বিশেষ প্রতিনিধি: এ.কে.এম.নাজমুল হক, যাকে ছাত্রলীগের নাজমুল নামেই সবাই চিনে। ছেলেবেলাতেই বাবার মুখে জাতির পিতার ত্যাগ ও দেশের প্রতি ভালোবাসার গল্প শুনতে শুনতেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাঁর ভালোবাসার শুরু। এই ভালবাসার কারনে সেই শৈশবেই শুরু হয় মুজিব আদর্শের দু:সাহসীক লড়াকু যাত্রা।
রাজনীতির শুরুটা হয় শিবিরের আতুরঘর খ্যাত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে প্রথম যখন পা রেখেছিলো তখনো হয়ত জানতোনা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘাঁটি গেড়ে শক্ত অবস্থান নিয়ে ঝেঁকে আছে স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী চক্র জামাত শিবির। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মাত্র ছাত্রাবাস ছিলো ছাত্রলিগের নিয়ন্ত্রণে। বাকিসব দখল করে আছে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। বলা যায়, এসব ছাত্রাবাস ছিলো বর্বর জামাত শিবিরের ক্যান্টনমেন্ট।
সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ছাত্রটির জন্য এসব বর্বর শিবিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা সত্যিই দু:সাহসীক ও কঠিন কাজ।
কিন্তু যার ধমনীতে মুজিবের রক্ত বহমান সেতো মৃত্যুকে ভয় করেনা, তারা মৃত্যুঞ্জয়ী। নাজমুলও চুপ করে বসে থাকেনি জামাত শিবিরের এই বর্বরতায়, জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নেমে পরে শিবিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে। যখন তাঁর সহপাঠীরা ক্লাস, সেমিনার নিয়ে ব্যাস্ত তখন সে আন্দোলন সংগ্রাম আর স্লোগানে রাজপথ কাঁপাচ্ছে।
বর্বরোচিত হামলার শিকারও হতে হয় এই ছাত্রনেতাকে, কিন্তু তবুও সে দমে যাবার পাত্র ছিলো না। মৃত্যুকে জয় করে বার বার ফিরে আসে মৃত্যুমুখ থেকে। এভাবেই কেটে যায় পাঁচ বছর। এরই মাঝে হারান তার পিতাকে, পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়ে সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা যুবকের কাঁধে, অর্নাস, মাস্টার্স শেষ করে চলে আসে নিজের জেলায়। তাঁর বন্ধুরা যখন ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যাস্ত, তখনও সে রাজপথের মায়ায় আচ্ছন্ন।
এর মধ্যেই দেশ ব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়লো, তখনি জননেত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে এবং শেরপুর জেলা ছাএলীগের সভাপতি শোয়েব হাসান শাকিল এবং সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিমের নির্দেশনায় ঝাঁপিয়ে পড়েন করোনা যুদ্ধে। স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্য হয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশকে সহযোগিতা, ছাত্রলীগের ত্রানসামগ্রী রাতের অন্ধকারে অসহায় ও ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া, গরীব কৃষকের ধান কাটতে সহযোগিতা করা সহ নানাবিধ মানবিক কাজে এই ছাত্রনেতাকে একজন প্রকৃত মুজিব আদর্শের মানবিক ছাত্রনেতা হিসেবেই দেখা যাচ্ছে ।
এই ছাত্রনেতা সম্পর্কে শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক বলেন,
“ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল, হাজারও ছাত্রলীগ নেতার প্রতিচ্ছবি! যারা কাজ করে যাচ্ছেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, মানবতার ঢাল হিসেবে দাড়িয়ে গেছেন দেশের অসহায় মানুষের জন্য, পরম দায়িত্ব হিসেবে পালন করে যাচ্ছেন জননেত্রীর সকল আদেশ ও নির্দেশনা ।”
ভালবাসা রইল নাজমুলের মত হাজারও ছাত্রলীগ নেতাদের জন্য। যুগ যুগ বেঁচে থাকো মানুষের ভালবাসা ও দোয়ায়। এমন নাযমুলে সমৃদ্ধ হোক বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ।