১০:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেনা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী

৭৪তম সেনা দিবসে গোটা সেনাবাহিনীর সকল সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সহ সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ। ১৫ জানুয়ারী, শনিবার, ভারতীয় সেনাদের আত্মাহুতি, ত্যাগ এবং বীরত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বলেছেন, “জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সেনাবাহিনী সর্বদাই অগ্রণী। আমাদের সৈন্যরা সীমান্ত সুরক্ষা এবং শান্তি রক্ষায় যে পেশাদারিত্ব, ত্যাগ এবং বীরত্ব প্রদর্শন করেছে, তার জন্য গোটা জাতি কৃতজ্ঞ এবং গর্বিত। জয় হিন্দ!”

একইভাবে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, “সাহসী সৈনিক, সম্মানিত প্রবীণ সৈনিক এবং তাঁদের পরিবারকে শুভেচ্ছা। ভারতীয় সেনাবাহিনী তার সাহসিকতা এবং পেশাদারিত্বের জন্য পরিচিত। কোনও প্রশংসা শব্দই জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অমূল্য অবদানের প্রতি সুবিচার করতে পারে না”

তিনি আরও লিখেছেন, “ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা সবসময়ই প্রতিকূল ভূখণ্ডে কাজ করে এবং যেকোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও মানবিক সঙ্কটেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতেও ভারতীয় সেনার দূর্দান্ত অবদানের জন্য আমরা গর্বিত।”

সেনাবাহিনীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি লিখেছেন, “আমাদের সেনাবাহিনী একটি সাহসী এবং পেশাদার বাহিনী হিসেবে নিজেদের আলাদাভাবে নাম করেছে। দেশকে রক্ষার প্রতিশ্রুতিতে তাঁরা সর্বদাই অটল। জাতি ভারতীয় সেনার জন্য গর্বিত।”

সেনা দিবসটি সেই সংস্থাকে উৎসর্গ করা হয় যা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমি উপাদান যা বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের আদর্শ ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখে; প্রক্সি যুদ্ধ এবং অভ্যন্তরীণ হুমকি ব্যর্থ করে; এবং ভারত সরকার এবং জনগণকে সহায়তা করে।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালের ঐতিহাসিক এই দিনটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন দেশটির প্রথম লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেএম কারিয়াপ্পা। প্রথম ভারতীয় অফিসার হিসেবে সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। এর আগে পর্যন্ত ভারতে সেনা কমান্ডার ছিলেন ব্রিটিশ অফিসারেরাই। এই স্মৃতি ধরে রাখতেই প্রতিবছর দিনটিকে সেনা দিবস হিসেবে পালন করে থাকে ভারত সরকার।

সরাসরি নিজেদের অধীনে পরিচালনার সুযোগ প্রাপ্তির পর থেকে একের পর এক ইতিহাস তৈরী করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আদর্শ ও মূল্যবোধকে সঙ্গী করে বহিঃশত্রুর সকল আক্রমণ প্রতিরোধ এবং যেকোনো দূর্যোগকালীন সময়ে জাতির ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার মাধ্যমে ভারত সরকার ও জনগণের আস্থার পাত্রে পরিণত হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্য। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

 

ট্যাগ:

সেনা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:২৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২

৭৪তম সেনা দিবসে গোটা সেনাবাহিনীর সকল সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সহ সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ। ১৫ জানুয়ারী, শনিবার, ভারতীয় সেনাদের আত্মাহুতি, ত্যাগ এবং বীরত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বলেছেন, “জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সেনাবাহিনী সর্বদাই অগ্রণী। আমাদের সৈন্যরা সীমান্ত সুরক্ষা এবং শান্তি রক্ষায় যে পেশাদারিত্ব, ত্যাগ এবং বীরত্ব প্রদর্শন করেছে, তার জন্য গোটা জাতি কৃতজ্ঞ এবং গর্বিত। জয় হিন্দ!”

একইভাবে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, “সাহসী সৈনিক, সম্মানিত প্রবীণ সৈনিক এবং তাঁদের পরিবারকে শুভেচ্ছা। ভারতীয় সেনাবাহিনী তার সাহসিকতা এবং পেশাদারিত্বের জন্য পরিচিত। কোনও প্রশংসা শব্দই জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অমূল্য অবদানের প্রতি সুবিচার করতে পারে না”

তিনি আরও লিখেছেন, “ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা সবসময়ই প্রতিকূল ভূখণ্ডে কাজ করে এবং যেকোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও মানবিক সঙ্কটেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতেও ভারতীয় সেনার দূর্দান্ত অবদানের জন্য আমরা গর্বিত।”

সেনাবাহিনীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি লিখেছেন, “আমাদের সেনাবাহিনী একটি সাহসী এবং পেশাদার বাহিনী হিসেবে নিজেদের আলাদাভাবে নাম করেছে। দেশকে রক্ষার প্রতিশ্রুতিতে তাঁরা সর্বদাই অটল। জাতি ভারতীয় সেনার জন্য গর্বিত।”

সেনা দিবসটি সেই সংস্থাকে উৎসর্গ করা হয় যা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমি উপাদান যা বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের আদর্শ ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখে; প্রক্সি যুদ্ধ এবং অভ্যন্তরীণ হুমকি ব্যর্থ করে; এবং ভারত সরকার এবং জনগণকে সহায়তা করে।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালের ঐতিহাসিক এই দিনটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন দেশটির প্রথম লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেএম কারিয়াপ্পা। প্রথম ভারতীয় অফিসার হিসেবে সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। এর আগে পর্যন্ত ভারতে সেনা কমান্ডার ছিলেন ব্রিটিশ অফিসারেরাই। এই স্মৃতি ধরে রাখতেই প্রতিবছর দিনটিকে সেনা দিবস হিসেবে পালন করে থাকে ভারত সরকার।

সরাসরি নিজেদের অধীনে পরিচালনার সুযোগ প্রাপ্তির পর থেকে একের পর এক ইতিহাস তৈরী করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আদর্শ ও মূল্যবোধকে সঙ্গী করে বহিঃশত্রুর সকল আক্রমণ প্রতিরোধ এবং যেকোনো দূর্যোগকালীন সময়ে জাতির ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার মাধ্যমে ভারত সরকার ও জনগণের আস্থার পাত্রে পরিণত হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্য। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক