নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভয়াবহতার কড়াল গ্রাসে দেশের প্রায় সকলেই আতঙ্কিত হয়ে ঘরে অবরুদ্ধ অবস্থান নিলেও, অনেক স্বেচ্ছাসেবকই মানবতার আহ্বানে স্ব স্ব জায়গা থেকে এগিয়ে এসে অসহায়-দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাড়াচ্ছে নিজেদের সর্বোচ্চটুকু নিংড়ে দিয়ে। নিজ জীবন তুচ্ছ জ্ঞান করে অনেকটা প্রচারণার আড়ালে আবডালে থেকেই তাঁরা খাবার তুলে দিচ্ছে দেশের অর্ধভূক্ত-অভূক্ত মানুষদের মাঝে। তাঁদেরই একজন ভালুকা উপজেলার ছাত্রলীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম আহমেদ।
প্রচারের আলো থেকে দূরে গিয়ে অনেকটা গোপনেই নিজ অবস্থান থেকে তিনি সাহায্য করছিলেন ভালুকা উপজেলার নানা প্রান্তে, গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা অসহায় মানুষদের। আমাদের নবযুগ প্রতিনিধি এ সম্পর্কে জানতে পেরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। ১৯ এপ্রিল রাতে তাঁর সঙ্গে কথা বলার সময়েও তিনি ভালুকার কয়েকটি গ্রামে প্রায় পঞ্চাশোর্ধ্ব পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দিয়ে নিজ আবাসে ফিরছিলেন। জানতে চেষ্টা করা হয় তাঁর অভিব্যক্তি। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য,
“আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত। তিনি নিজ তরুণ বয়সেও দেশের মানুষের এমন ক্রান্তিলগ্নে কখনোই ঘরে থাকতে পারতেন না! তিনি সবসময় নিজের অবস্থানের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে মানুষের সেবা করে গিয়েছেন এবং নিজের জীবন দিয়ে তিনি বাঙালী জাতির সেবা করে গিয়েছেন শেষ নিঃশ্বাস অবধি। আমরা তাঁর নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী হয়ে দেশের মানুষের এমন ক্রান্তিলগ্নে ঘরে বসে থাকতে পারি না। তাই যতোটা সম্ভব আড়ালে আবডালে থেকে নিজের অবস্থানে, নিজের গন্ডির মধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার সোনার বাংলায় যেনো কোনো দাগ না আসে, সে চেষ্টাটুকু করে যাচ্ছি। আমার পরিচিত অনেক বড় ভাই, ব্যবসায়ী, পরিজনেরা আমায় সহায়তা করছেন এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত যেনো মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকতে পারি, মহান আল্লাহর কাছে এই দোয়াটাই করি। আপনারাও সবাই আমার জন্য এবং আমাদের দেশের জন্য, দশের জন্য দোয়া করবেন।”
এ ব্যাপারে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেও সত্যতা জানা যায়।