০২:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭৫ হাজারী ক্লাবে ভারতের স্বীকৃত স্টার্টআপ সংখ্যা

৭৫ হাজার স্বীকৃত স্টার্টআপের মাইলফলক পেরুলো ভারত। ০৩ আগস্ট, বুধবার, এক বিবৃতিতে তথ্যটি নিশ্চিত করেন দেশটির কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। গোটা বিষয়টি ভারতের উদ্ভাবন এবং এন্টারপ্রাইজ খাতের উৎকর্ষের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে অভিমত দিয়েছেন তিনি।

গোয়েল বলেন, “৭৫ হাজার এর বেশি স্টার্টআপ ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেড কর্তৃক স্বীকৃত হয়েছে, যা আমাদের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে এক উজ্বলতম অর্জন।”

তিনি আরও যোগ করেন, “ভারতীয় স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এখন অনেক বেশি জাতীয় আবেগ, সৃজনশীলতা এবং উদ্যোক্তা মনোভাব কর্তৃক উজ্জীবিত হচ্ছে কারণ। সরকার প্রণীত আজাদি কা অমৃত মহোৎসব স্মরণ করেও অনেকে স্টার্টআপ শুরু করছেন।”

উল্লেখ্য, ১৫ আগস্ট, ২০১৫ সালে স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতা করার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাল কেল্লা থেকে এক নতুন ভারত গড়বার ডাক দেন। সেখানে, ভারতীয়দের উদ্যোক্তা সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে কথা বলেছিলেন তিনি। এরপরই শুরু হয়েছিলো উদ্যোক্তা তৈরীর এক বিশাল ইকোসিস্টেম প্রণয়নের কর্মসূচি।

পরবর্তীতে বিগত সাত বছরে পূর্বোক্ত এই কর্মপরিকল্পনা ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ভারতের এই ৭৫ হাজার স্টার্টআপের মাঝে সর্বশেষ ১০ হাজার স্টার্টআপ স্বীকৃত হতে সময় নিয়েছে মাত্র ১৫৬ দিন।

প্রসঙ্গত, ভারতের স্বীকৃত স্টার্টআপের প্রায় ১২ শতাংশ আইটি খাতে, ৯ শতাংশ স্বাস্থ্য ও জীববিজ্ঞান খাতে, ৭ শতাংশ শিক্ষা খাতে এবং ৫ শতাংশ ব্যবসায়ী ও পেশাদার খাতে রয়েছে। এছাড়া, কৃষি খাতেও ৫ শতাংশ স্টার্ট আপ রয়েছে ভারতে। এর ফলে ভারতে প্রায় দশ লাখের কাছাকাছি চাকরী তৈরী হয়েছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

৭৫ হাজারী ক্লাবে ভারতের স্বীকৃত স্টার্টআপ সংখ্যা

প্রকাশ: ০১:৫২:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২

৭৫ হাজার স্বীকৃত স্টার্টআপের মাইলফলক পেরুলো ভারত। ০৩ আগস্ট, বুধবার, এক বিবৃতিতে তথ্যটি নিশ্চিত করেন দেশটির কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। গোটা বিষয়টি ভারতের উদ্ভাবন এবং এন্টারপ্রাইজ খাতের উৎকর্ষের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে অভিমত দিয়েছেন তিনি।

গোয়েল বলেন, “৭৫ হাজার এর বেশি স্টার্টআপ ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেড কর্তৃক স্বীকৃত হয়েছে, যা আমাদের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে এক উজ্বলতম অর্জন।”

তিনি আরও যোগ করেন, “ভারতীয় স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এখন অনেক বেশি জাতীয় আবেগ, সৃজনশীলতা এবং উদ্যোক্তা মনোভাব কর্তৃক উজ্জীবিত হচ্ছে কারণ। সরকার প্রণীত আজাদি কা অমৃত মহোৎসব স্মরণ করেও অনেকে স্টার্টআপ শুরু করছেন।”

উল্লেখ্য, ১৫ আগস্ট, ২০১৫ সালে স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতা করার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাল কেল্লা থেকে এক নতুন ভারত গড়বার ডাক দেন। সেখানে, ভারতীয়দের উদ্যোক্তা সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে কথা বলেছিলেন তিনি। এরপরই শুরু হয়েছিলো উদ্যোক্তা তৈরীর এক বিশাল ইকোসিস্টেম প্রণয়নের কর্মসূচি।

পরবর্তীতে বিগত সাত বছরে পূর্বোক্ত এই কর্মপরিকল্পনা ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ভারতের এই ৭৫ হাজার স্টার্টআপের মাঝে সর্বশেষ ১০ হাজার স্টার্টআপ স্বীকৃত হতে সময় নিয়েছে মাত্র ১৫৬ দিন।

প্রসঙ্গত, ভারতের স্বীকৃত স্টার্টআপের প্রায় ১২ শতাংশ আইটি খাতে, ৯ শতাংশ স্বাস্থ্য ও জীববিজ্ঞান খাতে, ৭ শতাংশ শিক্ষা খাতে এবং ৫ শতাংশ ব্যবসায়ী ও পেশাদার খাতে রয়েছে। এছাড়া, কৃষি খাতেও ৫ শতাংশ স্টার্ট আপ রয়েছে ভারতে। এর ফলে ভারতে প্রায় দশ লাখের কাছাকাছি চাকরী তৈরী হয়েছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক