শিক্ষাখাতে একাডেমিক যোগ্যতার পারস্পরিক স্বীকৃতির বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ভারত ও যুক্তরাজ্য। এর আওতায় উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে ভর্তির ক্ষেত্রে ভারতের সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুল এবং প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। একইভাবে, ভারত এবং যুক্তরাজ্যে অর্জিত স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট ডিগ্রি সমান হিসাবে বিবেচিত হবে।
এই সমঝোতা স্মারকটি দুই দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গতিশীলতাকে সহজতর করবে; শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা বৃদ্ধি; এবং দুই দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একাডেমিক ও গবেষণা সহযোগিতার পরিসর প্রসারিত করবে। বৃহস্পতিবার, তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এদিকে, আসন্ন আগস্টের শেষ নাগাদ ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) আলোচনা সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য সচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্যের সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতার পারস্পরিক স্বীকৃতি এবং স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
চুক্তি স্বাক্ষর স্থলে বিভিআর এর সঙ্গে ব্রিটিশ প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের স্থায়ী সচিব জেমস বোলার।
ভারতীয় বাণিজ্য সচিব বলেন, “এফটিএ নিয়ে আমাদের আলোচনা চলছে। উভয় পক্ষের আভ্যন্তরীণ অনুমোদনের পর উভয় স্তরের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ চুক্তি স্বাক্ষর করবেন। যুক্তরাজ্যে যে-ই ক্ষমতায় থাকুক না কেনো, ভারতের সাথে এফটিএ আলোচনা থামবে না।”
উল্লেখ্য, বর্তমানে নয়াদিল্লীতে ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) আলোচনার ৫ম দফার বৈঠক চলমান রয়েছে। গত বছর ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। চলতি দশকের শেষ নাগাদ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রভূত উন্নতি ঘটানোর লক্ষ্য স্বরূপ “রোডম্যাপ-২০৩০” ঘোষণা করেছে দু দেশ।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দুই পক্ষ ছাড় দিতে রাজি হলে এ বছরের শেষ নাগাদ হয়তো একটি অন্তর্বর্তী চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে। তবে বড়দিনের আগেই একটি পূর্ণ চুক্তি সইয়ের লক্ষ্যকে ‘উচ্চাভিলাসী’ বলছেন তারা। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক