রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আবহেই ভারত সফরে এসেছে ইউক্রেনের মন্ত্রী। চারদিনের সফরে সোমবারই ভারতের মাটিতে পা রাখেন সেদেশের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী এমিনি জ়াপোরোভা। তাঁর সফরকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। চিঠিতে তিনি অতিরিক্ত ত্রাণ সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেন মোদীকে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম ইউক্রেন প্রশাসনের কেউ ভারতে এসেছেন। বিদেশ মন্ত্রকের সচিব ও প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় এমিনির। গতকাল এই সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কির লেখা একটি চিঠি বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখির হাতে তুলে দেন এমিনি। বুধবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ওষুধ ও মেডিক্যাল সরঞ্জামের মতো অতিরিক্ত ত্রাণ পাঠানোর জন্য মোদীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন জ়েলেনস্কি।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, “ইউক্রেনের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী প্রস্তাব করেছেন যে ইউক্রেনে পরিকাঠামো পুনর্নির্মাণের সুযোগ ভারতীয় সংস্থাগুলিকে দেওয়া যেতে পারে।” এদিকে ভারতের সভাপতিত্বে সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিক জি২০ সম্মেলনে জ়েলেনস্কির অংশগ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন এমিনি। তবে ভারতের তরফে এই বিষয়ে কোনও উত্তর মেলেনি।
ইউক্রেনের মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন বিদেশি মেডিকেল পড়ুয়াদের তাঁদের বসবাসকারী দেশ থেকে ইউনিফাইড স্টেট কোয়ালিফিকেশন পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অনুমতি দেবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তারপর থেকেই পরপর একাধিক রুশ মিসাইল এসে ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছে ইউক্রেন ভূমি। আর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠার পরই ঘরে ফিরতে হয়েছিল সেদেশে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া ভারতীয় পড়ুয়াদের। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ না করেই ঘরমুখো হন তাঁরা। ইউক্রেন মন্ত্রীর এই বক্তব্য তাঁদের জন্য কিছুটা স্বস্তি।
এদিকে সোমবার ইউক্রেনের মন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে নয়াদিল্লির আরও বেশি হস্তক্ষেপ চায় কিয়েভ। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও অন্যান্য শীর্ষ কর্তাদের ইউক্রেন সফরের জন্য আহ্বানও জানিয়েছেন তাঁরা।
জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অন্য দেশের সঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে নির্দেশ দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই ইউক্রেন। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক