ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জেনেভায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন ভারতীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি। একই সঙ্গে সেখানে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও যোগ দেন তিনি।
পরবর্তীতে এক টুইটবার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন লেখি নিজেই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে স্বাধীনতার আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পেরে এবং সুইজারল্যান্ডের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নিজের মুগ্ধতার কথা জানান তিনি।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর, বুধবার, সুইস প্রেসিডেন্ট গাই পারমেলিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন লেখি। বার্নের ফেডারেল প্যালেসে দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে আলোচনা করতে বৈঠকটি আয়োজিত হয়। বৈঠকের পর লেখি নিজের একাউন্ট থেকে এক টুইট বার্তায় লিখেছিলেন, “বার্নের ফেডারেল প্যালেসে সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট গাই পারমেলিনের সঙ্গে বৈঠক করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা ইস্যুতে জোরদার আলোচনা করেছি আমরা।”
তারও আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর, বুধবার, নিউ জুরিখ টাইমস কর্তৃক আয়োজিত ইমপ্যাক্ট ফাইন্যান্স কনফারেন্সের উদ্বোধনী দিনে যোগ দেন তিনি। সেখানে স্থিতিশীলতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের উপর কথা বলেন তিনি। লেখি সেদিন জানান, “বিশ্বে সর্বনিম্ন কার্বন নিঃসরণ করা দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারত নিজেদের জিডিপির ৩৩-৩৫ শতাংশ তীব্রতা কমাতে সম্মত হয়েছে।”
তিনি বলেন, “ভারতকে বিশ্বের বৃহত্তম গ্রিন হাইড্রোজেন হাবে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। ভারত এমন পাঁচটি দেশের মধ্যে রয়েছে, যারা বৈশ্বিক উষ্ণতাকে ০২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের লক্ষ্যমাত্রার নিচে রাখার জন্য কাজ করছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এটি আমাদের অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি।”
মোদী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রী আরও বলেছিলেন, “উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, ভারত পরিষ্কার শক্তি, দক্ষতা, বনায়ন এবং জৈব-বৈচিত্র্যের উপর অনেক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। জ্বালানি খরচ কমানো এবং উৎপাদিত শক্তির দক্ষ ব্যবস্থাপনাতেও মনোযোগ রয়েছে ভারতের।”
এসময়, আন্তর্জাতিক সৌর জোটের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি।
বস্তুত, সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। বহুপাক্ষিক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রায়শই একে অন্যকে সমর্থন দিয়ে থাকে তাঁরা। দেশটিতে ভারতীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন মাত্রা আনবে বলে ধারণা করছে বোদ্ধামহল।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক