০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত ও যুক্তরাজ্য অকৃত্রিম বন্ধু, বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

ভারতকে যুক্তরাজ্যের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে অভিহিত করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ১৪ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, ৬ষ্ঠ গ্লোবাল টেকনোলজি সামিটে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য প্রদানকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঐতিহ্যগতভাবেই আমাদের সংস্কৃতিতে মিল রয়েছে। একই রকম উদ্ভাবনী ও উদ্যোক্তা মনোভাবের কারণে আমাদের ঘনিষ্ঠতাও দৃঢ়। অনেকগুলো দূর্দান্ত প্রকল্পে আমরা একসাথে কাজ করছি। ৫জি এবং টেলিকম অংশীদারিত্বে ইতোমধ্যে আমরা অনেক এগিয়ে গিয়েছি। ভারতের জায়ান্ট টাটা গ্রুপের সাথে আমাদের স্টার্টআপ গুলো একীভূত হয়ে কাজ করছে। সবুজ প্রযুক্তি এগিয়ে নিতে আমরা একসাথে এগোচ্ছি। সর্বোপরি, ভারত ও যুক্তরাজ্য স্বভাবগত এবং অকৃত্রিম মিত্র বলেই এসব সম্ভবপর হচ্ছে।”

জনসন আরও বলেন, “এমন এক সময়ে এবারের গ্লোবাল টেকনোলজি সামিট আয়োজিত হচ্ছে যখন আমরা একটি আশ্চর্যজনক সময়ের মুখোমুখি। আমাদের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধন এখন সময়ের প্রয়োজনীয়তা। মহামারী জুড়ে প্রযুক্তি আমাদেরকে নানাভাবে সহায়তা করেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনের বিকল্প নেই।”

এসময়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়েও আলোচনা করেন জনসন। তাছাড়া, প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব বাঁড়াতে মোদীর সঙ্গে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এগোচ্ছেন বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি ভারতকে অপার সম্ভাবনাময় এবং উজ্জ্বল প্রতিভার দেশ হিসেবেও আখ্যায়িত করেন এই ব্রিটিশ নেতা।

আলোচনার এক পর্যায়ে যুক্তরাজ্য যে বিজ্ঞান গবেষণা ও প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে ইউরোপের সুপার পাওয়ার, সমৃদ্ধ ইউনিকর্ন রাষ্ট্র এবং টেকনোলজি হাব, সেটি স্মরণ করিয়ে দেন জনসন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য-ভারতের রোডম্যাপ ২০৩০ নিয়েও কথা বলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ১৪-১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য এবারের জিটিএস শীর্ষ সম্মেলনে উদীয়মান প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করা হবে। এবারের সম্মেলনের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘গ্লোবাল মিটস লোকাল।’

১৩ ডিসেম্বর, সোমবার, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই শীর্ষ সম্মেলনে ক্রিপ্টোকারেন্সি, এনক্রিপশন, ভ্যাকসিন সাপ্লাই চেইন, ক্লাউড কম্পিউটিং, সবুজ প্রযুক্তি, ডিজিটাল পেমেন্ট, সাইবার নিরাপত্তা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহযোগিতা সহ উদীয়মান প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

জানা গিয়েছে, সামিটের এবারের সংস্করণ হাইব্রিড বিন্যাসে আয়োজন করা হচ্ছে। করোনা মহামারীর ব্যতিক্রমী পরিস্থিতির কারণে শারীরিক উপস্থিতি শুধুমাত্র বিশেষ আমন্ত্রণের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানের একটি অধিবেশনে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ISAS-এর ডিরেক্টর সি. রাজা মোহনের সাথে কথোপকথন করবেন৷

উল্লেখ্য, গ্লোবাল টেকনোলজি সামিট হল জিওটেকনোলজির ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট, যা ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়। এটি যৌথভাবে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কার্নেগি ইন্ডিয়া দ্বারা আয়োজিত হয়। সামিটে উদীয়মান প্রযুক্তিগত বিষয়াদির নীতিগত দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য নীতিনির্ধারক এবং ডোমেন বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হয় বলে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

এবারের শীর্ষ সম্মেলনে আরও উপস্থিত থাকবেন স্লোভেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী; ভারতের শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং উদ্যোক্তা মন্ত্রী; পররাষ্ট্র সচিব, কমনওয়েলথ; যুক্তরাজ্যের নারী উন্নয়ন ও সমতা বিষয়ক মন্ত্রী; ফ্রান্সের ডিজিটাল ট্রানজিশন এবং ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশনের প্রতিমন্ত্রী; ভারতের পররাষ্ট্র ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী; ভারতের পররাষ্ট্র ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী; ভারতের পররাষ্ট্র ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী; ভিয়েতনামের তথ্য ও যোগাযোগ উপমন্ত্রী।

এবারের সম্মেলনে ১০০রও বেশি বক্তাদের ৫০ টিরও বেশি সেশন থাকবে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিল্প নেতারা এবং সুপরিচিত প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর ডোমেন বিশেষজ্ঞরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসারে, সারা বিশ্ব থেকে ২৫০০ এরও বেশি অংশগ্রহণকারী সামিটের জন্য প্রাক-নিবন্ধন করেছেন।

জিটিএস-২০২১ -এর জন্য ৯০টিরও বেশি দেশের ২০,০০০ টিরও বেশি লোক বেসপোক ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করেছে এবং #GlobalTechSummit-এর সাথে বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সামিটের কথোপকথনে বিপুল সংখ্যক অংশগ্রহণকারীর যোগদানের সম্ভাবনা রয়েছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

ভারত ও যুক্তরাজ্য অকৃত্রিম বন্ধু, বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:১৯:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১

ভারতকে যুক্তরাজ্যের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে অভিহিত করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ১৪ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, ৬ষ্ঠ গ্লোবাল টেকনোলজি সামিটে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য প্রদানকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঐতিহ্যগতভাবেই আমাদের সংস্কৃতিতে মিল রয়েছে। একই রকম উদ্ভাবনী ও উদ্যোক্তা মনোভাবের কারণে আমাদের ঘনিষ্ঠতাও দৃঢ়। অনেকগুলো দূর্দান্ত প্রকল্পে আমরা একসাথে কাজ করছি। ৫জি এবং টেলিকম অংশীদারিত্বে ইতোমধ্যে আমরা অনেক এগিয়ে গিয়েছি। ভারতের জায়ান্ট টাটা গ্রুপের সাথে আমাদের স্টার্টআপ গুলো একীভূত হয়ে কাজ করছে। সবুজ প্রযুক্তি এগিয়ে নিতে আমরা একসাথে এগোচ্ছি। সর্বোপরি, ভারত ও যুক্তরাজ্য স্বভাবগত এবং অকৃত্রিম মিত্র বলেই এসব সম্ভবপর হচ্ছে।”

জনসন আরও বলেন, “এমন এক সময়ে এবারের গ্লোবাল টেকনোলজি সামিট আয়োজিত হচ্ছে যখন আমরা একটি আশ্চর্যজনক সময়ের মুখোমুখি। আমাদের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধন এখন সময়ের প্রয়োজনীয়তা। মহামারী জুড়ে প্রযুক্তি আমাদেরকে নানাভাবে সহায়তা করেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনের বিকল্প নেই।”

এসময়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়েও আলোচনা করেন জনসন। তাছাড়া, প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব বাঁড়াতে মোদীর সঙ্গে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এগোচ্ছেন বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি ভারতকে অপার সম্ভাবনাময় এবং উজ্জ্বল প্রতিভার দেশ হিসেবেও আখ্যায়িত করেন এই ব্রিটিশ নেতা।

আলোচনার এক পর্যায়ে যুক্তরাজ্য যে বিজ্ঞান গবেষণা ও প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে ইউরোপের সুপার পাওয়ার, সমৃদ্ধ ইউনিকর্ন রাষ্ট্র এবং টেকনোলজি হাব, সেটি স্মরণ করিয়ে দেন জনসন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য-ভারতের রোডম্যাপ ২০৩০ নিয়েও কথা বলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ১৪-১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য এবারের জিটিএস শীর্ষ সম্মেলনে উদীয়মান প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করা হবে। এবারের সম্মেলনের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘গ্লোবাল মিটস লোকাল।’

১৩ ডিসেম্বর, সোমবার, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই শীর্ষ সম্মেলনে ক্রিপ্টোকারেন্সি, এনক্রিপশন, ভ্যাকসিন সাপ্লাই চেইন, ক্লাউড কম্পিউটিং, সবুজ প্রযুক্তি, ডিজিটাল পেমেন্ট, সাইবার নিরাপত্তা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহযোগিতা সহ উদীয়মান প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

জানা গিয়েছে, সামিটের এবারের সংস্করণ হাইব্রিড বিন্যাসে আয়োজন করা হচ্ছে। করোনা মহামারীর ব্যতিক্রমী পরিস্থিতির কারণে শারীরিক উপস্থিতি শুধুমাত্র বিশেষ আমন্ত্রণের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানের একটি অধিবেশনে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ISAS-এর ডিরেক্টর সি. রাজা মোহনের সাথে কথোপকথন করবেন৷

উল্লেখ্য, গ্লোবাল টেকনোলজি সামিট হল জিওটেকনোলজির ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট, যা ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়। এটি যৌথভাবে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কার্নেগি ইন্ডিয়া দ্বারা আয়োজিত হয়। সামিটে উদীয়মান প্রযুক্তিগত বিষয়াদির নীতিগত দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য নীতিনির্ধারক এবং ডোমেন বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হয় বলে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

এবারের শীর্ষ সম্মেলনে আরও উপস্থিত থাকবেন স্লোভেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী; ভারতের শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং উদ্যোক্তা মন্ত্রী; পররাষ্ট্র সচিব, কমনওয়েলথ; যুক্তরাজ্যের নারী উন্নয়ন ও সমতা বিষয়ক মন্ত্রী; ফ্রান্সের ডিজিটাল ট্রানজিশন এবং ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশনের প্রতিমন্ত্রী; ভারতের পররাষ্ট্র ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী; ভারতের পররাষ্ট্র ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী; ভারতের পররাষ্ট্র ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী; ভিয়েতনামের তথ্য ও যোগাযোগ উপমন্ত্রী।

এবারের সম্মেলনে ১০০রও বেশি বক্তাদের ৫০ টিরও বেশি সেশন থাকবে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিল্প নেতারা এবং সুপরিচিত প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর ডোমেন বিশেষজ্ঞরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসারে, সারা বিশ্ব থেকে ২৫০০ এরও বেশি অংশগ্রহণকারী সামিটের জন্য প্রাক-নিবন্ধন করেছেন।

জিটিএস-২০২১ -এর জন্য ৯০টিরও বেশি দেশের ২০,০০০ টিরও বেশি লোক বেসপোক ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করেছে এবং #GlobalTechSummit-এর সাথে বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সামিটের কথোপকথনে বিপুল সংখ্যক অংশগ্রহণকারীর যোগদানের সম্ভাবনা রয়েছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক