মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরীতে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বের আসনে বসতে চলেছে ভারত। এমনই দাবি করলেন ভারতের কেন্দ্রীয় রেল, যোগাযোগ এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। গত ০৬ ফেব্রুয়ারী, রবিবার, ভুবনেশ্বরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি।
এসময়, ভারতের ৫জি প্রযুক্তি নিয়ে নিজের সন্তোষ জ্ঞাপন পূর্বক অশ্বিনী বলেন, “চলতি বছর থেকে চালু করা হবে ৫জি প্রযুক্তি। এর অগ্রগতি সন্তোষজনক।”
তিনি বলেন, “বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ২০০ ইউনিট আয়তন নিয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক হয়ে উঠেছে ভারত। আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচির অংশ হিসাবে আমাদের উপর স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেনো ভারতে ৪জি এবং ৫জি সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ডিজাইন তৈরি করা হয়। বর্তমানে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এটি।”
সর্বোপরি, চলতি বছরেই দেশজুড়ে ৫জি সেবা চালু করতে স্পেকট্রাম নিলাম সম্পন্ন করবে ভারত। আর ২০২৩ সালের মার্চের শেষ নাগাদ ৫জি মোবাইল পরিষেবা চালু শুরু হবে বলে জানান অশ্বিনী।
এছাড়া, ৫জি মোবাইল পরিষেবা চালু করতে পারফরমেন্স লিংকড ইনসেনটিভ স্কিম আনারও পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। গ্রামাঞ্চলের মানুষদের জন্যও টেলিকম পরিষেবায় উন্নতি ঘটানোর লক্ষ্যে অঙ্গীকারাবদ্ধ দেশটির সরকার। সেই জন্যই গ্রামাঞ্চলে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা আরও বিস্তৃত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০২৫ সালের মধ্যে সব গ্রামে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগের পরিকল্পনাও রয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, আহমেদাবাদের মতো শহরগুলোতে প্রথমে ফাইভজি পরিষেবা চালু হবে। ইতিমধ্যেই এয়ারটেল, রিলায়েন্স জিও, ভিআই-এর মতো সব টেলিকম সংস্থাগুলো ফাইভজি পরিষেবার ট্রায়াল শুরু করে দিয়েছে। একইসঙ্গে সংস্থাগুলোর সঙ্গে স্পেকট্রাম নিলাম সংক্রান্ত আলোচনা শুরু করেছে কেন্দ্র।
অশ্বিনী বলেন, “বিশ্বের অন্যতম বড় উৎপাদন ইউনিটের কল্যাণে আমাদের ইলেকট্রনিক উত্পাদনের বাজারের আকার ০৬ লাখ কোটি রুপী ছুঁয়েছে। খাতটি ২২ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। যে গতিতে ইলেকট্রনিক ম্যানুফ্যাকচারিং এগোচ্ছে তাতে বাজারের আকার ০৫ বছরে ২৫ লক্ষ কোটি রুপীতে পৌঁছে যাবে। তখন প্রায় ৮০ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে এই খাতে।”
এসময়, দেশব্যাপী বিশেষ করে ওড়িশার গ্রামগুলোয় নতুন মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপনের কথাও বলেন মন্ত্রী। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক