০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের কোভ্যাক্সিনকে স্বীকৃতি দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

আবেদনের প্রায় ৭ মাস পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেলো ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সিন। বুধবার (০৩ নভেম্বর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি ব্যবহারের জন্য কোভ্যাক্সিনকে তালিকাভুক্ত করে।

এক টুইটবার্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, যেসব ভারতীয় এই টিকা নিয়েছেন বা নেবেন, তারা বিদেশ সফরে গেলে আর কোয়াররেন্টাইন অথবা করোনার অন্যান্য বিধি-নিষেধের আওতায় পড়বেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়ায় ভারতের এই টিকা এখন অন্যান্য দেশেও অনুমোদন পাবে।

জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে কোভ্যাক্সিনকে। নিজেদের তৈরি এই টিকার অনুমোদনের জন্য গত এপ্রিলে আবেদন করেছিলো ভারত বায়োটক। গত জুলাইয়ে পাঠানো হয় টিকার সুরক্ষা, কার্যকারিতা, উৎপাদনস্থল পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো।

সেসময় ভারত বায়োটেক জানিয়েছিল, ক্লিনিকাল ট্রায়ালের যাবতীয় তথ্য সহ ভ্যাকসিনের এফিকেসি পুরোটাই পেশ করা হয়েছে। যে সমস্ত করোনা রোগীরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের দেহে এই ভ্যাকসিন ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানায় ভারত বায়োটেক। এছাড়াও, কোভ্যাকসিন করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৬৫.২ শতাংশ প্রোটেকশন দিতে সক্ষম বলেও জানায় তাঁরা।

গত সপ্তাহের মঙ্গলবার ‘হু’-র বিশেষজ্ঞ কমিটি টিকা ব্যবহারের ঝুঁকি এবং সাফল্য সংক্রান্ত নানা তথ্য এবং নথি পরীক্ষা করেন। পরে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করার ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত ভাবে সম্মত হয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। কিন্তু আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি যাচাই না করা পর্যন্ত কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই বৈঠকে।

অবশেষে বিস্তর টানাপোড়েনের অবসান ঘটিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেলো কোভ্যাকসিন।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

 

ট্যাগ:

ভারতের কোভ্যাক্সিনকে স্বীকৃতি দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রকাশ: ০৮:৩০:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১

আবেদনের প্রায় ৭ মাস পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেলো ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সিন। বুধবার (০৩ নভেম্বর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি ব্যবহারের জন্য কোভ্যাক্সিনকে তালিকাভুক্ত করে।

এক টুইটবার্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, যেসব ভারতীয় এই টিকা নিয়েছেন বা নেবেন, তারা বিদেশ সফরে গেলে আর কোয়াররেন্টাইন অথবা করোনার অন্যান্য বিধি-নিষেধের আওতায় পড়বেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়ায় ভারতের এই টিকা এখন অন্যান্য দেশেও অনুমোদন পাবে।

জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে কোভ্যাক্সিনকে। নিজেদের তৈরি এই টিকার অনুমোদনের জন্য গত এপ্রিলে আবেদন করেছিলো ভারত বায়োটক। গত জুলাইয়ে পাঠানো হয় টিকার সুরক্ষা, কার্যকারিতা, উৎপাদনস্থল পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো।

সেসময় ভারত বায়োটেক জানিয়েছিল, ক্লিনিকাল ট্রায়ালের যাবতীয় তথ্য সহ ভ্যাকসিনের এফিকেসি পুরোটাই পেশ করা হয়েছে। যে সমস্ত করোনা রোগীরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের দেহে এই ভ্যাকসিন ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানায় ভারত বায়োটেক। এছাড়াও, কোভ্যাকসিন করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৬৫.২ শতাংশ প্রোটেকশন দিতে সক্ষম বলেও জানায় তাঁরা।

গত সপ্তাহের মঙ্গলবার ‘হু’-র বিশেষজ্ঞ কমিটি টিকা ব্যবহারের ঝুঁকি এবং সাফল্য সংক্রান্ত নানা তথ্য এবং নথি পরীক্ষা করেন। পরে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করার ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত ভাবে সম্মত হয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। কিন্তু আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি যাচাই না করা পর্যন্ত কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই বৈঠকে।

অবশেষে বিস্তর টানাপোড়েনের অবসান ঘটিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেলো কোভ্যাকসিন।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক