যুক্তরাষ্ট্র সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে টেসলার সিইও এবং টুইটারের মালিক ইলন মাস্কের বৈঠক হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২০ জুন) নিউইয়র্কে এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টেসলার কারখানা হবে বলে জানান মাস্ক।
মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর মাস্ক বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রীর (মোদী) সঙ্গে অসাধারণ বৈঠক হয়েছে। আমি তাকে খুবই পছন্দ করি। তিনি কয়েক বছর আগে আমাদের কারখানাতেও এসেছিলেন। তাই আমাদের পুরোনো পরিচয় আছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদী ক্যালিফোর্নিয়ায় টেসলা মোটর কারখানায় গিয়েছিলেন। মাস্ক বলেন, ‘ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আমি খুবই আশাবাদী। বিশ্বের অন্য বড় দেশগুলোর তুলনায় ভারতের সম্ভাবনা অনেক বেশি।’ টেসলার ভারতে আসা এবং কারখানা করা প্রসঙ্গে মাস্ক বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী, টেসলা যত দ্রুত সম্ভব ভারতে আসবে।’
মোদীর ভূয়সি প্রশংসা করে মাস্ক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতের জন্য ভাবেন। তিনি আমাদের বারবার বলছেন, যাতে আমরা ভারতে বিনিয়োগ করি। আমরা করব। তবে, আমাদের ঠিক সময়টা বেছে নিতে হবে। মোদী কোম্পানিগুলোকে সাহায্য করতে চান। তিনি ভারতের জন্য ঠিক কাজটা করতে চান। ভারত যাতে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকে, তিনি সেটাও চান।’
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, তিনি অবশ্যই ভারতে বিনিয়োগে আগ্রহী। এই বছরের শেষের দিকে কোথায় কারখানা হবে, তা-ও ঠিক করে ফেলতে চান তিনি।
প্রসঙ্গত, ভারতের স্থানীয় বাজারে প্রবেশের লক্ষ্যে দেশটির বিভিন্ন আমলা ও মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে টেসলা। গত মাসে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে আসে, টেসলা দেশটিতে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির কারখানা তৈরির প্রস্তাবনা দিয়েছে। পাশাপাশি, সেখানে ইভি ব্যাটারি তৈরির পরিকল্পনাও করছে কোম্পানিটি। ভারতে নিজের রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স পরিচালিত স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক আনার ইচ্ছার কথাও বলেন মাস্ক।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে তিন দিনের সফরে মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে পৌঁছান মোদী। আর একে দেখা হচ্ছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার আগে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাবে বলে জানা গিয়েছে।
এই সফরে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভারতে সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে কথা বলতে মঙ্গলবার ৭০ জনের বেশি মার্কিন আইন প্রণেতা বাইডেনকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছেন। তারা বলেন, ভারতে ক্রমাগত বাড়তে থাকা ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার পাশাপাশি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সুশীল সমাজ গোষ্ঠীকে শিকার বানানো নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক