০৫:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে এক ডোজ প্রাপ্তদের চেয়ে বাড়লো সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্তদের সংখ্যা

ভারতে প্রথমবারের মতো করোনা টিকার এক ডোজ প্রাপ্তদের চেয়ে বাড়লো সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সংখ্যা। গোটা বিষয়টিকে করোনা মহামারী থেকে উত্তরণে সরকারের ব্যাপক প্রচারণার উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া।

১৭ নভেম্বর, বুধবার, মোদী মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্য বলেন, “দেশে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সংখ্যা আংশিকভাবে টিকাপ্রাপ্ত জনগণের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই কীর্তি দেশের সকল জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ফল। প্রধানমন্ত্রী মোদীর অদম্য নেতৃত্বের ফলেই এটি অর্জন সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ‘জন-ভাগিদারি’ এবং চলমান ‘হার ঘর দস্তক’ প্রচারাভিযান দেশের সমস্ত মানুষের আস্থা ও নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে।”

উল্লেখ্য, বিগত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ৬৭৮২০৪২ ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। এর ফলে ভারতজুড়ে মোট টিকা প্রদানের সংখ্যা দাড়ালো ১১৩ কোটি ৬৮ লক্ষে। প্রায় ১১৬৭৩৪৫৯ টি সেশনের মাধ্যমে এই অর্জনটি সম্ভবপর হয়েছে।

জানা গিয়েছে, গোটা কার্যক্রমের মধ্যে প্রায় ৭৫৫৭২৪০৮১ ডোজ টিকা ভ্যাকসিনেশনের প্রথম ডোজ হিসেবে দেয়া হয়েছে এবং ৩৮১১৫৫৬০৪ ডোজ টিকা দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। সে হিসেবে ভারতে করোনার দুই ডোজ বা সম্পূর্ণ ডোজ টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা ৩৮১১৫৫৬০৪। অন্যদিকে, শুধু প্রথম ডোজ নেয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৭৪৫৬৮৪৭৭ জন।

করোনা টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের জনগণের সম্মিলিত চেতনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া। এক টুইটবার্তায় নিজের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি যারা এখনও টিকা গ্রহণ করেননি, তাদেরকে শীঘ্রই টিকা গ্রহণের অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

তাছাড়া, করোনা থেকে উত্তরণে ভারত সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। এক বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, “গত ২১ অক্টোবর, ২০২১, আমরা ১০০ কোটি ডোজ টিকা দেয়ার গৌরব অর্জন করেছিলাম। পরবর্তীকালে, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জি একটি ক্ল্যারিয়ন কল দিয়েছিলেন এবং ০৩ নভেম্বর, ২০২১-এ ‘হর ঘর দস্তক’ প্রচারাভিযান শুরু করেছিলেন। এর মাধ্যমে দেশের প্রতিটি কোণে সকল নাগরিককে টিকার আওতায় আনার কার্যক্রম নতুন উদ্যমে শুরু হয়।”

বর্তমানে ভারতে ভ্যাকসিনের কোনো কমতি নেই বলেও জানান কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের অসাধারণ অর্জন ও ত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

ভারতে এক ডোজ প্রাপ্তদের চেয়ে বাড়লো সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্তদের সংখ্যা

প্রকাশ: ০২:৩৬:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১

ভারতে প্রথমবারের মতো করোনা টিকার এক ডোজ প্রাপ্তদের চেয়ে বাড়লো সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সংখ্যা। গোটা বিষয়টিকে করোনা মহামারী থেকে উত্তরণে সরকারের ব্যাপক প্রচারণার উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া।

১৭ নভেম্বর, বুধবার, মোদী মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্য বলেন, “দেশে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সংখ্যা আংশিকভাবে টিকাপ্রাপ্ত জনগণের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই কীর্তি দেশের সকল জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ফল। প্রধানমন্ত্রী মোদীর অদম্য নেতৃত্বের ফলেই এটি অর্জন সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ‘জন-ভাগিদারি’ এবং চলমান ‘হার ঘর দস্তক’ প্রচারাভিযান দেশের সমস্ত মানুষের আস্থা ও নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে।”

উল্লেখ্য, বিগত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ৬৭৮২০৪২ ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। এর ফলে ভারতজুড়ে মোট টিকা প্রদানের সংখ্যা দাড়ালো ১১৩ কোটি ৬৮ লক্ষে। প্রায় ১১৬৭৩৪৫৯ টি সেশনের মাধ্যমে এই অর্জনটি সম্ভবপর হয়েছে।

জানা গিয়েছে, গোটা কার্যক্রমের মধ্যে প্রায় ৭৫৫৭২৪০৮১ ডোজ টিকা ভ্যাকসিনেশনের প্রথম ডোজ হিসেবে দেয়া হয়েছে এবং ৩৮১১৫৫৬০৪ ডোজ টিকা দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। সে হিসেবে ভারতে করোনার দুই ডোজ বা সম্পূর্ণ ডোজ টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা ৩৮১১৫৫৬০৪। অন্যদিকে, শুধু প্রথম ডোজ নেয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৭৪৫৬৮৪৭৭ জন।

করোনা টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের জনগণের সম্মিলিত চেতনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া। এক টুইটবার্তায় নিজের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি যারা এখনও টিকা গ্রহণ করেননি, তাদেরকে শীঘ্রই টিকা গ্রহণের অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

তাছাড়া, করোনা থেকে উত্তরণে ভারত সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। এক বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, “গত ২১ অক্টোবর, ২০২১, আমরা ১০০ কোটি ডোজ টিকা দেয়ার গৌরব অর্জন করেছিলাম। পরবর্তীকালে, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জি একটি ক্ল্যারিয়ন কল দিয়েছিলেন এবং ০৩ নভেম্বর, ২০২১-এ ‘হর ঘর দস্তক’ প্রচারাভিযান শুরু করেছিলেন। এর মাধ্যমে দেশের প্রতিটি কোণে সকল নাগরিককে টিকার আওতায় আনার কার্যক্রম নতুন উদ্যমে শুরু হয়।”

বর্তমানে ভারতে ভ্যাকসিনের কোনো কমতি নেই বলেও জানান কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের অসাধারণ অর্জন ও ত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক