শিখ, বৌদ্ধ এবং হিন্দু সহ বিশ্বের সকল ধর্মের প্রতি ঘৃণা ও সহিংস মনোভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহবান জানিয়েছে ভারত। গত ০৪ ফেব্রুয়ারী, শুক্রবার, জাতিসংঘের সভ্যতা জোট কর্তৃক ‘আন্তর্জাতিক মানব ভ্রাতৃত্ব দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক বিশেষ ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ আহবান জানান সেখানে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি।
অভিজ্ঞ এই কূটনীতিক বলেন, বিখ্যাত বামিয়ান বুদ্ধদের ছিন্নভিন্ন করা হয়েছিল, “যা প্রদর্শন করে যে অন্যান্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা সত্যিকার অর্থে আসলে কতটা ভয়ঙ্কর পারে। বর্তমান সময়ে আমরা বহুত্ববাদ এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে প্রচার করে শান্তির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই। ধর্ম, সংস্কৃতি এবং সভ্যতার মধ্যে সংলাপ এবং বোঝাপড়ার অগ্রগতি মানব ভ্রাতৃত্বের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের পুনর্নবীকরণ।”
আন্তর্জাতিক মানববন্ধু দিবসের এই তারিখে ২০১৯ সালে আবুধাবিতে বিশ্বের দুটি প্রধান ধর্মের প্রধানদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা স্মরণ করে তিরুমূর্তি বলেন, “এই বৈঠকটি কেবল এই দুটি আব্রাহামিক (ইসলাম-খ্রিস্টান) ধর্মের মধ্যে বোঝাপড়াকে আরও গভীর করার গুরুত্বকে বোঝায় না, আসলে সমস্ত ধর্ম ও বিশ্বাসের মধ্যে ভাতৃত্ব স্থাপনের শিক্ষা দেয়। মানব ভ্রাতৃত্বের চেতনা আমাদেরকে শুধু আব্রাহামিক ধর্মের বিরুদ্ধে নয় বরং শিখ, বৌদ্ধ এবং হিন্দুধর্ম সহ সমস্ত ধর্মের প্রতি ঘৃণা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই করার নির্দেশ দেয়।”
তিরুমূর্তি বলেন, “আন্তর্জাতিক মানব ভাতৃত্ব দিবস উদযাপনের রেজুলেশন আবারও বিবেচনা পূর্বক আমাদের বহুত্ববাদী ঐতিহ্যের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হতে সচেষ্ট হতে হবে।”
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মানব ভ্রাতৃত্ব দিবস উদযাপন গভীর অর্থবহ। এর প্রধানতম উদ্দেশ্য হলো– আন্তর্জাতিক সহিষ্ণুতা গড়ে তোলা ও শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। ধর্মান্ধতা, সহিংসতা, বিদ্বেষ ও ঘৃণাসূচক বক্তব্য পরিহার করে বিশ্বের সব মানুষকে একটি মুক্ত পরিবেশের দিকে আহ্বান করা। বিশেষত মহামারীর সময়ে শরণার্থী ও সেসব দরিদ্র দেশের পাশে দাঁড়ানো, যেসব দেশ তাদের নাগরিকদের মৌলিক প্রয়োজন সরবরাহ করতে অক্ষম।
খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক