জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সর্বসাধারণের উপস্থিতির সুযোগ দিতে অনলাইনে নিবন্ধনের আহ্বান জানানো হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ৩টা থেকে অনলাইন নিবন্ধন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। তিনি বলেছেন, পরের দিন মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত নিবন্ধন চলবে। প্রয়োজনে সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে।
রোববার বিকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট ভবন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়েছে। উদযাপন কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার আরিফুজ্জামান নূরনবী প্রমুখ।
ড. কামাল নাসের বলেন, আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তার জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন পুরনো বিমানবন্দর তেজগাঁও থেকে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বিকাল ৫টায় ক্ষণগণনা শুরু হবে। সেদিন প্রতীকীভাবে তেজগাঁও বিমানবন্দরে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আবহ তৈরি করা হবে। অনুষ্ঠানে সর্বসাধারণের অংশগ্রহণ করতে অনলাইন নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য www. event.mujib100.gov.bd এই ওয়েবপেইজে সংযোজিত ডিজিটাল নিবন্ধন ফরমে আবেদনকারীর নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে মেইলে-ই কপি যাবে। সেটি প্রিন্ট দিয়ে অনুষ্ঠানে প্রবেশের সময় সঙ্গে আনতে হবে বলে জানান কমিটির সদস্য সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফারহাদ।
অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতীকী আবহ তৈরি করতে একটি বিমান অবতরণ করা ছাড়াও থাকবে আলোক প্রক্ষেপণ। বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল সেই প্রতীকী অভ্যর্থনা ও গার্ড অব অনার দেয়া হবে। পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি থাকবে। দিনক্ষণ গণনা সারা দেশে একযোগে শুরু হবে। এ উপলক্ষে সারা দেশে ক্ষণগণনার যন্ত্র বসানো হবে। ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে হাতিরঝিল, উত্তরা, বাংলাদেশ সচিবালয়ে ক্ষণগণনার যন্ত্র বসানো হচ্ছে। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনসহ সারা দেশের সব সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১৮টি ক্ষণগণনার যন্ত্র বসানো হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে সিটি কর্পোরেশন বাদ দিয়ে ৫৩টি জেলায় ক্ষণগণনার যন্ত্র বাসানো হচ্ছে, টুঙ্গিপাড়া ও মুজিবনগরে বিশেষভাবে ক্ষণগণনার দুটি যন্ত্র বসানো হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষণগণনার ব্যবস্থা করছে। বিভাগীয় শহর ছাড়াও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো এই ক্ষণগণনার যন্ত্র বসাবে। এসব বিষয় মনিটরিং করা হবে কেন্দ্রীয়ভাবে। এক প্রশ্নের জবাবে কামাল আবদুল নাসের বলেন, ‘রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান ৭ মার্চ থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৬ মার্চ পর্যন্ত। বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান চলবে পর্যায়ক্রমে। আর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিববর্ষের মূল অনুষ্ঠানে দুই লাখ মানুষ অংশ নিতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। মুজিববর্ষের প্রথম দিন ১৭ মার্চ প্রথম পর্বে আলোচনা সভা এবং সন্ধ্যার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।’