১১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রিংলার মায়ানমার সফর ভারতের ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতির নামান্তর

মিহির ভোসলে ।। ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক: সম্প্রতি ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গভীরতর করতে ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ এবং ‘’অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি ঘোষণা করে ভারত। বহুজাতিক বাণিজ্য সম্ভাবনা ছাড়াও ভূ-রাজনৈতিক ও কৌশলগত নানা কারণে এটি বাস্তবায়নে বিশেষ নজর দিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার। কোনো সন্দেহ নেই, ভারতের এই ‘প্রতিবেশী প্রথম’ এবং ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য মায়ানমার।

প্রায় ১৭০০ কিলোমিটারের সীমান্ত এলাকা ভাগ করে নেয়ার পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের রাজ্যসমূহে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে নাইপিদোর। তাছাড়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাথে যুক্ত হতে ভারতের একমাত্র স্থল সেতু হিসেবে কাজ করে মায়ানমার। তাই, ভূ-কৌশলগত তাত্পর্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিগত দু দশকে দেশটিতে সংযোগ, শক্তি, অবকাঠামো এবং সম্প্রদায় প্রকল্পে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে নয়াদিল্লী।

কিন্তু রাষ্ট্র ক্ষমতার অন্তর্কোন্দল এবং বারবার গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে সামরিক জান্তার ক্ষমতা দখল দেশটির শীর্ষ নেতৃত্বকে সবসময়ই বিতর্কিত করে রেখেছে। সেজন্যেই বুধবার থেকে শুরু হওয়া ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব শ্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলার মায়ানমার সফরটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। গত পহেলা ফেব্রুয়ারী মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো দেশটিতে গেলেন ভারতীয় শীর্ষ কোনো কর্তা।

ভারতের ভারসাম্যপূর্ণ কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি

মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটার পর থেকেই দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে আটক রাখার প্রতিবাদ জানাচ্ছে ভারত। তাছাড়া, দেশটির সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যথাসম্ভব কমাতে এবং আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখতে সর্বোচ্চ তদবির চালাচ্ছে ভারত। এমনকি, সম্প্রতি সামরিক আদালতে হওয়া সুচির জেল আদেশের বিরুদ্ধেও সরব ছিলো ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র হওয়ার সুবাদে ভারত বরাবরই মায়ানমারকে গণতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বনের আহবান জানিয়ে আসছে।

কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে, ভারত বরাবরই একটি ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতির ধারক ও বাহক। ফেব্রুয়ারীতে মায়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের পরপরই জরুরি অবস্থার অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়ে এক ভোটের আয়োজন করে নিরাপত্তা পরিষদ। সেখানে ভোটদানে বিরত ছিলো ভারত। তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিলো, ভারত মিয়ানমারের সাথে একটি গঠনমূলক সম্পৃক্ততা চাইছে। এমনকি গত এপ্রিল মাসেও ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ঘোষণা দেন, “আমরা কোনো রূপ সহিংসতা ছাড়া প্রতিবেশী দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি। একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং গঠনমূলক ভূমিকা পালনের প্রচেষ্টায় ভারত সবসময়ই সামনে থাকবে।”

এছাড়া, গত জুন মাসে জাতিসংঘে মায়ানমারের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দিতে সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিলো নয়াদিল্লী। বলে নেয়া ভালো, সেই প্রস্তাবের সমর্থনে প্রায় ১১৯ টি দেশ ভোট দিয়েছিলো, যেখানে বিরত ছিলো শুধুমাত্র ৩৬ টি রাষ্ট্র। তাই বলা যায়, ভারত একদিকে যেমন গণতন্ত্র রক্ষার দূত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, অন্যদিকে প্রতিবেশী প্রথম নীতিকে সম্মান জানিয়ে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টাও অব্যহত রেখেছে।

ভারত-মায়ানমার সীমান্তের নিরাপত্তা ইস্যুতে আলোচনা হবে শ্রিংলার সফরে:  

পররাষ্ট্র সচিবের সফরকে সামনে রেখে গত মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি দেয় ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে তাঁরা বলেছে, “মায়ানমার সফরে দেশটির প্রশাসনিক কাউন্সিল, রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের সদস্যদের সাথে আলোচনা করবেন শ্রিংলা। সেখানে মানবিক সহায়তা, নিরাপত্তা, সীমান্ত উদ্বেগ এবং আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি।”

সামনের ২৭ তারিখে বেআইনি ওয়াকিটকি আমদানির দায়ে সামরিক আদালতে বিচার হবে সুচির। ধারণা করা হচ্ছে, মতবিনিময়কালে সুচির মুক্তি প্রার্থনা সহ চলমান সকল সহিংসতা বন্ধের আহবান জানাবেন শ্রিংলা। এসময়, মায়ানমারের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লীর উদ্বেগ যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পৌছে দেবার দায়িত্ব থাকবে তাঁর কাঁধে। তাছাড়া, সামরিক জান্তার নিকট নিজ বক্তব্যকে জোরালো করতে করোনা মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে নাইপিদোকে সাহায্যের প্রস্তাব দিতে পারেন শ্রিংলা।

তবে শরণার্থী সঙ্কট ও নিরাপত্তা ইস্যুতে সরব ভূমিকা পালন করতে হবে শ্রিংলাকে। সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই আশ্রয় প্রার্থী বার্মিজ নাগরিকেরা পালিয়ে ভারত প্রবেশ করছে। গত জুনে জাতিসংঘের বিশেষ দূত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছিলেন যে মায়ানমার থেকে প্রায় দশ হাজার শরণার্থী ভারত ও থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে। তাই গোটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই ভারতের সামনে।

পাশাপাশি মায়ানমারের জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীসমূহ, যেমনঃ আরাকান ন্যাশনাল আর্মি এবং নাগাল্যান্ডের ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল – খাপলাং কর্তৃক ভারতে নতুন করে হুমকির বিষয়টিও শ্রিংলা সামরিক নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, সীমান্তে মাদক সমস্যাও একটা বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের জন্য।

এমতাবস্থায়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে ভারত একদিকে যেমন মায়ানমারকে শোধরানোর পরামর্শ দিয়ে এসেছে, তেমনই মানবিক দিক এবং ভূ-রাজনীতি বিবেচনায় সামরিক জান্তার সাথে আলোচনার পথও খোলা রেখেছে। তাই বলাই যায়, শ্রিংলার মায়ানমার সফর ভারতের ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতির নামান্তর মাত্র।

ট্যাগ:

শ্রিংলার মায়ানমার সফর ভারতের ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতির নামান্তর

প্রকাশ: ০৪:১৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১

মিহির ভোসলে ।। ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক: সম্প্রতি ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গভীরতর করতে ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ এবং ‘’অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি ঘোষণা করে ভারত। বহুজাতিক বাণিজ্য সম্ভাবনা ছাড়াও ভূ-রাজনৈতিক ও কৌশলগত নানা কারণে এটি বাস্তবায়নে বিশেষ নজর দিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার। কোনো সন্দেহ নেই, ভারতের এই ‘প্রতিবেশী প্রথম’ এবং ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য মায়ানমার।

প্রায় ১৭০০ কিলোমিটারের সীমান্ত এলাকা ভাগ করে নেয়ার পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের রাজ্যসমূহে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে নাইপিদোর। তাছাড়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাথে যুক্ত হতে ভারতের একমাত্র স্থল সেতু হিসেবে কাজ করে মায়ানমার। তাই, ভূ-কৌশলগত তাত্পর্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিগত দু দশকে দেশটিতে সংযোগ, শক্তি, অবকাঠামো এবং সম্প্রদায় প্রকল্পে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে নয়াদিল্লী।

কিন্তু রাষ্ট্র ক্ষমতার অন্তর্কোন্দল এবং বারবার গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে সামরিক জান্তার ক্ষমতা দখল দেশটির শীর্ষ নেতৃত্বকে সবসময়ই বিতর্কিত করে রেখেছে। সেজন্যেই বুধবার থেকে শুরু হওয়া ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব শ্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলার মায়ানমার সফরটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। গত পহেলা ফেব্রুয়ারী মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো দেশটিতে গেলেন ভারতীয় শীর্ষ কোনো কর্তা।

ভারতের ভারসাম্যপূর্ণ কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি

মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটার পর থেকেই দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে আটক রাখার প্রতিবাদ জানাচ্ছে ভারত। তাছাড়া, দেশটির সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যথাসম্ভব কমাতে এবং আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখতে সর্বোচ্চ তদবির চালাচ্ছে ভারত। এমনকি, সম্প্রতি সামরিক আদালতে হওয়া সুচির জেল আদেশের বিরুদ্ধেও সরব ছিলো ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র হওয়ার সুবাদে ভারত বরাবরই মায়ানমারকে গণতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বনের আহবান জানিয়ে আসছে।

কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে, ভারত বরাবরই একটি ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতির ধারক ও বাহক। ফেব্রুয়ারীতে মায়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের পরপরই জরুরি অবস্থার অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়ে এক ভোটের আয়োজন করে নিরাপত্তা পরিষদ। সেখানে ভোটদানে বিরত ছিলো ভারত। তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিলো, ভারত মিয়ানমারের সাথে একটি গঠনমূলক সম্পৃক্ততা চাইছে। এমনকি গত এপ্রিল মাসেও ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ঘোষণা দেন, “আমরা কোনো রূপ সহিংসতা ছাড়া প্রতিবেশী দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি। একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং গঠনমূলক ভূমিকা পালনের প্রচেষ্টায় ভারত সবসময়ই সামনে থাকবে।”

এছাড়া, গত জুন মাসে জাতিসংঘে মায়ানমারের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দিতে সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিলো নয়াদিল্লী। বলে নেয়া ভালো, সেই প্রস্তাবের সমর্থনে প্রায় ১১৯ টি দেশ ভোট দিয়েছিলো, যেখানে বিরত ছিলো শুধুমাত্র ৩৬ টি রাষ্ট্র। তাই বলা যায়, ভারত একদিকে যেমন গণতন্ত্র রক্ষার দূত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, অন্যদিকে প্রতিবেশী প্রথম নীতিকে সম্মান জানিয়ে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টাও অব্যহত রেখেছে।

ভারত-মায়ানমার সীমান্তের নিরাপত্তা ইস্যুতে আলোচনা হবে শ্রিংলার সফরে:  

পররাষ্ট্র সচিবের সফরকে সামনে রেখে গত মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি দেয় ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে তাঁরা বলেছে, “মায়ানমার সফরে দেশটির প্রশাসনিক কাউন্সিল, রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের সদস্যদের সাথে আলোচনা করবেন শ্রিংলা। সেখানে মানবিক সহায়তা, নিরাপত্তা, সীমান্ত উদ্বেগ এবং আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি।”

সামনের ২৭ তারিখে বেআইনি ওয়াকিটকি আমদানির দায়ে সামরিক আদালতে বিচার হবে সুচির। ধারণা করা হচ্ছে, মতবিনিময়কালে সুচির মুক্তি প্রার্থনা সহ চলমান সকল সহিংসতা বন্ধের আহবান জানাবেন শ্রিংলা। এসময়, মায়ানমারের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লীর উদ্বেগ যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পৌছে দেবার দায়িত্ব থাকবে তাঁর কাঁধে। তাছাড়া, সামরিক জান্তার নিকট নিজ বক্তব্যকে জোরালো করতে করোনা মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে নাইপিদোকে সাহায্যের প্রস্তাব দিতে পারেন শ্রিংলা।

তবে শরণার্থী সঙ্কট ও নিরাপত্তা ইস্যুতে সরব ভূমিকা পালন করতে হবে শ্রিংলাকে। সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই আশ্রয় প্রার্থী বার্মিজ নাগরিকেরা পালিয়ে ভারত প্রবেশ করছে। গত জুনে জাতিসংঘের বিশেষ দূত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছিলেন যে মায়ানমার থেকে প্রায় দশ হাজার শরণার্থী ভারত ও থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে। তাই গোটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই ভারতের সামনে।

পাশাপাশি মায়ানমারের জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীসমূহ, যেমনঃ আরাকান ন্যাশনাল আর্মি এবং নাগাল্যান্ডের ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল – খাপলাং কর্তৃক ভারতে নতুন করে হুমকির বিষয়টিও শ্রিংলা সামরিক নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, সীমান্তে মাদক সমস্যাও একটা বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের জন্য।

এমতাবস্থায়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে ভারত একদিকে যেমন মায়ানমারকে শোধরানোর পরামর্শ দিয়ে এসেছে, তেমনই মানবিক দিক এবং ভূ-রাজনীতি বিবেচনায় সামরিক জান্তার সাথে আলোচনার পথও খোলা রেখেছে। তাই বলাই যায়, শ্রিংলার মায়ানমার সফর ভারতের ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতির নামান্তর মাত্র।