১২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাস্কর্য ভাঙ্গার বিরুদ্ধে ত্রিশালে সঞ্জীবনের উদ্যোগে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি কুষ্টিয়ায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের রেশ কাটতে না কাটতেই একই জেলার কয়ায় ভাংচুর করা হয় মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী, বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখ্যোপাধ্যায় ওরফে বাঘা যতীনের ভাস্কর্য।

এই জঘন্য অপতৎপরতাকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান নিয়ে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার বিক্ষুব্ধ নাগরিকগণ। তাঁরই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে সঞ্জীবন যুব সংস্থার আয়োজনে ভাস্কর্য ভাঙ্গার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী অবস্থান ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২২ ডিসেম্বর, ২০২০, মঙ্গলবার, ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে সঞ্জীবন যুব সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পর্ষদ সভাপতি ফাহিম আহম্মেদ মন্ডলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ত্রিশাল উপজেলার চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ্ব আব্দুল মতিন সরকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাব হুমায়ুন কবীর আকন্দ, ত্রিশাল অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জামালউদ্দিন শামীম, ত্রিশাল উপজেলা সঞ্জীবনের কো-অর্ডিনেটর রোবায়েত হুসাইন রুসাত, উপজেলা সঞ্জীবনের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট কো-অর্ডিনেটর সিয়াম আবু রাফী, সাকিব আকন্দ সহ আরও অনেকেই।

সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, “বাঙালী মুক্তি সংগ্রামের দুই কিংবদন্তীর ভাস্কর্য ভাঙার মধ্য দিয়ে দুর্বৃত্তরা আমাদের স্বাধীনতার চেতনার প্রকাশ্য বিরোধীতায় লিপ্ত হয়েছে! বাংলাদেশের গতিপ্রকৃতি কেমন হবে, তা ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়ে নির্ধারণ করে গিয়েছেন। আমাদের দেশ কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্যে সৃষ্টি হয়নি! এ দেশ নজরুলের দেশ, এ দেশ বঙ্গবন্ধুর দেশ! এ দেশ মুসলিমের, এ দেশ হিন্দুর, খ্রিষ্টানের, বৌদ্ধের, সর্বোপরি সবার! সবারই এখানে সমান সুযোগ এবং অধিকার রয়েছে! এখানে ধর্ম ব্যবসার সুযোগও নেই! তাই বাংলার মাটিতে এ ধরণের ধৃষ্টতা দেখানোর সুযোগ যেনো আর কেউ না দেখাতে পারে, বাংলাদেশের প্রগতিশীলতাকে, উন্নয়নকে ব্যহত করার ষড়যন্ত্রে কেউ লিপ্ত না হতে পারে, এজন্য এই ভাস্কর্য ভাঙার জন্য দায়ী দোষীদেরকে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে!’’

স্বাধীনতার ৫০ তম বর্ষে এসে সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবাস্প বাংলাদেশের জাতীয় সমাজে ছড়িয়ে দেয়ার অপপ্রয়াস করা হচ্ছে, বক্তারা এর কড়া নিন্দা জানান এবং এই ঘটনাটিকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন দায়িত্বশীলদের প্রতি অনুরোধ জানান।

একই সঙ্গে দলমত নির্বিশেষে সকল সচেতন নাগরিককে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হওয়ার আহ্বান জানান বক্তাগণ।

ট্যাগ:

ভাস্কর্য ভাঙ্গার বিরুদ্ধে ত্রিশালে সঞ্জীবনের উদ্যোগে মানববন্ধন

প্রকাশ: ০১:২৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি কুষ্টিয়ায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের রেশ কাটতে না কাটতেই একই জেলার কয়ায় ভাংচুর করা হয় মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী, বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখ্যোপাধ্যায় ওরফে বাঘা যতীনের ভাস্কর্য।

এই জঘন্য অপতৎপরতাকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান নিয়ে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার বিক্ষুব্ধ নাগরিকগণ। তাঁরই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে সঞ্জীবন যুব সংস্থার আয়োজনে ভাস্কর্য ভাঙ্গার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী অবস্থান ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২২ ডিসেম্বর, ২০২০, মঙ্গলবার, ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে সঞ্জীবন যুব সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পর্ষদ সভাপতি ফাহিম আহম্মেদ মন্ডলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ত্রিশাল উপজেলার চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ্ব আব্দুল মতিন সরকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাব হুমায়ুন কবীর আকন্দ, ত্রিশাল অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জামালউদ্দিন শামীম, ত্রিশাল উপজেলা সঞ্জীবনের কো-অর্ডিনেটর রোবায়েত হুসাইন রুসাত, উপজেলা সঞ্জীবনের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট কো-অর্ডিনেটর সিয়াম আবু রাফী, সাকিব আকন্দ সহ আরও অনেকেই।

সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, “বাঙালী মুক্তি সংগ্রামের দুই কিংবদন্তীর ভাস্কর্য ভাঙার মধ্য দিয়ে দুর্বৃত্তরা আমাদের স্বাধীনতার চেতনার প্রকাশ্য বিরোধীতায় লিপ্ত হয়েছে! বাংলাদেশের গতিপ্রকৃতি কেমন হবে, তা ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়ে নির্ধারণ করে গিয়েছেন। আমাদের দেশ কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্যে সৃষ্টি হয়নি! এ দেশ নজরুলের দেশ, এ দেশ বঙ্গবন্ধুর দেশ! এ দেশ মুসলিমের, এ দেশ হিন্দুর, খ্রিষ্টানের, বৌদ্ধের, সর্বোপরি সবার! সবারই এখানে সমান সুযোগ এবং অধিকার রয়েছে! এখানে ধর্ম ব্যবসার সুযোগও নেই! তাই বাংলার মাটিতে এ ধরণের ধৃষ্টতা দেখানোর সুযোগ যেনো আর কেউ না দেখাতে পারে, বাংলাদেশের প্রগতিশীলতাকে, উন্নয়নকে ব্যহত করার ষড়যন্ত্রে কেউ লিপ্ত না হতে পারে, এজন্য এই ভাস্কর্য ভাঙার জন্য দায়ী দোষীদেরকে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে!’’

স্বাধীনতার ৫০ তম বর্ষে এসে সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবাস্প বাংলাদেশের জাতীয় সমাজে ছড়িয়ে দেয়ার অপপ্রয়াস করা হচ্ছে, বক্তারা এর কড়া নিন্দা জানান এবং এই ঘটনাটিকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন দায়িত্বশীলদের প্রতি অনুরোধ জানান।

একই সঙ্গে দলমত নির্বিশেষে সকল সচেতন নাগরিককে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হওয়ার আহ্বান জানান বক্তাগণ।