০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বশেমুরকৃবিতে “Creative Fest 1.0” করলো ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড পার্সোনাল ডেভলপমেন্ট ক্লাব

মুহাম্মদ মোস্তাকিম বিল্লাহ, বিশেষ প্রতিনিধি: বশেমুরকৃবি ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব “এলপিডিসি ক্রিয়েটিভ ফেস্ট ১.০” নামে একটি নিজস্ব ক্যাম্পাস ভিত্তিক সৃজনশীল অনলাইন কন্টেস্ট এর আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের নিজেদের ব্যক্তিসত্তাকে প্রকাশে সহায়তা করে সৃজনশীল অনুশীলনকে উৎসাহিত করা।

অনুষ্ঠানের অন্যতম সমন্বয়কারী (ডকুমেন্টেশন এবং আউটরিচ) রাহুল দত্ত তাদের দুর্দান্ত আয়োজনের ব্যাপারে আমাদের অবহিত করেন। ফটোগ্রাফি প্রেমীদের জন্য (Caging time in frames), লিখতে পছন্দ করেন তাদের জন্য (Lit Quest) এবং নিজের সৃজনশীলতাকে ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরতে চান এমন প্রতিযোগিদের জন্য (2 minutes story) আলাদা ৩ টি সময়োপযোগী এবং ব্যতিক্রমী সেগমেন্ট নিয়েই সাজানো হয়েছিল প্রতিযোগিতাটিকে। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল প্রতিযোগীদের উপস্থাপনা জমা দেয়া এবং ১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হয়। তবে অংশগ্রহণকারীদের স্বতঃস্ফূর্ততার কারণে সময়কাল বাড়িয়ে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। প্রতিযোগীরা ক্লাবের ফেসবুক গ্রুপে তাদের উপস্থাপনা পোস্ট করেন। পরবর্তী অনলাইনের জনমত এর জন্য সেরা উপস্থাপনাগুলো তাদের ফেসবুক পেজে সরবরাহ করা হয়। যার মাধ্যমে সেরা সেরাদের বাছাইয়ে দর্শকরাও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে।

প্রতিযোগিতার সম্মানিত বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বশেমুরকৃবির তিনজন শিক্ষক: অধ্যাপক ড. মঈনুল হোসেইন অলিভার (কৃষি প্রকৌশল বিভাগ), সহকারী অধ্যাপক কেয়া রানি দাস (পরিসংখ্যান বিভাগ), সহকারী অধ্যাপক ফারজানা মোস্তফা ইরা (কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ)।
গত 10 ​​ই অক্টোবর ফেসবুকে লাইভের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। বিচারকদের একজন এবং ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড: মঈনুল হোসেইন অলিভার বলেন , “পড়াশুনার পাশাপাশি এলপিডিসি নিজের ব্যক্তিসত্ত্বাকে উন্নত করার একটি প্লাটফর্ম।” সহকারী অধ্যাপক কেয়া রানি দাস বলেন , “প্রতিটি বিষয়বস্তুই সেরা বলে মনে হয়েছে। আমি সৃজনশীল কাজ বিকাশের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। আয়োজকরাও দুর্দান্ত কাজ করেছেন ।” সহকারী অধ্যাপক ফারজানা মোস্তফা ইরা বলেন, ” বশেমুরকৃবি এলপডিসি আয়োজিত এতো সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত হওয়া আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। আশা করি ভবিষ্যতেও তাদের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।”

প্রতিযোগিতার তত্ত্বাবধায়ক আকিব হোসেন বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব সাংগঠনিক কাজের অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক। বশেমুরকৃবি এলপিডিসি ইতিমধ্যে এই ইভেন্টে আমাদের ক্যাম্পাসের ৪ টি বড় সংস্থা এবং ২ টি অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে নিয়ে একসাথে কাজ করার মাধ্যমে একটি মাইলফলক প্রতিষ্ঠা করেছে।” ইভেন্ট কো-অর্ডিনেটর মুহাম্মদ মোস্তাকিম বিল্লাহ বলেছেন, “ বশেমুরকৃবি এলপডিসি দলের পক্ষে এই প্রতিযোগিতাটির আয়োজন কিছু দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা বয়ে এনেছে। এগুলো আমাদের ভবিষ্যতে আরো ব্যতিক্রমী আয়োজনে অনুপ্রাণিত করবে। ”

অনলাইন ফেস্টের সফলতা এবং যথাযথ মান নিশ্চিত করার অভিপ্রায়ে বশেমুরকৃবি থেকে আরও কয়েকটি জনপ্রিয় সংগঠন যুক্ত হয়। সংগঠনগুলো হচ্ছে: বশেমুরকৃবি ডিবেটিং সোসাইটি, পরিবর্তন, প্রথম আলো বন্ধুসভা- বশেমুরকৃবি শাখা, কালের কণ্ঠ শুভসংঘ- বশেমুরকৃবি শাখা, MIRRORS OF BSMRAU এবং বশমুরকৃবি সাহিত্য সম্ভার। প্রতিযোগিতায় প্রতিটি বিভাগের ৩ জন বিজয়ী এবং সেরা ১০ জন সহ সকল অংশগ্রহণকারীদেরকে সার্টেফিকেট প্রদান করা হয়।

বশেমুরকৃবি ল্যাঙ্গুয়েজ এবং পার্সোনাল ডেভলপমেন্ট ক্লাব বিশ্বাস করে পড়াশুনার পাশাপাশি মনন ও সৃজনশীলতা বিকাশ শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে সামাজিক জীবনেও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই ভবিষ্যতেও ক্লাবের অনুরূপ সৃজনশীল কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

ট্যাগ:

বশেমুরকৃবিতে “Creative Fest 1.0” করলো ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড পার্সোনাল ডেভলপমেন্ট ক্লাব

প্রকাশ: ১২:২৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০

মুহাম্মদ মোস্তাকিম বিল্লাহ, বিশেষ প্রতিনিধি: বশেমুরকৃবি ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব “এলপিডিসি ক্রিয়েটিভ ফেস্ট ১.০” নামে একটি নিজস্ব ক্যাম্পাস ভিত্তিক সৃজনশীল অনলাইন কন্টেস্ট এর আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের নিজেদের ব্যক্তিসত্তাকে প্রকাশে সহায়তা করে সৃজনশীল অনুশীলনকে উৎসাহিত করা।

অনুষ্ঠানের অন্যতম সমন্বয়কারী (ডকুমেন্টেশন এবং আউটরিচ) রাহুল দত্ত তাদের দুর্দান্ত আয়োজনের ব্যাপারে আমাদের অবহিত করেন। ফটোগ্রাফি প্রেমীদের জন্য (Caging time in frames), লিখতে পছন্দ করেন তাদের জন্য (Lit Quest) এবং নিজের সৃজনশীলতাকে ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরতে চান এমন প্রতিযোগিদের জন্য (2 minutes story) আলাদা ৩ টি সময়োপযোগী এবং ব্যতিক্রমী সেগমেন্ট নিয়েই সাজানো হয়েছিল প্রতিযোগিতাটিকে। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল প্রতিযোগীদের উপস্থাপনা জমা দেয়া এবং ১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হয়। তবে অংশগ্রহণকারীদের স্বতঃস্ফূর্ততার কারণে সময়কাল বাড়িয়ে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। প্রতিযোগীরা ক্লাবের ফেসবুক গ্রুপে তাদের উপস্থাপনা পোস্ট করেন। পরবর্তী অনলাইনের জনমত এর জন্য সেরা উপস্থাপনাগুলো তাদের ফেসবুক পেজে সরবরাহ করা হয়। যার মাধ্যমে সেরা সেরাদের বাছাইয়ে দর্শকরাও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে।

প্রতিযোগিতার সম্মানিত বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বশেমুরকৃবির তিনজন শিক্ষক: অধ্যাপক ড. মঈনুল হোসেইন অলিভার (কৃষি প্রকৌশল বিভাগ), সহকারী অধ্যাপক কেয়া রানি দাস (পরিসংখ্যান বিভাগ), সহকারী অধ্যাপক ফারজানা মোস্তফা ইরা (কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ)।
গত 10 ​​ই অক্টোবর ফেসবুকে লাইভের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। বিচারকদের একজন এবং ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড: মঈনুল হোসেইন অলিভার বলেন , “পড়াশুনার পাশাপাশি এলপিডিসি নিজের ব্যক্তিসত্ত্বাকে উন্নত করার একটি প্লাটফর্ম।” সহকারী অধ্যাপক কেয়া রানি দাস বলেন , “প্রতিটি বিষয়বস্তুই সেরা বলে মনে হয়েছে। আমি সৃজনশীল কাজ বিকাশের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। আয়োজকরাও দুর্দান্ত কাজ করেছেন ।” সহকারী অধ্যাপক ফারজানা মোস্তফা ইরা বলেন, ” বশেমুরকৃবি এলপডিসি আয়োজিত এতো সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত হওয়া আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। আশা করি ভবিষ্যতেও তাদের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।”

প্রতিযোগিতার তত্ত্বাবধায়ক আকিব হোসেন বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব সাংগঠনিক কাজের অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক। বশেমুরকৃবি এলপিডিসি ইতিমধ্যে এই ইভেন্টে আমাদের ক্যাম্পাসের ৪ টি বড় সংস্থা এবং ২ টি অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে নিয়ে একসাথে কাজ করার মাধ্যমে একটি মাইলফলক প্রতিষ্ঠা করেছে।” ইভেন্ট কো-অর্ডিনেটর মুহাম্মদ মোস্তাকিম বিল্লাহ বলেছেন, “ বশেমুরকৃবি এলপডিসি দলের পক্ষে এই প্রতিযোগিতাটির আয়োজন কিছু দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা বয়ে এনেছে। এগুলো আমাদের ভবিষ্যতে আরো ব্যতিক্রমী আয়োজনে অনুপ্রাণিত করবে। ”

অনলাইন ফেস্টের সফলতা এবং যথাযথ মান নিশ্চিত করার অভিপ্রায়ে বশেমুরকৃবি থেকে আরও কয়েকটি জনপ্রিয় সংগঠন যুক্ত হয়। সংগঠনগুলো হচ্ছে: বশেমুরকৃবি ডিবেটিং সোসাইটি, পরিবর্তন, প্রথম আলো বন্ধুসভা- বশেমুরকৃবি শাখা, কালের কণ্ঠ শুভসংঘ- বশেমুরকৃবি শাখা, MIRRORS OF BSMRAU এবং বশমুরকৃবি সাহিত্য সম্ভার। প্রতিযোগিতায় প্রতিটি বিভাগের ৩ জন বিজয়ী এবং সেরা ১০ জন সহ সকল অংশগ্রহণকারীদেরকে সার্টেফিকেট প্রদান করা হয়।

বশেমুরকৃবি ল্যাঙ্গুয়েজ এবং পার্সোনাল ডেভলপমেন্ট ক্লাব বিশ্বাস করে পড়াশুনার পাশাপাশি মনন ও সৃজনশীলতা বিকাশ শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে সামাজিক জীবনেও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই ভবিষ্যতেও ক্লাবের অনুরূপ সৃজনশীল কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।