নিজস্ব প্রতিবেদক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে শুরু হওয়া প্ল্যানার্স প্রিমিয়ার লীগ – ২০১৯ এর দ্বিতীয় দিনের খেলা সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ৪২, ৪৫, ৪৬ তম আবর্তন এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়া দল চারটি সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে।
শনিবার ((১৩ জুলাই, ২০১৯) ) দিনের খেলা দুটো ভাগে, যথাক্রমে সকালে ৩ টি এবং বিকেলে ২ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সকালে অনুষ্ঠিত প্রথম খেলায় ৪৮ তম আবর্তনের বিপক্ষে ৫-০ গোলে জয়লাভ করে ৪৫ তম আবর্তন।
দিনের দ্বিতীয় খেলায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মুখোমুখি হয় টুর্নামেন্টের আয়োজক দল ৪৬ তম আবর্তন। খেলায় ৩-২ গোলে হেরে যায় স্বাগতিকেরা। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষে গোল করেন যথাক্রমে, সিজার,সাব্বির এবং নাসির। অন্যদিকে ৪৬ তম আবর্তনের পক্ষে রবি ২ টি গোল করেন।
দিনের তৃতীয় খেলায় ৪২ বনাম ৪৩ তম আবর্তনের ম্যাচে ১-০ গোলে জয়লাভ করে ৪২ তম আবর্তন। দলের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন রবিউল।
বিকেলে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ভাগের খেলায় দিনের চতুর্থ ম্যাচে প্রাক্তনদের মুখোমুখি হয় ৪৪ তম আবর্তন। এতে অনুজদের ১-০ গোলে হারায় প্রাক্তনরা। দলের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন সিজার।
দিনের শেষ ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে ৪৪ তম আবর্তন ও ৪৬ তম আবর্তন। তীব্র লড়াইয়ের আমেজ তৈরী করা এ ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। খেলার প্রথমার্ধেই প্রান্ত’র গোলে ১-০ তে এগিয়ে যায় ৪৪ তম আবর্তন। কিন্তু খেলার দ্বিতীয়ার্ধে, খেলা শেষ হবার মাত্র ২ মিনিট আগে ৪৬ তম আবর্তনের আশরাফুলের গোলে সমতায় আসে আয়োজকেরা। পুরো টুর্নামেন্টের ফলাফল বিবেচনায় ৪৪ তম আবর্তন এবং ৪৬ তম আবর্তনের পয়েন্ট সমান হয়। কিন্তু গোল ব্যাবধানে এগিয়ে থাকায় সেমিফাইনালে যায় স্বাগতিক দল, ৪৬ তম আবর্তন।
দিনের চারটি খেলা অনিবার্য কারণ বশত পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়। গ্রুপ এ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয় ৪৫ তম আবর্তন এবং রানার আপ হয় ৪৫ তম আবর্তন। অন্য্যদিকে গ্রুপ বি হতে চ্যাম্পিয়ন হয় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়া দল এবং রানার আপ হয় ৪৬ তম আবর্তন।
আগামী ১৯ জুলাই, ২০১৯ (শুক্রবার) প্রথম সেমিফাইনালে ৪৫ তম আবর্তনের মুখোমুখি হবে ৪৬ তম আবর্তন এবং দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৪২ তম আবর্তনের বিপক্ষে খেলবে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়া দল।
টুর্নামেন্টের অগ্রগতির ব্যাপারে আয়োজক দলের (৪৬ তম আবর্তন) আশরাফুল ইসলাম দৈনিক নবযুগকে বলেন,
“আমরা টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে যাওয়ায় এবং দলের জয়ে অবদান রাখতে পারায় আমি ভীষণ খুশি। টুর্নামেন্টের আয়োজক দল হিসেবে শুরু থেকেই একটা চাপ আমাদের উপর ছিলো। দিনশেষে আমরা সে বাধা অতিক্রম করতে পেরে আনন্দিত। আর আয়োজক হিসেবে শুধু এটুকুই বলবো, জয় পরাজয় খেলারই অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু এইযে টুর্নামেন্টটা আমাদের সবার মাঝে আন্তঃ সম্পর্কের নতুন দুয়ার উন্মোচন করলো, এটিই আমাদের বড় প্রাপ্তি হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতেও এমন স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে সবাই টুর্নামেন্টটি ধারাবাহিক রাখবে বলে আশা রাখি। সর্বোপরি ভাতৃত্বের বন্ধন অটুট রাখতে এমন অনুশীলন হওয়াটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।”