ভারতে দ্রুত ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। ইতিমধ্যে ৩০০-র কাছাকাছি পৌঁছেছে আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রের তরফে বিষয়টাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। নেওয়া হচ্ছে একাধিক সতর্কতা।
আর তাই সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে গত ২৩ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার, বিশেষ বৈঠকে বসেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কর্মকর্তাদের সকল স্তরে সতর্ক ও সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন যাতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এমন রাজ্যসমূহে দল পাঠানো হয় যেখানে টিকাকরণের হার কম এবং করোনা সংক্রমণ ক্রমবর্ধমান। সেই রাজ্যের অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নতিতে সহায়তা করার জন্যই কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর এই পরিকল্পনা।
এদিন বৈঠকে কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নতুন ভ্যারিয়েন্টের জেরে তৈরি হওয়া আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। বিশ্বব্যাপী ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করা হয় এদিন।
বিশ্বের যেসব দেশে টিকা প্রদানের হার বেশি থাকা সত্ত্বেও ওমিক্রনের হানা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, সেই দেশগুলো সম্পর্কে বিশদ তথ্য তুলে ধরা হয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সতর্ক এবং সাবধান হওয়া উচিত। তিনি বলেন, “মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই শেষ হয়নি এবং কোভিড বিধি মেনে চলা আজও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
দেশের প্রতিটি রাজ্যে, প্রতিটি জেলায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উপযুক্ত আছে কি না, সে বিষয়ে নজর দেওয়ার কথা বলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, সামগ্রিক পরিস্থিতিতে নজর রাখছে কেন্দ্র। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সহযোগিতা করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আগেও একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী মোদী নমুনা পরীক্ষা ও করোনা সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার ওপর জোর দিতে বলেছেন। এ দিন কেন্দ্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি ফের সেই বিষয়ে নজর দিতে বলেন।
তিনি কর্মকর্তাদের এটা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন যে রাজ্যগুলোতে অক্সিজেন-সরবরাহের সরঞ্জাম সঠিক ভাবে ইনস্টল করা আছে কী না এবং তা সম্পূর্ণরূপে কাজ করছে কী না। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক রাজ্যের সকল প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে টিকার আওতায় আনার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক