কাতারে আটক ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক্তন আট কর্মীকে নিয়ে ক্রমেই উদ্বেগ বাড়ছে। এই বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের তরফে স্পষ্ট করে কোনও তথ্য প্রকাশ করা না হলেও, পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়া রীতিমতো ভাইরাল এই ঘটনাটি। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী একাধিক ব্যক্তি দাবি করেছেন, নৌবাহিনীর প্রাক্তন আট কর্মীকে কাতার প্রশাসন গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। শীঘ্রই তাদের বিচারের মুখোমুখি হবে। অন্যদিকে, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কাতারে আটক হওয়ার আট বন্দিকে দ্রুত মুক্তির জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরে পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়া রীতিমতো উত্তাল কাতারে আটক ভারতীয় নৌবাহিনীর আট কর্মীকে নিয়ে। পাকিস্তানের এক নেটিজেন সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন, ভারতীয় নৌবাহিনীর আটজন প্রাক্তন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে। পাকিস্তানের একাধিক প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে। যার জেরে উদ্বেগের পারদ ক্রমেই বাড়ছে। যদিও ভারতের তরফে সমস্ত দাবি অস্বীকার করা হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকরা পাকিস্তানের দাবিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছে, অকারণে এই বিষয়টিকে নিয়ে পাকিস্তান জল ঘোলা করছে। পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়া এমনকী দাবি করা হয়েছে, কাতারের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতির জন্য নাকি ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক্তন আট কর্মী কাজ করছিলেন। এই ধরনের মন্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল তথ্য ছড়ানো বা বিষয়টিকে নিয়ে জলঘোলা করার নেপথ্যে কারা রয়েছে।
প্রায় ৭০ দিন আগে কাতার প্রশাসন ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক্তন আট কর্মীকে আটক করেছে। এখনও অবধি তাঁরা মুক্তি পেলেন না কেন, সেই বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সাংবাদিক সম্মেলনে বার বার আট জন ভারতীয়কে মুক্তির বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাতার প্রশাসনের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করা হয়নি।
কূটনীতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রশাসনিক ফোরাম ও সোশ্যাল মিডিয়া ভুয়ো খবর প্রকাশ করছে। গুপ্তচরবৃত্তিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক্তন কর্মীদের আটক করা হলে, কাতার আনুষ্ঠানিকভাবে তা প্রকাশ করত। কিন্তু কাতারের তরফে সেসব কিছুই করা হয়নি।
এখন পর্যন্ত আটক ব্যক্তিদের দুবার ভারতীয় কনস্যুলার অ্যাক্সেস পাওয়া গিয়েছে। একবার অক্টোবরের শুরুতে। দ্বিতীয়বার নভেম্বরে কনস্যুলেট অ্যাক্সেস পাওয়া গিয়েছে। ক্যাপ্টেন বা কমান্ডার পদে অবসর নেওয়া নৌ অফিসার সহ পুরুষরা তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ভারতীয় কূটনীতিক গত ১০ দিনে দফায় দফায় কাতার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। কিন্তু বন্দি ভারতীয়দের মুক্তির বিষয়ে কোনও সমাধানসূত্র বের হয়নি। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক