০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোভ্যাক্সিনের রপ্তানী শুরু করেছে ভারত বায়োটেক

ভারত বায়োটেকের তৈরী কোভ্যাক্সিন টিকা ইতোমধ্যে বিদেশে রপ্তানী শুরু হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে কোম্পানীটি। গত ২৯ নভেম্বর, সোমবার, এক বার্তার মাধ্যমে কোম্পানীটি জানায়, “নভেম্বর মাসে দীর্ঘ মুলতুবি রপ্তানি আদেশ কার্যকর করা হয়েছে, পরবর্তী মাসগুলোতে রপ্তানীর পরিমাণ আরও প্রসারিত হবে।”
আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে রপ্তানীর এই তালিকা আরও লম্বা হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানীটি। বার্তায় তারা লিখেছে, “কোভ্যাক্সিনের জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া দেশগুলোর সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে অতিরিক্ত দেশে রপ্তানিও বৃদ্ধি পাবে আগামী মাস থেকে।”
ভারত বায়োটেকের এই ভ্যাকসিনটি রপ্তানীর অনুমতি দেয়ায় ভারত সরকারের নিকট কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে কোম্পানীটি। পাশাপাশি কোভ্যাক্সিন এখন বিশ্বের মহামারী প্রতিরোধী লড়াইয়ে অগ্রনী ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছে তারা।
উল্লেখ্য, আবেদনের প্রায় ৭ মাস পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছিলো ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সিন। গত ০৩ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি ব্যবহারের জন্য কোভ্যাক্সিনকে তালিকাভুক্ত করে।
এক টুইটবার্তায় তখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিলো, যেসব ভারতীয় এই টিকা নিয়েছেন বা নেবেন, তারা বিদেশ সফরে গেলে আর কোয়াররেন্টাইন অথবা করোনার অন্যান্য বিধি-নিষেধের আওতায় পড়বেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়ায় ভারতের এই টিকা অন্যান্য দেশেও অনুমোদন পায়।
জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে কোভ্যাক্সিনকে। নিজেদের তৈরি এই টিকার অনুমোদনের জন্য গত এপ্রিলে আবেদন করেছিলো ভারত বায়োটক। গত জুলাইয়ে পাঠানো হয় টিকার সুরক্ষা, কার্যকারিতা, উৎপাদনস্থল পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো।
সেসময় ভারত বায়োটেক জানিয়েছিল, ক্লিনিকাল ট্রায়ালের যাবতীয় তথ্য সহ ভ্যাকসিনের এফিকেসি পুরোটাই পেশ করা হয়েছে। যে সমস্ত করোনা রোগীরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের দেহে এই ভ্যাকসিন ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানায় ভারত বায়োটেক। এছাড়াও, কোভ্যাকসিন করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৬৫.২ শতাংশ প্রোটেকশন দিতে সক্ষম বলেও জানায় তাঁরা।
ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্য মোতাবেক, ভ্যাকসিন মৈত্রী উদ্যোগের অধীনে করোনার শুরু থেকে এখনও অবধি ভারত পৃথিবীর প্রায় ৯৫ টি দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে। সংখ্যার হিসেবে প্রায় ৬৬৪ লক্ষ ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে ভারত, যার মধ্যে ১০৭ লক্ষ ভ্যাকসিন ডোজ অনুদান হিসাবে, ৩৫৮ লক্ষ বাণিজ্যিক সরবরাহ হিসাবে এবং ১৯৯ লক্ষ ডোজ কোভ্যাক্স সুবিধার অধীনে সরবরাহ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এখনও অবধি ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো সহ বিশ্বের প্রায় ৯০ এর অধিক রাষ্ট্র ভারতীয় ভ্যাকসিন গুলোর যথার্থতার স্বীকৃতি দিয়েছে। তাছাড়া, করোনা ঠেকাতে ৭৭.৮ শতাংশ সফল কোভ্যাক্সিন, এমন স্বীকৃতিও ইতোমধ্যে দিয়ে দিয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক
ট্যাগ:

কোভ্যাক্সিনের রপ্তানী শুরু করেছে ভারত বায়োটেক

প্রকাশ: ০৭:১৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১
ভারত বায়োটেকের তৈরী কোভ্যাক্সিন টিকা ইতোমধ্যে বিদেশে রপ্তানী শুরু হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে কোম্পানীটি। গত ২৯ নভেম্বর, সোমবার, এক বার্তার মাধ্যমে কোম্পানীটি জানায়, “নভেম্বর মাসে দীর্ঘ মুলতুবি রপ্তানি আদেশ কার্যকর করা হয়েছে, পরবর্তী মাসগুলোতে রপ্তানীর পরিমাণ আরও প্রসারিত হবে।”
আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে রপ্তানীর এই তালিকা আরও লম্বা হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানীটি। বার্তায় তারা লিখেছে, “কোভ্যাক্সিনের জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া দেশগুলোর সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে অতিরিক্ত দেশে রপ্তানিও বৃদ্ধি পাবে আগামী মাস থেকে।”
ভারত বায়োটেকের এই ভ্যাকসিনটি রপ্তানীর অনুমতি দেয়ায় ভারত সরকারের নিকট কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে কোম্পানীটি। পাশাপাশি কোভ্যাক্সিন এখন বিশ্বের মহামারী প্রতিরোধী লড়াইয়ে অগ্রনী ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছে তারা।
উল্লেখ্য, আবেদনের প্রায় ৭ মাস পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছিলো ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সিন। গত ০৩ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি ব্যবহারের জন্য কোভ্যাক্সিনকে তালিকাভুক্ত করে।
এক টুইটবার্তায় তখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিলো, যেসব ভারতীয় এই টিকা নিয়েছেন বা নেবেন, তারা বিদেশ সফরে গেলে আর কোয়াররেন্টাইন অথবা করোনার অন্যান্য বিধি-নিষেধের আওতায় পড়বেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়ায় ভারতের এই টিকা অন্যান্য দেশেও অনুমোদন পায়।
জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে কোভ্যাক্সিনকে। নিজেদের তৈরি এই টিকার অনুমোদনের জন্য গত এপ্রিলে আবেদন করেছিলো ভারত বায়োটক। গত জুলাইয়ে পাঠানো হয় টিকার সুরক্ষা, কার্যকারিতা, উৎপাদনস্থল পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো।
সেসময় ভারত বায়োটেক জানিয়েছিল, ক্লিনিকাল ট্রায়ালের যাবতীয় তথ্য সহ ভ্যাকসিনের এফিকেসি পুরোটাই পেশ করা হয়েছে। যে সমস্ত করোনা রোগীরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের দেহে এই ভ্যাকসিন ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানায় ভারত বায়োটেক। এছাড়াও, কোভ্যাকসিন করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৬৫.২ শতাংশ প্রোটেকশন দিতে সক্ষম বলেও জানায় তাঁরা।
ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্য মোতাবেক, ভ্যাকসিন মৈত্রী উদ্যোগের অধীনে করোনার শুরু থেকে এখনও অবধি ভারত পৃথিবীর প্রায় ৯৫ টি দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে। সংখ্যার হিসেবে প্রায় ৬৬৪ লক্ষ ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে ভারত, যার মধ্যে ১০৭ লক্ষ ভ্যাকসিন ডোজ অনুদান হিসাবে, ৩৫৮ লক্ষ বাণিজ্যিক সরবরাহ হিসাবে এবং ১৯৯ লক্ষ ডোজ কোভ্যাক্স সুবিধার অধীনে সরবরাহ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এখনও অবধি ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো সহ বিশ্বের প্রায় ৯০ এর অধিক রাষ্ট্র ভারতীয় ভ্যাকসিন গুলোর যথার্থতার স্বীকৃতি দিয়েছে। তাছাড়া, করোনা ঠেকাতে ৭৭.৮ শতাংশ সফল কোভ্যাক্সিন, এমন স্বীকৃতিও ইতোমধ্যে দিয়ে দিয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

Fatal error: Uncaught wfWAFStorageFileException: Unable to save temporary file for atomic writing. in /home/nabajugc/public_html/wp-content/plugins/wordfence/vendor/wordfence/wf-waf/src/lib/storage/file.php:34 Stack trace: #0 /home/nabajugc/public_html/wp-content/plugins/wordfence/vendor/wordfence/wf-waf/src/lib/storage/file.php(658): wfWAFStorageFile::atomicFilePutContents('/home/nabajugc/...', '<?php exit('Acc...') #1 [internal function]: wfWAFStorageFile->saveConfig('livewaf') #2 {main} thrown in /home/nabajugc/public_html/wp-content/plugins/wordfence/vendor/wordfence/wf-waf/src/lib/storage/file.php on line 34