০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানবাধিকার নিয়ে জাতিসংঘের সাথে কাজ করবে ভারত

আগামী ১ ডিসেম্বর জি২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করতে চলেছে ভারত। তার আগে, মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের লোগো, থিম এবং ওয়েবসাইটের উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের জি২০ সভাপতিত্বের লোগো, থিম এবং ওয়েবসাইট বিশ্বের কাছে ভারতের বার্তা এবং সর্বাধিক অগ্রাধিকারকে প্রতিফলিত করবে।”

প্রায় ১ বছর এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সভাপতি হিসেবে থাকবে ভারত। গোটা দেশ জুড়ে ৩২টি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২০০টি সভার আয়োজন করা হবে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে জি-২০’র বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলেন হওয়ার কথা। এটাই ভারতের বুকে সবথেকে বড় আন্তর্জাতিক সভা হতে চলেছে।

ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের যে লোগো এদিন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে সাত পাপড়ির এক পদ্মফুলের ছবি রয়েছে। পদ্মফুল ভারতের জাতীয় পুষ্প। জি-২০ সভাপতিত্বের লোগোতে পদ্মের উপস্থিতি ভারতীয় সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা, সম্পদের প্রতিনিধিত্বকারী বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

লোগোটির উন্মোচনের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “পদ্মের সাতটি পাপড়ি পৃথিবীর সাতটি মহাদেশ এবং সঙ্গীতের সাতটি সুরের প্রতিনিধিত্বকারী। জি-২০ সম্মেলন গোটা বিশ্বকে একত্রিত করবে। এই লোগোতে, পদ্ম ফুল ভারতের পৌরাণিক ঐতিহ্য, আমাদের বিশ্বাস, আমাদের বুদ্ধিমত্তাকে চিত্রিত করছে।”

জি-২০ গোষ্ঠী বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা গোষ্ঠী। বৈশ্বিক জিডিপির ৮৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বৈশ্বিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশও নিয়ন্ত্রণ করে এই গোষ্ঠী। আর বিশ্বের মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ বাস করে এই গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলিতে। এই শক্তিশালী গোষ্ঠীরই সভাপতিত্ব করতে চলেছে ভারত।

এই সম্পর্কে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি মেনে তৈরি বিদেশ নীতি, বিশ্ব মঞ্চে ভারতকে নেতৃত্বদানের ভূমিকায় উন্নীত করেছে। ১ ডিসেম্বর থেকে জি-২০’র সভাপতিত্ব করা এই দিকেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। জি-২০’র সভাপতিত্ব ভারতের সামনে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে অবদান রাখার এক অনন্য সুযোগ করে দিয়েছে।” খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

মানবাধিকার নিয়ে জাতিসংঘের সাথে কাজ করবে ভারত

প্রকাশ: ০৩:৪৪:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২

আগামী ১ ডিসেম্বর জি২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করতে চলেছে ভারত। তার আগে, মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের লোগো, থিম এবং ওয়েবসাইটের উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের জি২০ সভাপতিত্বের লোগো, থিম এবং ওয়েবসাইট বিশ্বের কাছে ভারতের বার্তা এবং সর্বাধিক অগ্রাধিকারকে প্রতিফলিত করবে।”

প্রায় ১ বছর এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সভাপতি হিসেবে থাকবে ভারত। গোটা দেশ জুড়ে ৩২টি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২০০টি সভার আয়োজন করা হবে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে জি-২০’র বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলেন হওয়ার কথা। এটাই ভারতের বুকে সবথেকে বড় আন্তর্জাতিক সভা হতে চলেছে।

ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের যে লোগো এদিন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে সাত পাপড়ির এক পদ্মফুলের ছবি রয়েছে। পদ্মফুল ভারতের জাতীয় পুষ্প। জি-২০ সভাপতিত্বের লোগোতে পদ্মের উপস্থিতি ভারতীয় সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা, সম্পদের প্রতিনিধিত্বকারী বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

লোগোটির উন্মোচনের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “পদ্মের সাতটি পাপড়ি পৃথিবীর সাতটি মহাদেশ এবং সঙ্গীতের সাতটি সুরের প্রতিনিধিত্বকারী। জি-২০ সম্মেলন গোটা বিশ্বকে একত্রিত করবে। এই লোগোতে, পদ্ম ফুল ভারতের পৌরাণিক ঐতিহ্য, আমাদের বিশ্বাস, আমাদের বুদ্ধিমত্তাকে চিত্রিত করছে।”

জি-২০ গোষ্ঠী বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা গোষ্ঠী। বৈশ্বিক জিডিপির ৮৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বৈশ্বিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশও নিয়ন্ত্রণ করে এই গোষ্ঠী। আর বিশ্বের মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ বাস করে এই গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলিতে। এই শক্তিশালী গোষ্ঠীরই সভাপতিত্ব করতে চলেছে ভারত।

এই সম্পর্কে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি মেনে তৈরি বিদেশ নীতি, বিশ্ব মঞ্চে ভারতকে নেতৃত্বদানের ভূমিকায় উন্নীত করেছে। ১ ডিসেম্বর থেকে জি-২০’র সভাপতিত্ব করা এই দিকেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। জি-২০’র সভাপতিত্ব ভারতের সামনে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে অবদান রাখার এক অনন্য সুযোগ করে দিয়েছে।” খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক