একটি উন্মুক্ত, অন্তর্ভূক্তিমূলক এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়তে শক্তিশালী ও নিবিড় সম্পর্কযুক্ত ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্ব প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। গত ০৭ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, ইউএস-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল আয়োজিত ৪৬ তম বার্ষিক সভা এবং ইন্ডিয়া আইডিয়াস সামিটে বক্তব্য প্রদানকালে এই মন্তব্য করেন তিনি।
এবারের ভাষণে মূলত মহামারী পরবর্তী বিশ্বে প্রযুক্তির সাহায্যে অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের গুরুত্বের উপর আলোকপাত করেন তিনি। গয়াল বলেন, “সাম্প্রতিককালে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক একটি বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বে পরিণত হয়েছে। প্রযুক্তিগত সহায়তা এখানে মূখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।”
এসময়, ভারত-মার্কিন সম্পর্কোন্নয়নের প্রচেষ্টা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং জো বাইডেনের নিরলস চেষ্টার বিবরণ তুলে ধরেন মন্ত্রী। সর্বশেষ মোদী-বাইডেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনের বিষয়েও আলোচনা করেন তিনি।
এর সঙ্গে, ভারতকে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক প্রধান প্রতিরক্ষা অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি সাধুবাদ জানান গয়াল। এর সূত্র ধরে ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, পরিষেবা, শক্তি, স্বাস্থ্য, বিনিয়োগ, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি খাতে নিয়মিত সংলাপ আয়োজনের আহবান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রযুক্তি, অর্থনীতি, উৎপাদন এবং সরবরাহ চেইনের মতো বিষয়গুলোতে সম্পর্ক জোরদার করতে হবে। বিদ্যুৎ, এডটেক, ফিনটেক, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং অন্যান্য সহযোগিতার ক্ষেত্র বিকশিত করতে হবে।”
এক পর্যায়ে, ভারত-মার্কিন সম্পর্কে ঐক্য, শক্তি এবং পেশাদারিত্ব বৃদ্ধিতে ইউএস-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিলের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। বিগত ৪৬ বছর ধরে দু দেশের মধ্যে সম্পর্ক সমুন্নত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কাউন্সিলের সবাইকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।
এসবের পাশাপাশি মহামারী নিয়ন্ত্রণ এবং ভ্যাকসিন ইস্যুতেও আলোচনা করেন গয়াল। কোভিড পরবর্তী বিশ্বে বিভিন্ন বিষয়ের ক্রমবর্ধমান ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী আরও বলেন, “ভারত যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে দ্রুত আলোচনা এগিয়ে নিচ্ছে।”
মোদী মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রী জানান, “ভারত সরকার বর্তমানে নিজ দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর ব্যবস্থার উৎকর্ষ সাধন এবং উদ্ভাবন, গবেষণা ও উন্নয়নকে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।”
সবশেষে, আত্মনির্ভর ভারত গড়ার জন্যে নিজেদের পুর্ব অঙ্গীকার এবং মেক ইন ইন্ডিয়া ফর দ্যা ওয়ার্ল্ড স্লোগান দিয়ে বক্তব্যের সমাপ্তি টানেন তিনি।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক