ভেস্তে গেলো ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর কমান্ডার পর্যায়ের ১৩ তম বৈঠক। গত ১০ অক্টোবর, রবিবার, কোনো অগ্রগতি ও ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে বৈঠকটি। চীনের প্রতিনিধি দল সমস্যার সমাধানে কোনো গঠনমূলক পরামর্শ তো দেয়নি, উপরন্তু ভারত কর্তৃক প্রস্তাবিত গঠনমূলক সকল পয়েন্টের বিরোধীতা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে ভারত।
১১ অক্টোবর, সোমবার, ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “বৈঠকে সীমান্তে অমীমাংসিত অবশিষ্ট এলাকার সমস্যা সমাধানে গঠনমূলক পরামর্শ দিয়েছিলো ভারত। কিন্তু চীনা পক্ষ তাতে সম্মত হয়নি। একই সঙ্গে, তারা কোনো প্রস্তাবও দিতে পারেনি। ফলে দু দেশের বিরোধপূর্ণ অবশিষ্ট অঞ্চল নিয়ে কোনো সমাধানে পৌঁছানো যায়নি।”
তবে বৈঠক ভেস্তে গেলেও উভয় পক্ষই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখতে এবং অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে রাজি হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, “আমাদের প্রত্যাশা যে, চীনা পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করবে। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং প্রটোকল সম্পূর্ণরূপে মেনে চলার সময় বাকি সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানের জন্য কাজ করবে।”
পৃথক বিবৃতিতে চীনা সামরিক বাহিনীর ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড বলছে, “ভারত অযৌক্তিক এবং অবাস্তব দাবির ওপর জোর দিয়েছে, যা সমঝোতার ক্ষেত্রে অসুবিধার সৃষ্টি করছে।”
এর আগে, গত রবিবার, পূর্ব লাদাখের ডেপসাং এবং হট স্প্রিংসের মতো অঞ্চলের সমস্যা সমাধানের জন্য ১৩ তম কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হয় ভারত ও চীন। ইতোপূর্বে পূর্ব লাদাখ অঞ্চলের প্রায় ছয়টি ফ্ল্যাশ পয়েন্টের মধ্যে প্যানগং লেকের গোগরা, গালওয়ান, উত্তর এবং দক্ষিণ তীরের সীমান্ত সমস্যার বিষয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে সমঝোতা হয়েছিলো। কিন্তু ডেপসাং এবং হট স্প্রিংসের মতো ফ্ল্যাশপয়েন্ট অঞ্চলের বিষয়ে আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি।
ইতোপূর্বে, সর্বশেষ গত ০২ আগস্ট, চশুল-মোলদো সীমান্তের মিটিং পয়েন্টে কর্পস কমান্ডার পর্যায়ে ১২ তম বৈঠক করে দেশ দুটো।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক