০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ভিত্তি অর্থনীতি: ব্লিঙ্কেন

ট্রাম্প জমানায় ‘হাউডি মোদি’ দেখেছে বিশ্ব। এবার বাইডেন আমলেও নমো ম্যাজিক দেখতে চলেছে মার্কিন মুলুক। দুই দেশের সম্পর্ক যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বারবার স্পষ্ট করে দিচ্ছে ওয়াশিংটন। জানা গিয়েছে, আমেরিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে ২১ বার গান স্যালুট দেওয়া হবে।

আগামী ২২ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। সেখানে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে ২১ বার গান স্যালুট দেওয়া হবে। এর আগে ২০১৪ সালে নেপাল সফরে এভাবেই মোদিকে স্বাগত জানানো হয়েছিল। সেবার মোদিকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা। ত্রিভূবন বিমানবন্দরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল। নেপাল সেনা বাহিনীর তরফে দেওয়া হয়েছিল ১৯ বার গান স্যালুট।

জুনের ২১ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত এই সফরে দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সফরের আগেই ভারত ও মোদি স্তুতি শোনা যাচ্ছে শীর্ষ মার্কিন কর্তাদের মুখে। যার মধ্যে অন্যতম হোয়াইট হাউসের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক সমন্বয়কারী পদে থাকা কার্ট ক্যাম্পবেল। এবার মোদি প্রশস্তি শোনা গেল মার্কিন নিরাপত্তা পরিষদের সমন্বয়কারী জন কারবির মুখে।

সোমবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে জন কারবি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে উৎসুক আমেরিকা। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোয়াড জোটে ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক খুবই ভাল।”

বিশ্লেষকদের মতে, কৌশলী শব্দচয়নের নেপথ্যে বাইডেন প্রশাসনের চিন উদ্বেগ লুকিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে, ইন্দো-প্যাসিফিক বা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ‘ড্রাগনে’র আগ্রাসনে ওয়াশিংটন যে সিদুঁরে মেঘ দেখছে তা স্পষ্ট। আর তাই চিনকে শায়েস্তা করতে ভারতই এখন আমেরিকার তুরুপের তাস।

মূলত চিনকে নজরে রেখেই একজোট হয়েছে কোয়াডের চার দেশ। মার্চে দিল্লিতে জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে আলোচনায় বসেন কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীরা। ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের তত্ত্বাবধানে ওই বৈঠকে অংশ নেন জাপানের বিদেশমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি, অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওং এবং মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এক যৌথ বিবৃতিতে কোয়াড সাফ জানায়, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বাধীনতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর কোয়াড। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ভিত্তি অর্থনীতি: ব্লিঙ্কেন

প্রকাশ: ০৬:৪৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩

ট্রাম্প জমানায় ‘হাউডি মোদি’ দেখেছে বিশ্ব। এবার বাইডেন আমলেও নমো ম্যাজিক দেখতে চলেছে মার্কিন মুলুক। দুই দেশের সম্পর্ক যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বারবার স্পষ্ট করে দিচ্ছে ওয়াশিংটন। জানা গিয়েছে, আমেরিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে ২১ বার গান স্যালুট দেওয়া হবে।

আগামী ২২ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। সেখানে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে ২১ বার গান স্যালুট দেওয়া হবে। এর আগে ২০১৪ সালে নেপাল সফরে এভাবেই মোদিকে স্বাগত জানানো হয়েছিল। সেবার মোদিকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা। ত্রিভূবন বিমানবন্দরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল। নেপাল সেনা বাহিনীর তরফে দেওয়া হয়েছিল ১৯ বার গান স্যালুট।

জুনের ২১ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত এই সফরে দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সফরের আগেই ভারত ও মোদি স্তুতি শোনা যাচ্ছে শীর্ষ মার্কিন কর্তাদের মুখে। যার মধ্যে অন্যতম হোয়াইট হাউসের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক সমন্বয়কারী পদে থাকা কার্ট ক্যাম্পবেল। এবার মোদি প্রশস্তি শোনা গেল মার্কিন নিরাপত্তা পরিষদের সমন্বয়কারী জন কারবির মুখে।

সোমবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে জন কারবি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে উৎসুক আমেরিকা। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোয়াড জোটে ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক খুবই ভাল।”

বিশ্লেষকদের মতে, কৌশলী শব্দচয়নের নেপথ্যে বাইডেন প্রশাসনের চিন উদ্বেগ লুকিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে, ইন্দো-প্যাসিফিক বা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ‘ড্রাগনে’র আগ্রাসনে ওয়াশিংটন যে সিদুঁরে মেঘ দেখছে তা স্পষ্ট। আর তাই চিনকে শায়েস্তা করতে ভারতই এখন আমেরিকার তুরুপের তাস।

মূলত চিনকে নজরে রেখেই একজোট হয়েছে কোয়াডের চার দেশ। মার্চে দিল্লিতে জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে আলোচনায় বসেন কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীরা। ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের তত্ত্বাবধানে ওই বৈঠকে অংশ নেন জাপানের বিদেশমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি, অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওং এবং মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এক যৌথ বিবৃতিতে কোয়াড সাফ জানায়, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বাধীনতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর কোয়াড। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক