রায় ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি রয়েছে। প্রায় ২০% এর বেশি সিএজিআর বাড়ছে। এখন, আমরা একটি বড় সেমিকন্ডাক্টর প্রোগ্রাম চালু করেছি, যা একটি অত্যন্ত বিস্তৃত প্রোগ্রাম যেখানে সিলিকন চিপ থেকে যৌগিক সেমিকন্ডাক্টর পর্যন্ত প্রায় ৮৫ হাজার সেমিকন্ডাক্টর ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করা হবে।”

যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী দেবুসিংহ চৌহান বলেন, “স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা আমাদের গণতন্ত্রকে প্রাণবন্ত এবং শক্তিশালী করে তোলে এবং আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের জন্য একটি প্রধান প্রবর্তক হিসেবে আবির্ভূত। সেই কারণেই, সরকার ০৬ লক্ষ গ্রামে অপটিক্যাল ফাইবার নিয়ে যাওয়ার একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা করেছে। আমরা ইতোমধ্যে ২.৬ লক্ষ গ্রামে পৌঁছেছি এবং ২০২৫ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য টেলিকম বিভাগের পরিকল্পনা রয়েছে৷ এটি ডিজিটাল সেতু করবে এবং সেইসাথে ‘ন্যূনতম সরকার এবং সর্বোচ্চ শাসন’ এর মূলমন্ত্রটি পূরণ করবে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিসিসি এর চেয়ারম্যান ও টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের সেক্রেটারি কে রাজারামন। তিনি বলেন, “সরকার টেলিকম সরঞ্জামগুলো সহজ বাজার অ্যাক্সেস সক্ষম করেছে এবং একটি ন্যায্য ও সক্রিয় নিয়ন্ত্রক কাঠামো যা গ্রাহকদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে টেলিকম পরিষেবার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছে৷ বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের উপর প্রবিধান এবং ব্যবসা করা সহজ এবং কম ব্যয়বহুল করার জন্য গত বছর একাধিক সংস্কার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। টেলিকম সেক্টরে সংস্কারের উদ্যোগগুলো এই বছরের শেষের দিকে আরও এগিয়ে নেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, ৫জি মোবাইল পরিষেবা চালু করতে পারফরমেন্স লিংকড ইনসেনটিভ স্কিম আনারও পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। গ্রামাঞ্চলের মানুষদের জন্যও টেলিকম পরিষেবায় উন্নতি ঘটানোর লক্ষ্যে অঙ্গীকারাবদ্ধ দেশটির সরকার। সেই জন্যই গ্রামাঞ্চলে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা আরও বিস্তৃত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০২৫ সালের মধ্যে সব গ্রামে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগের পরিকল্পনাও রয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, আহমেদাবাদের মতো শহরগুলোতে প্রথমে ফাইভজি পরিষেবা চালু হবে। ইতিমধ্যেই এয়ারটেল, রিলায়েন্স জিও, ভিআই-এর মতো সব টেলিকম সংস্থাগুলো ফাইভজি পরিষেবার ট্রায়াল শুরু করে দিয়েছে। একইসঙ্গে সংস্থাগুলোর সঙ্গে স্পেকট্রাম নিলাম সংক্রান্ত আলোচনা শুরু করেছে কেন্দ্র। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক